শিরোনাম :
Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত 

বাঙালি নাচে বিশ্বকে অবাক করতে চান তিশা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:১২:০৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১ মে ২০১৭
  • ৭৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আরব আমিরাত আর বাংলাদেশ একসাথে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৭১ সালে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আর আরব আমিরাত হয় ২ ডিসেম্বর। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আসেন আরব আমিরাতে। আমিরাতের তৎকালীন রাষ্ট্রনায়কের সাথে কথা বলে বাংলাদেশিদের জন্য নানা সুযোগ সুবিধা এনে দেন। সেই থেকে চলছে বাংলাদেশিদের সুখ-দুঃখের জীবনযাত্রা এই আরব আমিরাতে।

সরকারি হিসেবে এখানে বাস করেন সাড়ে ৮ লাখ বাংলাদেশি। তার মধ্যে কয়েক হাজার পরিবার বাস করেন এখানে। তারা নিজেদের বাচ্চাদেরও পড়ান এখানে। এরা পড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বলয়েও নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে সরবে। তেমনি এক প্রতিভার নাম তিশা সেন। তিশারা থাকেন আরব আমিরাতের আজমান শহরে।

তিশার বাবা অনুপ সেন আর মা রুপশ্রী সেন। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটজারীতে। আজমানে আছে নিজস্ব ব্যবসা। সে সুবাধে তিশা ২০০০ সালে পা রাখেন মরুর দেশ আমিরাতে। ২০০৪ সাল থেকে তিশা নাচ শুরু করেন। নাচে স্কুল পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেন। ছোটবেলা থেকে তিনি নাচের পাশাপাশি ছবিও আঁকেন। মূলতঃ ক্লাসিকাল নাচ আর দেশীয় তালে দর্শক মাতাতে তিনি আনন্দ পান। আজমানের ইন্ডিয়ান স্কুল থেকে লেখাপড়া শেষ করে এখন নিজেই শিক্ষকতায় জড়িয়ে আছেন। এর মধ্যে কিছু বেসরকারি টিভিতে অনুষ্ঠানও করেছেন।

সংহতি সাহিত্য পরিষদ, আমিরাত শাখার বাঙালিয়ানা উৎসবে নাচ পরিবেশন করে কমিউনিটিতে সবার নজর কাড়েন তিশা। এরপর একে একে প্রায় সব অনুষ্ঠানে ডাক পেতে শুরু করেন তিশা। নাচের মাধ্যমে সমাজের অসংগতি দূর করার প্রবল ইচ্ছে তার। শুদ্ধ বাঙালিয়ানা আর দেশীয়বোধ তুলে ধরা তার স্বপ্ন।

তিশার সাংস্কৃতিক বলয়ের ছায়াসঙ্গী তার মা-বাবা। পরিবারের আন্তরিক উৎসাহ আর সহযোগিতায় সকল প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে যেতে চান দূর থেকে বহুদূরে। উড়াতে চায় বিশ্বদরবারে লাল-সবুজের পতাকা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

 ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

বাঙালি নাচে বিশ্বকে অবাক করতে চান তিশা !

আপডেট সময় : ০৬:১২:০৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আরব আমিরাত আর বাংলাদেশ একসাথে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৭১ সালে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আর আরব আমিরাত হয় ২ ডিসেম্বর। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আসেন আরব আমিরাতে। আমিরাতের তৎকালীন রাষ্ট্রনায়কের সাথে কথা বলে বাংলাদেশিদের জন্য নানা সুযোগ সুবিধা এনে দেন। সেই থেকে চলছে বাংলাদেশিদের সুখ-দুঃখের জীবনযাত্রা এই আরব আমিরাতে।

সরকারি হিসেবে এখানে বাস করেন সাড়ে ৮ লাখ বাংলাদেশি। তার মধ্যে কয়েক হাজার পরিবার বাস করেন এখানে। তারা নিজেদের বাচ্চাদেরও পড়ান এখানে। এরা পড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বলয়েও নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে সরবে। তেমনি এক প্রতিভার নাম তিশা সেন। তিশারা থাকেন আরব আমিরাতের আজমান শহরে।

তিশার বাবা অনুপ সেন আর মা রুপশ্রী সেন। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটজারীতে। আজমানে আছে নিজস্ব ব্যবসা। সে সুবাধে তিশা ২০০০ সালে পা রাখেন মরুর দেশ আমিরাতে। ২০০৪ সাল থেকে তিশা নাচ শুরু করেন। নাচে স্কুল পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেন। ছোটবেলা থেকে তিনি নাচের পাশাপাশি ছবিও আঁকেন। মূলতঃ ক্লাসিকাল নাচ আর দেশীয় তালে দর্শক মাতাতে তিনি আনন্দ পান। আজমানের ইন্ডিয়ান স্কুল থেকে লেখাপড়া শেষ করে এখন নিজেই শিক্ষকতায় জড়িয়ে আছেন। এর মধ্যে কিছু বেসরকারি টিভিতে অনুষ্ঠানও করেছেন।

সংহতি সাহিত্য পরিষদ, আমিরাত শাখার বাঙালিয়ানা উৎসবে নাচ পরিবেশন করে কমিউনিটিতে সবার নজর কাড়েন তিশা। এরপর একে একে প্রায় সব অনুষ্ঠানে ডাক পেতে শুরু করেন তিশা। নাচের মাধ্যমে সমাজের অসংগতি দূর করার প্রবল ইচ্ছে তার। শুদ্ধ বাঙালিয়ানা আর দেশীয়বোধ তুলে ধরা তার স্বপ্ন।

তিশার সাংস্কৃতিক বলয়ের ছায়াসঙ্গী তার মা-বাবা। পরিবারের আন্তরিক উৎসাহ আর সহযোগিতায় সকল প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে যেতে চান দূর থেকে বহুদূরে। উড়াতে চায় বিশ্বদরবারে লাল-সবুজের পতাকা।