শিরোনাম :
Logo রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল Logo আমরণ অনশনে বসেছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবি

আবারও মেয়রের আসন ফিরে পেলেন অধ্যাপক এমএ মান্নান !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:৪১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান আবারো মেয়রের আসনে বসেছেন। সাময়িক বরখাস্তের চারদিন পর হাইকোর্টের নির্দেশে দায়িত্ব ফিরে পেলেন বিএনপির প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হওয়া এই মেয়র।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে তিনি নগর ভবনে আসেন এবং নিজ দফতরে মেয়রের আসনে বসেন। এ সময় মেয়র এম এ মান্নান বলেন, ৬ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। আমি সেই আদেশের বিরুদ্ধে শনিবার হাইকোর্টে রিট করি। সেই রিটের শুনানিতে আমি সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালন করার অনুমতি পেয়েছি। এ সময় তিনি সকলের দোয়া এবং সহযোগিতা কামনা করেন।

অধ্যাপক এমএ মান্নান নগর ভবনে পৌঁছালে বিএনপির নেতা-কর্মী, বিএনপিপন্থি কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি দোতলায় নিজ দফতরে যান এবং মেয়রের চেয়ারে বসেন।

প্রসঙ্গত, গাজীপুর সিটি মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান ২০১৩ সালে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর গত ৪ বছরে তিনবার বরখাস্ত এবং ২২ মাস করাভোগ করেছেন। দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ১৮ মাস ১৯ দিন। তার বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে ৩০টি মামলা। ২৮ মাস নগর ভবনের বাইরে থাকার পর গত ১৮ জুন আদালতের নির্দেশে মেয়রের দায়িত্ব নেয়ার ১৯ দিনের মাথায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪র্থ বছর পূর্তির দিন ফের মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

মেয়র পদ ফিরে পেতে মন্ত্রণালয়ের বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে মান্নান রোববার হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হলে আদালত মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। তৃতীয় দফা সাময়িক বহিস্কারের তিনদিন পর সোমবার দুপুরে তিনি ফের মেয়রের চেয়ারে বসলেন।

উল্লেখ্য, বাসে পেট্রোলবোমা হামলার মামলায় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মেয়র মান্নানকে ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী

আবারও মেয়রের আসন ফিরে পেলেন অধ্যাপক এমএ মান্নান !

আপডেট সময় : ০৬:১৮:৪১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান আবারো মেয়রের আসনে বসেছেন। সাময়িক বরখাস্তের চারদিন পর হাইকোর্টের নির্দেশে দায়িত্ব ফিরে পেলেন বিএনপির প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হওয়া এই মেয়র।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে তিনি নগর ভবনে আসেন এবং নিজ দফতরে মেয়রের আসনে বসেন। এ সময় মেয়র এম এ মান্নান বলেন, ৬ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। আমি সেই আদেশের বিরুদ্ধে শনিবার হাইকোর্টে রিট করি। সেই রিটের শুনানিতে আমি সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালন করার অনুমতি পেয়েছি। এ সময় তিনি সকলের দোয়া এবং সহযোগিতা কামনা করেন।

অধ্যাপক এমএ মান্নান নগর ভবনে পৌঁছালে বিএনপির নেতা-কর্মী, বিএনপিপন্থি কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি দোতলায় নিজ দফতরে যান এবং মেয়রের চেয়ারে বসেন।

প্রসঙ্গত, গাজীপুর সিটি মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান ২০১৩ সালে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর গত ৪ বছরে তিনবার বরখাস্ত এবং ২২ মাস করাভোগ করেছেন। দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ১৮ মাস ১৯ দিন। তার বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে ৩০টি মামলা। ২৮ মাস নগর ভবনের বাইরে থাকার পর গত ১৮ জুন আদালতের নির্দেশে মেয়রের দায়িত্ব নেয়ার ১৯ দিনের মাথায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪র্থ বছর পূর্তির দিন ফের মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

মেয়র পদ ফিরে পেতে মন্ত্রণালয়ের বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে মান্নান রোববার হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হলে আদালত মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। তৃতীয় দফা সাময়িক বহিস্কারের তিনদিন পর সোমবার দুপুরে তিনি ফের মেয়রের চেয়ারে বসলেন।

উল্লেখ্য, বাসে পেট্রোলবোমা হামলার মামলায় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মেয়র মান্নানকে ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ।