শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

ইবিতে জুলাই বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২৪ জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘শহীদ আবু সাঈদ আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা’র আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি’র ১৬৬ নম্বর কক্ষে প্রতিযোগিতার কার্যক্রম শুরু হয়। দিনব্যাপী এ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি বিভাগের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ, পঙ্কজ রায়, গোলাম রাব্বানী ও আইইউডিএস-এর সদস্য সচিব দিদারুল ইসলাম প্রমুখ।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বিটিভি বিতর্ক প্রতিযোগিতার নির্দেশক নাজমুল হুদা আজাদ, সাবেক টিভি বিতার্কিক মো. খালিদ হাসান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হল ডিবেটিং সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তৌফিক আজমিম মাহমুদ এবং আইইউডিএস-এর সাবেক আহ্বায়ক ও টিভি বিতার্কিক নোমান ইবনে বাশার।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে এবং ‘জুলাই স্পিরিট’ ধারণ করে আমরা এই বিতর্কের আয়োজন করেছি। ২০১৭ সালের পর দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা হয়নি। এবার ২২টি বিভাগের অংশগ্রহণে আমরা আবার এ সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। নকআউট পদ্ধতিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”

ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হলো সৃজনশীলতা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশের স্থান। বিতর্ক প্রতিযোগিতা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেকদিন পর হলেও জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে এমন আয়োজন শুরু করতে পারা আনন্দের। আশা করি, এটি ধারাবাহিকভাবে চলবে। বিতর্কের মাধ্যমে মত প্রকাশ ও পারস্পরিক সহমর্মিতার সুযোগ তৈরি হবে, যা শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গঠনে সহায়ক হবে।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

ইবিতে জুলাই বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা

আপডেট সময় : ০৭:২২:৪৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২৪ জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘শহীদ আবু সাঈদ আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা’র আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি’র ১৬৬ নম্বর কক্ষে প্রতিযোগিতার কার্যক্রম শুরু হয়। দিনব্যাপী এ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি বিভাগের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ, পঙ্কজ রায়, গোলাম রাব্বানী ও আইইউডিএস-এর সদস্য সচিব দিদারুল ইসলাম প্রমুখ।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বিটিভি বিতর্ক প্রতিযোগিতার নির্দেশক নাজমুল হুদা আজাদ, সাবেক টিভি বিতার্কিক মো. খালিদ হাসান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হল ডিবেটিং সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তৌফিক আজমিম মাহমুদ এবং আইইউডিএস-এর সাবেক আহ্বায়ক ও টিভি বিতার্কিক নোমান ইবনে বাশার।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে এবং ‘জুলাই স্পিরিট’ ধারণ করে আমরা এই বিতর্কের আয়োজন করেছি। ২০১৭ সালের পর দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা হয়নি। এবার ২২টি বিভাগের অংশগ্রহণে আমরা আবার এ সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। নকআউট পদ্ধতিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”

ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হলো সৃজনশীলতা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশের স্থান। বিতর্ক প্রতিযোগিতা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেকদিন পর হলেও জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে এমন আয়োজন শুরু করতে পারা আনন্দের। আশা করি, এটি ধারাবাহিকভাবে চলবে। বিতর্কের মাধ্যমে মত প্রকাশ ও পারস্পরিক সহমর্মিতার সুযোগ তৈরি হবে, যা শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গঠনে সহায়ক হবে।”