শিরোনাম :
Logo ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে শোক দিবস পালন Logo বেরোবিতে শহিদ আবু সাঈদ মিউজিয়াম গেইট ও চত্বরের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন Logo ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ায় আহত ১৬ Logo কিশোর অপরাধ দমনে চাঁদপুর জেলা পুলিশের কঠোর অবস্থান কিশোর অপরাধের ভয়াবহ পরিণতি উপলব্ধি করতে পারেন কেবল ভুক্তভোগী পিতা-মাতা ………….মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম Logo ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চাঁদপুর-২ আসনে)” এমপি প্রার্থী মুফতী মানসুর আহমদ সাকী Logo রাজশাহীর বাগমারায় বজ্রপাতে যুবক নিহত Logo মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীসহ রাজশাহীতে ২০ জন আটক Logo কয়রায় জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo রাকসুর তফসিল আদায়ে দ্রুত মাঠে নামার ঘোষণা রাবি ছাত্রশিবির সভাপতির Logo ইসলামী ব্যাংকগুলো শরিয়া অনুসরণ করলে তাদের এ দুর্দশা হতো না

শিশুর কৃমি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৪৫:৪৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বিভিন্ন প্রকার কৃমির মধ্যে শিশুর শরীরে গোলকৃমি, ফিতা কৃমি ও গুঁড়া কৃমির প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। গোলকৃমি শিশুর শ্বাসনালীতেও প্রবেশ করতে পারে। এটি কৃমি শিশুর অন্ত্রে বা পিত্তনালীতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। ফিতা কৃমি শিশুর অন্ত্রে লেগে থেকে রক্তপাত ঘটায়। এতে শিশু ধীরে ধীরে রক্তশূন্য হয়ে পরে। পায়খানার রাস্তায় চুলকানির জন্য গুঁড়া কৃমি দায়ী।

কৃমির কারণে শিশু অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়। কৃমি অন্ত্রে রক্তপাত ঘটিয়ে একদিকে শিশুকে রক্তশূন্য করে আবার অন্ত্রে পুষ্টি উপাদানের পরিপাক ও শোষণে বাধার সৃষ্টি করে ডায়েরিয়া ঘটায়। দীর্ঘ মেয়াদী সংক্রমণের ফলে শিশুর খাদ্যে অরুচি হয় এবং সে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়।

Albendazole বা Mebendazole অথবা Pyrental pamoate দিয়ে সাধারণত শিশুর কৃমির চিকিৎসা করা হয়। দেশে দুই বার জাতীয় টীকা দিবসে এক বছর থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নির্দিষ্ট মাত্রা অনুযায়ী ওষুধগুলো সেবন করা যেতে পারে।

কৃমি প্রতিরোধের নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। খাবার খাওয়ার আগে বা টয়লেটের পরে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের হাতের নখ বড় রাখা যাবে না এবং দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস পরিহার করতে হবে। সময়মতো কৃমি নাশক ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে শোক দিবস পালন

শিশুর কৃমি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার !

আপডেট সময় : ০২:৪৫:৪৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বিভিন্ন প্রকার কৃমির মধ্যে শিশুর শরীরে গোলকৃমি, ফিতা কৃমি ও গুঁড়া কৃমির প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। গোলকৃমি শিশুর শ্বাসনালীতেও প্রবেশ করতে পারে। এটি কৃমি শিশুর অন্ত্রে বা পিত্তনালীতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। ফিতা কৃমি শিশুর অন্ত্রে লেগে থেকে রক্তপাত ঘটায়। এতে শিশু ধীরে ধীরে রক্তশূন্য হয়ে পরে। পায়খানার রাস্তায় চুলকানির জন্য গুঁড়া কৃমি দায়ী।

কৃমির কারণে শিশু অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়। কৃমি অন্ত্রে রক্তপাত ঘটিয়ে একদিকে শিশুকে রক্তশূন্য করে আবার অন্ত্রে পুষ্টি উপাদানের পরিপাক ও শোষণে বাধার সৃষ্টি করে ডায়েরিয়া ঘটায়। দীর্ঘ মেয়াদী সংক্রমণের ফলে শিশুর খাদ্যে অরুচি হয় এবং সে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়।

Albendazole বা Mebendazole অথবা Pyrental pamoate দিয়ে সাধারণত শিশুর কৃমির চিকিৎসা করা হয়। দেশে দুই বার জাতীয় টীকা দিবসে এক বছর থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নির্দিষ্ট মাত্রা অনুযায়ী ওষুধগুলো সেবন করা যেতে পারে।

কৃমি প্রতিরোধের নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। খাবার খাওয়ার আগে বা টয়লেটের পরে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের হাতের নখ বড় রাখা যাবে না এবং দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস পরিহার করতে হবে। সময়মতো কৃমি নাশক ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।