শিরোনাম :
Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কচুয়ায় কৃষকদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী Logo ভারতের সঙ্গে আকাশ ও স্থল সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা পাকিস্তানের Logo পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত Logo অসুস্থ শ্রমিককে হুইল চেয়ার উপহার দিলো ইয়ুথ ফোরাম ও চর্যাপদ একাডেমি Logo পাকিস্তান জঙ্গিরাষ্ট্র, পাক সেনাপ্রধান লাদেনের মতোই সন্ত্রাসবাদী, বিস্ফোরক প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তা Logo ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন বিষয়ক ক্যাম্পেইন’ – ল অ্যাওয়ারনেস এন্ড এনালাইটেন্ড সোসাইটি Logo শিক্ষার্থীদের ভাবনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ Logo জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী অ্যালামনাসদের রুয়া’র নির্বাচন বর্জন Logo মুখোমুখি অবস্থানে ভারত-পাকিস্তান, ভারতীয় নৌবাহিনীর মিসাইল ধ্বংসের পরীক্ষা Logo কাশ্মীরে হামলার পর তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা পাকিস্তানের

খালেদার ফটোগ্রাফারসহ ২৭ জনের যাবজ্জীবন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১০ মে ২০১৭
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

হারুন-অর রশীদ হত্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার নূর উদ্দিন আহম্মদসহ ২৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার দুই নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম ঘটনার ২৭ বছর পর এ রায় ঘোষণা করেন।

নূর উদ্দিন আহম্মদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন আশরাফুল হক ওরফে আশরাফুল আলম, ওমর ফারুক, লিংকন, জালাল, সৈয়দ শামিম হোসেন, রহিম আহম্মদ, শামছুল ইসলাম, আবুল হোসেন, ফারুক আহম্মেদ, আকবর হোসেন, এরফানুর রহমান খান, সোলায়মান, জাহিদ, সাফায়াত উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুর রশিদ, গোলাম রব, শিশির চৌধুরী, অ্যাপোলো হোসেন, আসলাম, ইলিয়াস হোসেন, হিরু মোহাম্মদ, লিয়াকত আলী, কাঞ্চন মিয়া, শেখ আশরাফ হোসেন, আনিছুর রহমান ও আবু তাহের।

এ মামলায় আশরাফুল হক, আব্দুর রশিদ ও নূর উদ্দিন আহম্মদ জামিনে ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক। রায় ঘোষণার পর আদালত তিন আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারগারে পাঠিয়ে দেয় এবং বাকি পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। রায়ে বলা হয়, পলাতক আসামিরা গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণের তারিখ থেকে এ রায় কার্যকর হবে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহে ফ্রিডম পার্টির হামলায় পথচারী  হারুন-অর রশীদ  নিহত হন। ওই ঘটনায় নিহতের বোন-জামাই বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের পূরবী সিনেমা হল মোড়সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে ফ্রিডম পার্টির নেতা মেজর জয়নাল, মেজর বজলুল হুদা ও আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে গুলি চালায় ফ্রিডম পার্টির নেতা-কর্মীরা। এতে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় সেহড়া এলাকার যুবক হারুন-অর রশীদ মারা যান। ওই ঘটনায় পথচারী জহুর আলী, মাহবুবুল, রামচন্দ্র, শামীম ও লিটন গুলিবিদ্ধ হন। আসামিরা গুলি বর্ষণের পর প্রাইভেটকারে পালিয়ে যাওয়ার সময় বজলুল হুদাসহ ফ্রিডম পার্টির ৩০ নেতা-কর্মীকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল ও ভালুকায় আটক করা হয়।

পরে ঘটনার তদন্ত করে একই বছরের ১০ জুলাই প্রথমে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি বজলুল হুদাকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়া ফ্রিডম পার্টির নেতা মেজর (অব.) বজলুল হুদাকে বাদ দেওয়া হয়। ময়মনসিংহ আদালতে মামলাটি ১৯ বছর ঝুলে ছিল। ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সিআইডি সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। পরে মামলাটি জনগুরুত্বপূর্ণ মামলা হিসেবে বিচারের জন্য ময়মনসিংহ আদালত থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ পাঠানো হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কচুয়ায় কৃষকদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

খালেদার ফটোগ্রাফারসহ ২৭ জনের যাবজ্জীবন !

আপডেট সময় : ১১:৪৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১০ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

হারুন-অর রশীদ হত্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার নূর উদ্দিন আহম্মদসহ ২৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার দুই নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম ঘটনার ২৭ বছর পর এ রায় ঘোষণা করেন।

নূর উদ্দিন আহম্মদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন আশরাফুল হক ওরফে আশরাফুল আলম, ওমর ফারুক, লিংকন, জালাল, সৈয়দ শামিম হোসেন, রহিম আহম্মদ, শামছুল ইসলাম, আবুল হোসেন, ফারুক আহম্মেদ, আকবর হোসেন, এরফানুর রহমান খান, সোলায়মান, জাহিদ, সাফায়াত উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুর রশিদ, গোলাম রব, শিশির চৌধুরী, অ্যাপোলো হোসেন, আসলাম, ইলিয়াস হোসেন, হিরু মোহাম্মদ, লিয়াকত আলী, কাঞ্চন মিয়া, শেখ আশরাফ হোসেন, আনিছুর রহমান ও আবু তাহের।

এ মামলায় আশরাফুল হক, আব্দুর রশিদ ও নূর উদ্দিন আহম্মদ জামিনে ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক। রায় ঘোষণার পর আদালত তিন আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারগারে পাঠিয়ে দেয় এবং বাকি পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। রায়ে বলা হয়, পলাতক আসামিরা গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণের তারিখ থেকে এ রায় কার্যকর হবে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহে ফ্রিডম পার্টির হামলায় পথচারী  হারুন-অর রশীদ  নিহত হন। ওই ঘটনায় নিহতের বোন-জামাই বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের পূরবী সিনেমা হল মোড়সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে ফ্রিডম পার্টির নেতা মেজর জয়নাল, মেজর বজলুল হুদা ও আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে গুলি চালায় ফ্রিডম পার্টির নেতা-কর্মীরা। এতে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় সেহড়া এলাকার যুবক হারুন-অর রশীদ মারা যান। ওই ঘটনায় পথচারী জহুর আলী, মাহবুবুল, রামচন্দ্র, শামীম ও লিটন গুলিবিদ্ধ হন। আসামিরা গুলি বর্ষণের পর প্রাইভেটকারে পালিয়ে যাওয়ার সময় বজলুল হুদাসহ ফ্রিডম পার্টির ৩০ নেতা-কর্মীকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল ও ভালুকায় আটক করা হয়।

পরে ঘটনার তদন্ত করে একই বছরের ১০ জুলাই প্রথমে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি বজলুল হুদাকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়া ফ্রিডম পার্টির নেতা মেজর (অব.) বজলুল হুদাকে বাদ দেওয়া হয়। ময়মনসিংহ আদালতে মামলাটি ১৯ বছর ঝুলে ছিল। ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সিআইডি সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। পরে মামলাটি জনগুরুত্বপূর্ণ মামলা হিসেবে বিচারের জন্য ময়মনসিংহ আদালত থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ পাঠানো হয়।