শিরোনাম :
Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত 

জীবন বাঁচাতে কিডনি বিক্রি করছে যে গ্রামের বাসিন্দারা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

জীবন বাঁচানো তাগিদে কত কিছুই করে থাকে মানুষ। তাই বলে নিজের শরীরের কিডনি বিক্রি! অবিশ্বাস্যই মনে হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হয়ে আসছে ভারতের গুজরাটের একটি গ্রামে। আইনের তোয়াক্কা না করেই দরিদ্র গ্রামবাসীরা জীবনধারণের জন্য বিক্রি করছেন তাদের কিডনি। যা পাচার হয়ে যাচ্ছে অন্য পার্শ্ববর্তী রাজ্যে। এমনকি শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, নেপালেও ছড়িয়ে আছে এই চক্র।

গুজরাটের আনন্দ জেলা থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাণ্ডোলি নামের ওই গ্রামটি। গত এক বছরে সেখানকার মোট ১১ জন বাসিন্দা অর্থের জন্য নিজেদের কিডনি বিক্রি করে দিয়েছেন। মুম্বাইয়ের এক এজেন্ট জাভেদ খান, ওই গ্রামের দরিদ্র চাষী ও দিনমজুর পরিবারগুলিকে টাকার লোভ দেখিয়ে ফাঁসায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তিনি আরো জানান, জাভেদের কথা মতো অর্থের জন্য কিডনি বিক্রিতে রাজিও হয়ে যান অনেকে। তারপর জাতীয় ক্যাপিটাল রিজিয়নে (এনসিআর) অস্ত্রোপচার করে বেআইনিভাবে তাঁদের কিডনি বের করে নেওয়া হয়। বিনিময়ে দেওয়া হয় দেড় থেকে আড়াই লক্ষ টাকা। এখানেই শেষ নয়, কোনও ব্যক্তিকে কিডনি বেচার জন্য রাজি করতে পারলেও সেই ব্যক্তিকে দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকা।

স্থানীয় একটি গণমাধ্যম মিরর-এর এক প্রতিনিধি বেশ কিছু গ্রামবাসীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলেন। কীভাবে তাঁদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কীভাবে অস্ত্রোপচার হয়েছে, সে সব অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

গুজরাটে এই ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। বেআইনিভাবে কিডনি কেনা-বেচার অভিযোগে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল পিপলাভ গ্রামের নামও। ২০০৭ সালে সেই ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছিল মুম্বাই পুলিশ। পাণ্ডোলি গ্রামের এই বেআইনি কাজের সঙ্গে কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, কীভাবে দিনের পর দিন গোপনে চলছে এই ব্যবসা। আরও কতদূর ছড়িয়ে এর জাল। গত সপ্তাহে কিডনি পাচার চক্রের সদস্য চিকিৎসক অমিত রাউতকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

 ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

জীবন বাঁচাতে কিডনি বিক্রি করছে যে গ্রামের বাসিন্দারা !

আপডেট সময় : ১১:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

জীবন বাঁচানো তাগিদে কত কিছুই করে থাকে মানুষ। তাই বলে নিজের শরীরের কিডনি বিক্রি! অবিশ্বাস্যই মনে হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হয়ে আসছে ভারতের গুজরাটের একটি গ্রামে। আইনের তোয়াক্কা না করেই দরিদ্র গ্রামবাসীরা জীবনধারণের জন্য বিক্রি করছেন তাদের কিডনি। যা পাচার হয়ে যাচ্ছে অন্য পার্শ্ববর্তী রাজ্যে। এমনকি শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, নেপালেও ছড়িয়ে আছে এই চক্র।

গুজরাটের আনন্দ জেলা থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাণ্ডোলি নামের ওই গ্রামটি। গত এক বছরে সেখানকার মোট ১১ জন বাসিন্দা অর্থের জন্য নিজেদের কিডনি বিক্রি করে দিয়েছেন। মুম্বাইয়ের এক এজেন্ট জাভেদ খান, ওই গ্রামের দরিদ্র চাষী ও দিনমজুর পরিবারগুলিকে টাকার লোভ দেখিয়ে ফাঁসায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তিনি আরো জানান, জাভেদের কথা মতো অর্থের জন্য কিডনি বিক্রিতে রাজিও হয়ে যান অনেকে। তারপর জাতীয় ক্যাপিটাল রিজিয়নে (এনসিআর) অস্ত্রোপচার করে বেআইনিভাবে তাঁদের কিডনি বের করে নেওয়া হয়। বিনিময়ে দেওয়া হয় দেড় থেকে আড়াই লক্ষ টাকা। এখানেই শেষ নয়, কোনও ব্যক্তিকে কিডনি বেচার জন্য রাজি করতে পারলেও সেই ব্যক্তিকে দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকা।

স্থানীয় একটি গণমাধ্যম মিরর-এর এক প্রতিনিধি বেশ কিছু গ্রামবাসীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলেন। কীভাবে তাঁদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কীভাবে অস্ত্রোপচার হয়েছে, সে সব অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

গুজরাটে এই ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। বেআইনিভাবে কিডনি কেনা-বেচার অভিযোগে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল পিপলাভ গ্রামের নামও। ২০০৭ সালে সেই ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছিল মুম্বাই পুলিশ। পাণ্ডোলি গ্রামের এই বেআইনি কাজের সঙ্গে কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, কীভাবে দিনের পর দিন গোপনে চলছে এই ব্যবসা। আরও কতদূর ছড়িয়ে এর জাল। গত সপ্তাহে কিডনি পাচার চক্রের সদস্য চিকিৎসক অমিত রাউতকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন