নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের বিপক্ষে স্কোয়াড ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড কোচ বলেছিলেন, সাকিব আল হাসান এবং ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমানই তাদের মূল দুশ্চিন্তা। আজ নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে পূর্ণশক্তির বাংলাদেশ একাদশের পরাজয়ের ম্যাচেও উজ্জ্বল হয়ে রইলেন এই দুজন।
থেকে গেলেন কিউইদের জন্য ‘ভীতি’ হয়েই।সিরিজ শুরুর আগে এখন পর্যন্ত অস্ট্রলিয়া-নিউজিল্যান্ড মিলিয়ে ৩টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেও মাঠে নামেননি বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব কিংবা মুস্তাফিজ। ব্যাটিংয়ে বেশি রান করতে না পারলেও সাকিব ৩টি উইকেট তুলে নেন। ইনজুরি কাটিয়ে দীর্ঘ ৬ মাস পর মাঠে ফিরেই মুস্তাফিজ তুলে নিলেন ২ উইকেট। ৭ ওভার বল করে ৩৯ রান দিয়েছেন তিনি। যা তার ফিটনেসের কিছুটা হলেও প্রমাণ করে। বাকিটা ডাক্তারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
মুস্তাফিজের বলে কিউই ওপেনার রায়ান ডাফি যেভাবে মুশফিককে ক্যাচ দিলেন তাতেই বোঝা গেল কাটার মাস্টার কতটা দুর্বোধ্য। অন্যদিকে স্বভাবসুলভ ঝলক দেখিয়ে গেলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংটা তার অনেকদিন ধরেই ভালো হচ্ছে না। বিপিএলেও তেমন ধার ছিল না তার ব্যাটে। তবে বোলিংটা খারাপ করছিলেন না। সেই ধারাবাহিকতা থাকল আজকের প্রস্তুতি ম্যাচেও। ৭ ওভার বল করে ৪১ রান দিয়ে তুলে নিলেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। অবশ্য ব্যাট হাতে তিনি করেছিলেন ৩৫ বলে ২৩ রান।
বাংলাদেশের বোলিংয়ে এই দুজনের নামই আজ উল্লেখ করার মতো ছিল। এই দুজনকে আটকাতেই ছক কাটছে নিউজিল্যান্ড। আজকে তাদের দুজনের পারফর্মেন্সের পর সেই শঙ্কাটা আরও বেড়ে গেলি স্বাগতিকদের। উইলিয়ামসনদের ‘ভীতি’ হয়েই রইলেন সাকিব-মুস্তাফিজ।