শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

রোজার আগেই বাজারে আগুন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:০৭:০৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১ মে ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মাহে রমজানের এখনো বাকি প্রায় ১ মাস। অথচ এখনই বাজারে নিত্যপণ্যের গায়ে যেন আগুন লেগেছে। একের পর এক পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। ক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজানের আগেই অতিরিক্ত মুনাফা তুলে নিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে সরকারের এমন হুমকি-ধামকির মুখে ব্যবসায়ীরা আগেই ধাপে ধাপে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে দাম বাড়ার পেছনে বিক্রেতারাও নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রমজানে চাহিদা তৈরি হবে এমন পাঁচ পণ্যের দাম কয়েক দিনে কেজিতে বেড়েছে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। এ ক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধির হার প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত। এক বছরে ২৮ শতাংশ দাম বেড়ে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭৫ টাকায়। নতুন মসুর ডাল বাজারে ওঠার পরও তা বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৫০ টাকায়। রমজানকে সামনে রেখে মসুর ডালের দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাত ও মানভেদে দাম ১৭ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১০০-৪০০ টাকায়। শুধুমাত্র কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০-২৬ টাকায়। উৎপাদন ভালো হওয়ায় গত এক বছরে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত। এ ছাড়া দাম বেড়ে গরুর মাংস ৫০০-৫৫০ এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকায়। এ যাবতকালের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ দাম। এছাড়া মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে রসুন সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি রসুন। ধাপে ধাপে বাড়ছে এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি, শুকনো মরিচ, হলুদ, জিরা, তেজপাতার দরও।

এদিকে ডাল, খেজুর, চিনি, মুড়ির দাম তেমন না বাড়লেও দু’তিন মাস আগে থেকেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে নিয়েছে বলে বাজার পর্যবেক্ষকরা অভিযোগ তুলেছেন। তাদের মতে, অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম এমনভাবে বাড়ানো হচ্ছে যে রমজানে তা আর বাড়ানোর কোনো প্রয়োজনই পড়বে না।

বাজার বিশ্লেষকদের দাবি, সিন্ডিকেট এবং মজুদদারির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রমজানের এক মাস আগেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে- রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম আরো বাড়বে। আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণে প্রশাসনিক দুর্বলতা, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারা, নিত্যপণ্যের দর তদারকিতে গাফিলতি এবং বিশেষ মহলের অপকৌশলে বছরের পর বছর ধরে টিসিবি (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) নিষ্কিয় হয়ে থাকায় রমজানের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বরাবরই ব্যর্থ। এর উপর মন্ত্রী-আমলাদের আত্মতুষ্টি, দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে।

এ অবস্থায় মজুদদারি ঠেকাতে রমজানের আগেই বাজার মনিটরিংয়ের সুপারিশ করেছেন বাজার বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের হয়রানি প্রতিরোধে মজুদদারি আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

রোজার আগেই বাজারে আগুন !

আপডেট সময় : ১১:০৭:০৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মাহে রমজানের এখনো বাকি প্রায় ১ মাস। অথচ এখনই বাজারে নিত্যপণ্যের গায়ে যেন আগুন লেগেছে। একের পর এক পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। ক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজানের আগেই অতিরিক্ত মুনাফা তুলে নিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে সরকারের এমন হুমকি-ধামকির মুখে ব্যবসায়ীরা আগেই ধাপে ধাপে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে দাম বাড়ার পেছনে বিক্রেতারাও নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রমজানে চাহিদা তৈরি হবে এমন পাঁচ পণ্যের দাম কয়েক দিনে কেজিতে বেড়েছে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। এ ক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধির হার প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত। এক বছরে ২৮ শতাংশ দাম বেড়ে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭৫ টাকায়। নতুন মসুর ডাল বাজারে ওঠার পরও তা বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৫০ টাকায়। রমজানকে সামনে রেখে মসুর ডালের দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাত ও মানভেদে দাম ১৭ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১০০-৪০০ টাকায়। শুধুমাত্র কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০-২৬ টাকায়। উৎপাদন ভালো হওয়ায় গত এক বছরে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত। এ ছাড়া দাম বেড়ে গরুর মাংস ৫০০-৫৫০ এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকায়। এ যাবতকালের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ দাম। এছাড়া মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে রসুন সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি রসুন। ধাপে ধাপে বাড়ছে এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি, শুকনো মরিচ, হলুদ, জিরা, তেজপাতার দরও।

এদিকে ডাল, খেজুর, চিনি, মুড়ির দাম তেমন না বাড়লেও দু’তিন মাস আগে থেকেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে নিয়েছে বলে বাজার পর্যবেক্ষকরা অভিযোগ তুলেছেন। তাদের মতে, অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম এমনভাবে বাড়ানো হচ্ছে যে রমজানে তা আর বাড়ানোর কোনো প্রয়োজনই পড়বে না।

বাজার বিশ্লেষকদের দাবি, সিন্ডিকেট এবং মজুদদারির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রমজানের এক মাস আগেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে- রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম আরো বাড়বে। আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণে প্রশাসনিক দুর্বলতা, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারা, নিত্যপণ্যের দর তদারকিতে গাফিলতি এবং বিশেষ মহলের অপকৌশলে বছরের পর বছর ধরে টিসিবি (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) নিষ্কিয় হয়ে থাকায় রমজানের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বরাবরই ব্যর্থ। এর উপর মন্ত্রী-আমলাদের আত্মতুষ্টি, দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে।

এ অবস্থায় মজুদদারি ঠেকাতে রমজানের আগেই বাজার মনিটরিংয়ের সুপারিশ করেছেন বাজার বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের হয়রানি প্রতিরোধে মজুদদারি আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।