মস্তিষ্কের তরঙ্গ থেকে পিন নম্বর-পাসওয়ার্ড জানতে পারে হ্যাকাররা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:০১:২৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আপনার চিন্তাভাবনাও চলে আসছে হ্যাকারদের কবজায়। এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্রেফ চিন্তাভাবনা ট্র্যাক করে আপনার পিন নম্বর ও পাসওয়ার্ড জেনে যেতে পারে হ্যাকাররা।

চিন্তাভাবনা ট্র্যাক করার জন্য আছে ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাফ বা ইইজি হেডসেট। এই হেডসেট পরলে রোবট খেলনা ও ভিডিও গেম, যেগুলোর মন আছে বলে দাবি করা হয়, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারা যায়।

আমেরিকার বার্মিংহামের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নীতেশ সাক্সেনা জানিয়েছেন, যে এই হেডসেট পরে ভিডিও গেম খেলেছেন, তিনি যদি খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রেখে হেডসেট পরেই নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লগ ইন করেন, তার পাসওয়ার্ড বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাকারদের দখলে চলে আসতে পারে। এ ধরনের ডিভাইস হ্যাকারদের সামনে বিরাট সম্ভাবনার জগৎ খুলে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

গবেষকদের এই দলে রয়েছেন পিএইচডি ছাত্র অজয় নিউপানে। তিনি এই ইইজি হেডসেট অনলাইনে কিনে ব্যবহার করে দেখেন। পাশাপাশি ব্যবহার করেন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য তৈরি ক্লিনিক্যাল-গ্রেড হেডসেট। তাতে দেখা যায়, কত সহজে সফটওয়্যার প্রোগ্রাম দিয়ে ইইজি হেডসেট ব্যবহারকারীর ব্রেনওয়েভের মালিকানা নেওয়া যায়।

বিষয়টা হলো- পিন বা পাসওয়ার্ড টাইপ করার সময় ইউজারের দৃষ্টি, হাত, চোখ ও মাথার পেশি একসঙ্গে নড়াচড়া করে। এই সব মুভমেন্টই ইইজি হেডসেটের মাধ্যমে ধরে ফেলা সম্ভব।

অতএব প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে বিপদের সম্ভাবনা। ইউজার যদি সতর্ক না হন, বিপদ যে কোনও দিক থেকে আসতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মস্তিষ্কের তরঙ্গ থেকে পিন নম্বর-পাসওয়ার্ড জানতে পারে হ্যাকাররা !

আপডেট সময় : ০১:০১:২৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আপনার চিন্তাভাবনাও চলে আসছে হ্যাকারদের কবজায়। এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্রেফ চিন্তাভাবনা ট্র্যাক করে আপনার পিন নম্বর ও পাসওয়ার্ড জেনে যেতে পারে হ্যাকাররা।

চিন্তাভাবনা ট্র্যাক করার জন্য আছে ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাফ বা ইইজি হেডসেট। এই হেডসেট পরলে রোবট খেলনা ও ভিডিও গেম, যেগুলোর মন আছে বলে দাবি করা হয়, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারা যায়।

আমেরিকার বার্মিংহামের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নীতেশ সাক্সেনা জানিয়েছেন, যে এই হেডসেট পরে ভিডিও গেম খেলেছেন, তিনি যদি খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রেখে হেডসেট পরেই নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লগ ইন করেন, তার পাসওয়ার্ড বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাকারদের দখলে চলে আসতে পারে। এ ধরনের ডিভাইস হ্যাকারদের সামনে বিরাট সম্ভাবনার জগৎ খুলে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

গবেষকদের এই দলে রয়েছেন পিএইচডি ছাত্র অজয় নিউপানে। তিনি এই ইইজি হেডসেট অনলাইনে কিনে ব্যবহার করে দেখেন। পাশাপাশি ব্যবহার করেন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য তৈরি ক্লিনিক্যাল-গ্রেড হেডসেট। তাতে দেখা যায়, কত সহজে সফটওয়্যার প্রোগ্রাম দিয়ে ইইজি হেডসেট ব্যবহারকারীর ব্রেনওয়েভের মালিকানা নেওয়া যায়।

বিষয়টা হলো- পিন বা পাসওয়ার্ড টাইপ করার সময় ইউজারের দৃষ্টি, হাত, চোখ ও মাথার পেশি একসঙ্গে নড়াচড়া করে। এই সব মুভমেন্টই ইইজি হেডসেটের মাধ্যমে ধরে ফেলা সম্ভব।

অতএব প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে বিপদের সম্ভাবনা। ইউজার যদি সতর্ক না হন, বিপদ যে কোনও দিক থেকে আসতে পারে।