শিরোনাম :
Logo পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আইনি প্রক্রিয়ায় আটকে আছে বৃদ্ধের ময়নাতদন্ত, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন Logo ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন জনগণের দাবি: সালাহউদ্দিন Logo আগে বিচার এরপর সংস্কার ও নির্বাচন: মুজিবুর রহমান Logo নির্বাচন নিয়ে একটি মহল জাতিকে ব্ল্যাকমেইল করছে: মির্জা আব্বাস Logo চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতির সাথে পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের মতবিনিময় Logo ১৫ দিনের অবকাশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় Logo ২৪ টি গবেষণা প্রকল্প পরিদর্শনে হাবিপ্রবিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম Logo পিছিয়ে গেল বিএনপি মহাসচিবের দেশে ফেরা Logo ডিসেম্বরে ভোট চায় শতাধিক দল Logo নাইজেরিয়ায় বন্যায় ভেসে গেল ঘরবাড়ি, নিহত ১১৫

মুক্তি পেলেন জামায়াত নেতা এ টি এম আজহার

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • ৭১৭ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী সরকারের আমলে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন। এর আগ পর্যন্ত তিনি কেরানীগঞ্জ কারাগারের তত্ত্বাবধানে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

আজহারুল ইসলামের মুক্তির আগে তাকে খালাস দিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) এসে পৌঁছায়। সেখানে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কারা কর্তৃপক্ষ আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

বুধবার (২৮ মে) ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ দিন সকাল ৯টা ৫ মিনিটে হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেওয়া হয় আজহারুল ইসলামকে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল মঞ্জুর করে খালাসের রায় দেন।

রায়ে সর্বোচ্চ আদালত ২০১৪ সালে এ টি এম আজহারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া আগের রায় বাতিল ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতেও বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম। এর আগে ৬ মে প্রথম দিনের মতো শুনানি হয়।

রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন—জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুল হালিম, মোবারক হোসাইন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ আরও অনেকে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আইনি প্রক্রিয়ায় আটকে আছে বৃদ্ধের ময়নাতদন্ত, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

মুক্তি পেলেন জামায়াত নেতা এ টি এম আজহার

আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

আওয়ামী সরকারের আমলে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন। এর আগ পর্যন্ত তিনি কেরানীগঞ্জ কারাগারের তত্ত্বাবধানে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

আজহারুল ইসলামের মুক্তির আগে তাকে খালাস দিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) এসে পৌঁছায়। সেখানে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কারা কর্তৃপক্ষ আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

বুধবার (২৮ মে) ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ দিন সকাল ৯টা ৫ মিনিটে হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেওয়া হয় আজহারুল ইসলামকে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল মঞ্জুর করে খালাসের রায় দেন।

রায়ে সর্বোচ্চ আদালত ২০১৪ সালে এ টি এম আজহারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া আগের রায় বাতিল ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতেও বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম। এর আগে ৬ মে প্রথম দিনের মতো শুনানি হয়।

রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন—জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুল হালিম, মোবারক হোসাইন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ আরও অনেকে।