শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

মুষলধারে বৃষ্টিতে দুর্ভোগে চট্টগ্রামবাসী !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:১৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ জুলাই ২০১৭
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মুষলধারে বৃষ্টিতে সোমবারই চট্টগ্রাম নগরের অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে যায়। রাতে বৃষ্টি সামান্য কমলে পানি নামতে শুরু করে। কিন্তু মঙ্গলবার ফের মুষলধারে অতিবর্ষণ শুরু হয়। ফলে আবারো পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অন্তহীন দুর্ভোগ সঙ্গী হয় নগরবাসীর। পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় ভোগান্তি। সমস্যায় পড়তে হয়েছে অফিস, কর্মস্থল ও স্কুলগামী- সকলকে।

পতেঙ্গার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর নিন্মাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পতেঙ্গার আবহাওয়া অফিস গত সোমবার বেলা ১২টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ১২৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

এর আগে গত রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত নগরীতে ১৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।  গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নগরীতে প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাদ তংচংগ্যা বলেন, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর  প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃতত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আবহাওয়া অফিস ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করছে।

সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক বলেন, নগরের নালা, ড্রেন ও খাল দিয়ে অতিবর্ষণের পানি প্রবাহিত হতে একটু সময় লাগে। ফলে অনেক নিন্মাঞ্চলে পানি জমে যাচ্ছে। তবে এসব নালা নর্দমা ও ড্রেন পরিষ্কারের কাজ বর্তমানে চলমান।

সোমবার দিনভর ও রাতের ভারী বর্ষণে নগরীর নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নগরীর সড়ক ও গলি উপগলিতে  ব্যাপাক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। টানা বর্ষণে নগরের বাকলিয়া, মুরাদপুর, চকবাজার, হালিশহর, ছোটপুল, বড়পুল, এক্সেস রোড, পোর্টকানেক্টিং রোড, দুই নম্বর গেইট, বহদ্দারহাট, বাকলিয়াসহ অধিকাংশ এলাকায় পানি জমে যায়। অনেকের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

মুষলধারে বৃষ্টিতে দুর্ভোগে চট্টগ্রামবাসী !

আপডেট সময় : ১২:৫৮:১৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মুষলধারে বৃষ্টিতে সোমবারই চট্টগ্রাম নগরের অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে যায়। রাতে বৃষ্টি সামান্য কমলে পানি নামতে শুরু করে। কিন্তু মঙ্গলবার ফের মুষলধারে অতিবর্ষণ শুরু হয়। ফলে আবারো পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অন্তহীন দুর্ভোগ সঙ্গী হয় নগরবাসীর। পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় ভোগান্তি। সমস্যায় পড়তে হয়েছে অফিস, কর্মস্থল ও স্কুলগামী- সকলকে।

পতেঙ্গার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর নিন্মাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পতেঙ্গার আবহাওয়া অফিস গত সোমবার বেলা ১২টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ১২৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

এর আগে গত রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত নগরীতে ১৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।  গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নগরীতে প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাদ তংচংগ্যা বলেন, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর  প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃতত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আবহাওয়া অফিস ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করছে।

সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক বলেন, নগরের নালা, ড্রেন ও খাল দিয়ে অতিবর্ষণের পানি প্রবাহিত হতে একটু সময় লাগে। ফলে অনেক নিন্মাঞ্চলে পানি জমে যাচ্ছে। তবে এসব নালা নর্দমা ও ড্রেন পরিষ্কারের কাজ বর্তমানে চলমান।

সোমবার দিনভর ও রাতের ভারী বর্ষণে নগরীর নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নগরীর সড়ক ও গলি উপগলিতে  ব্যাপাক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। টানা বর্ষণে নগরের বাকলিয়া, মুরাদপুর, চকবাজার, হালিশহর, ছোটপুল, বড়পুল, এক্সেস রোড, পোর্টকানেক্টিং রোড, দুই নম্বর গেইট, বহদ্দারহাট, বাকলিয়াসহ অধিকাংশ এলাকায় পানি জমে যায়। অনেকের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে।