বৃহস্পতিবার | ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা

দ্বিতীয় দিনের মতো রাসিক কর্মচারীদের আন্দোলন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজও তারা নগর ভবনের প্রধান ফটক ও শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় তালা দিয়ে রেখেছেন।
রবিবারের মতো সোমবারও কর্মচারীরা নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে সকাল থেকে ফের বিক্ষোভ করেছেন। এতে কোনো কর্মকর্তা সকাল থেকে ভেতরে ঢুকতে পারেননি। অনেক দর্শনার্থী চিড়িয়াখানা গিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
রবিবার বেলা ৩টার দিকে নগর ভবনের মূল ফটক খুলে দেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু চিড়িয়াখানা ও শালবাগানে থাকা করপোরেশনের গ্যারেজ খুলে দেননি তারা। তাদের এমন আন্দোলনে এক রকম স্থবির হয়ে পড়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।
১১ দফা দাবিতে গেল ১২ জুন কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ওই মানববন্ধনের পর গত ১৯ জুন নগর ভবনে তালা দিয়ে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। ওইদিন আন্দোলনরত কর্মচারী ঘোষণা দিয়েছিলেন, দাবি আদায় না হলে ৯ জুলাই থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করা হবে। ফলে রবিবার সকাল থেকে তারা সেই কর্মসূচি শুরু করেছেন।
তবে সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল গতকালও নগর ভবনে ছিলেন না। নিজ দফতরের কাজে মেয়র এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগর ভবনের ভেতরে ও বাইরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার মনিটরিং অফিসার শেখ আবু জাফর বলেন, সকালে চিড়িয়াখানার একটি গেইট খুলে পশুদের খাবার ঢোকাতে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তবে এদিন তারা কর্মকর্তাদের অফিস কক্ষেও তালা দিয়েছেন। সব কর্মকর্তাকে চিড়িয়াখানা থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ বলেন, গেল বছরের ২৪ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে সিটি করপোরেশনের দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত দক্ষ নিয়মিত কর্মচারীদের দৈনিক ৫০০ টাকা এবং অদক্ষ অনিয়মিত কর্মচারীদের প্রতিদিন ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু গত এক বছরেও করপোরেশন কর্মচারীদের দৈনিক মজুরি বাড়ায়নি। অন্য সিটি করপোরেশনে সরকারি নিয়মে বেতন দেওয়া হলেও রাসিকে ৩৩০ টাকা করে দেওয়া হয়। এতে রাসিকের ২ হাজার ২০০ জন কর্মচারী সরকারি নিয়মে তাদের মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই ১১ দাফা দাবিতে এই কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা।
কর্মচারীদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী মজুরি প্রদান, স্থায়ী কর্মচারীদের জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি, স্থায়ী কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণের ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা, মৃত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পোষ্যদের চাকরি প্রদান এবং মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার

দ্বিতীয় দিনের মতো রাসিক কর্মচারীদের আন্দোলন !

আপডেট সময় : ০৬:১৫:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজও তারা নগর ভবনের প্রধান ফটক ও শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় তালা দিয়ে রেখেছেন।
রবিবারের মতো সোমবারও কর্মচারীরা নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে সকাল থেকে ফের বিক্ষোভ করেছেন। এতে কোনো কর্মকর্তা সকাল থেকে ভেতরে ঢুকতে পারেননি। অনেক দর্শনার্থী চিড়িয়াখানা গিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
রবিবার বেলা ৩টার দিকে নগর ভবনের মূল ফটক খুলে দেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু চিড়িয়াখানা ও শালবাগানে থাকা করপোরেশনের গ্যারেজ খুলে দেননি তারা। তাদের এমন আন্দোলনে এক রকম স্থবির হয়ে পড়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।
১১ দফা দাবিতে গেল ১২ জুন কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ওই মানববন্ধনের পর গত ১৯ জুন নগর ভবনে তালা দিয়ে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। ওইদিন আন্দোলনরত কর্মচারী ঘোষণা দিয়েছিলেন, দাবি আদায় না হলে ৯ জুলাই থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করা হবে। ফলে রবিবার সকাল থেকে তারা সেই কর্মসূচি শুরু করেছেন।
তবে সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল গতকালও নগর ভবনে ছিলেন না। নিজ দফতরের কাজে মেয়র এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগর ভবনের ভেতরে ও বাইরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার মনিটরিং অফিসার শেখ আবু জাফর বলেন, সকালে চিড়িয়াখানার একটি গেইট খুলে পশুদের খাবার ঢোকাতে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তবে এদিন তারা কর্মকর্তাদের অফিস কক্ষেও তালা দিয়েছেন। সব কর্মকর্তাকে চিড়িয়াখানা থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ বলেন, গেল বছরের ২৪ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে সিটি করপোরেশনের দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত দক্ষ নিয়মিত কর্মচারীদের দৈনিক ৫০০ টাকা এবং অদক্ষ অনিয়মিত কর্মচারীদের প্রতিদিন ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু গত এক বছরেও করপোরেশন কর্মচারীদের দৈনিক মজুরি বাড়ায়নি। অন্য সিটি করপোরেশনে সরকারি নিয়মে বেতন দেওয়া হলেও রাসিকে ৩৩০ টাকা করে দেওয়া হয়। এতে রাসিকের ২ হাজার ২০০ জন কর্মচারী সরকারি নিয়মে তাদের মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই ১১ দাফা দাবিতে এই কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা।
কর্মচারীদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী মজুরি প্রদান, স্থায়ী কর্মচারীদের জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি, স্থায়ী কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণের ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা, মৃত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পোষ্যদের চাকরি প্রদান এবং মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ।