শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

বাড়ছে জন্ডিসের প্রকোপ, সচেতন থাকতে জেনে নিন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৩০:৫৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০১৭
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাস্তায় দু’পা হাঁটলেই তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ। প্রবল তাপে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে কাটা ফল, লেবু দেওয়া ঠান্ডা জলের সরবত, বরফ দেওয়া রঙিন জল আর হরেক রঙের আইসক্রিম। আর এই স্বস্তিই ডেকে আনছে বিপদ। চিকিৎসকেরা জানান, গরমে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ বছর তা আরও বেড়েছে। সঙ্গে সর্দি-কাশি-জ্বর লেগেই রয়েছে।

শিশু-রোগ বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, একেবারে ছোটদের জন্ডিসের প্রকোপ তেমন নেই। কারণ, তাদের বেশির ভাগেরই হেপাটাইটিস এ এবং ই প্রতিষেধক টিকাকরণ হয়েছে। সমস্যা বেশি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে। কারণ, বছর দশেক আগেও হেপাটাইটিস এ এবং ই-এর টিকাকরণ নিয়ে বেশি সচেতনতা ছিল না। তা ছাড়া, এই বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে স্কুল থেকে ফেরার পথে রঙিন সরবত, আইসক্রিম খাওয়ার প্রবণতা সব চেয়ে বেশি। ফলে জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তাদের বেশি। শিশু-রোগ চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ বলেন, ‘‘বিশুদ্ধ পানি নিয়ে বাড়তি সচেতনতা দরকার। জন্ডিস হলে কম করে এক থেকে ছ’মাস লাগে পুরো সুস্থ হতে। ’’

তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে জন্ডিসের প্রকোপ আরও বেশি। ভারতের মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ও মেডিসিনের চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার জানান, বিশুদ্ধ পানি খাচ্ছেন কি না, তা দেখা যেমন জরুরি, তেমনই যে পাত্রে খাবার বা পানি খাওয়া হচ্ছে, সেটি কতটা পরিষ্কার, সে দিকেও নজর দেওয়া দরকার। এ সময়ে পানির অভাব দেখা যায়। তাই বাড়তি সচেতনতার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। চিকিৎসক প্রবীর বিশ্বাস জানান, অনেকেই এখন জ্বরে ভুগছেন। প্রথমে ভাইরাল মনে হলেও দেখা যাচ্ছে, জন্ডিস হয়েছে। গর্ভবতীদের মধ্যে হেপাটাইটিস ই বেশি দেখা যাচ্ছে। তাঁদের বাড়তি সচেতন হওয়া জরুরি।

জন্ডিসের উপসর্গ কী কী? বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস এ এবং ই-তে আক্রান্ত হলে পেটের ডান দিকে ব্যথা হয়। খিদে পায় না, বমি-বমি ভাব হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ, খাবারের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার। কম মশলার খাবার খাওয়া উচিত, যা সহজেই হজম হয়ে যাবে। রঙিন সরবত, কাটা ফল না খেতেই বলছেন চিকিৎসকেরা।
জন্ডিসের পাশাপাশি মিশ্র আবহাওয়ার জেরে সর্দি-কাশি-জ্বর-গলা ব্যথার প্রকোপও দেখা দিচ্ছে। এ থেকে বাঁচতে এসি-র ব্যবহার কমাতে জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

সূত্র: আনন্দবাজার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

বাড়ছে জন্ডিসের প্রকোপ, সচেতন থাকতে জেনে নিন !

আপডেট সময় : ০২:৩০:৫৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাস্তায় দু’পা হাঁটলেই তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ। প্রবল তাপে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে কাটা ফল, লেবু দেওয়া ঠান্ডা জলের সরবত, বরফ দেওয়া রঙিন জল আর হরেক রঙের আইসক্রিম। আর এই স্বস্তিই ডেকে আনছে বিপদ। চিকিৎসকেরা জানান, গরমে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ বছর তা আরও বেড়েছে। সঙ্গে সর্দি-কাশি-জ্বর লেগেই রয়েছে।

শিশু-রোগ বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, একেবারে ছোটদের জন্ডিসের প্রকোপ তেমন নেই। কারণ, তাদের বেশির ভাগেরই হেপাটাইটিস এ এবং ই প্রতিষেধক টিকাকরণ হয়েছে। সমস্যা বেশি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে। কারণ, বছর দশেক আগেও হেপাটাইটিস এ এবং ই-এর টিকাকরণ নিয়ে বেশি সচেতনতা ছিল না। তা ছাড়া, এই বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে স্কুল থেকে ফেরার পথে রঙিন সরবত, আইসক্রিম খাওয়ার প্রবণতা সব চেয়ে বেশি। ফলে জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তাদের বেশি। শিশু-রোগ চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ বলেন, ‘‘বিশুদ্ধ পানি নিয়ে বাড়তি সচেতনতা দরকার। জন্ডিস হলে কম করে এক থেকে ছ’মাস লাগে পুরো সুস্থ হতে। ’’

তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে জন্ডিসের প্রকোপ আরও বেশি। ভারতের মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ও মেডিসিনের চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার জানান, বিশুদ্ধ পানি খাচ্ছেন কি না, তা দেখা যেমন জরুরি, তেমনই যে পাত্রে খাবার বা পানি খাওয়া হচ্ছে, সেটি কতটা পরিষ্কার, সে দিকেও নজর দেওয়া দরকার। এ সময়ে পানির অভাব দেখা যায়। তাই বাড়তি সচেতনতার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। চিকিৎসক প্রবীর বিশ্বাস জানান, অনেকেই এখন জ্বরে ভুগছেন। প্রথমে ভাইরাল মনে হলেও দেখা যাচ্ছে, জন্ডিস হয়েছে। গর্ভবতীদের মধ্যে হেপাটাইটিস ই বেশি দেখা যাচ্ছে। তাঁদের বাড়তি সচেতন হওয়া জরুরি।

জন্ডিসের উপসর্গ কী কী? বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস এ এবং ই-তে আক্রান্ত হলে পেটের ডান দিকে ব্যথা হয়। খিদে পায় না, বমি-বমি ভাব হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ, খাবারের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার। কম মশলার খাবার খাওয়া উচিত, যা সহজেই হজম হয়ে যাবে। রঙিন সরবত, কাটা ফল না খেতেই বলছেন চিকিৎসকেরা।
জন্ডিসের পাশাপাশি মিশ্র আবহাওয়ার জেরে সর্দি-কাশি-জ্বর-গলা ব্যথার প্রকোপও দেখা দিচ্ছে। এ থেকে বাঁচতে এসি-র ব্যবহার কমাতে জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

সূত্র: আনন্দবাজার।