শিরোনাম :
Logo ইবিতে তারুণ্যের তত্ত্বাবধানে নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালা Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার এসআই মো. মাসুদ রানা জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। Logo রক্ত লাগলে রক্ত নে,জগন্নাথে হল দে’ রাজপথে লিখল শিক্ষার্থীরা Logo শেরপুরের উন্নয়ন দাবিতে নাগরিক মানববন্ধন ১৫ মে Logo ৩২বিঘা জমি ও প্রতিবেশীদের ফাঁসাতেই তারা নিজ মেয়েকে খু*ন। Logo নজরুল ও হাফিজের সাহিত্য নিয়ে রাবিতে মানবতা বিষয়ক সেমিনার Logo ছাত্রদল নেতা সাম্য’র হত্যাকারীদের দ্রুত গ্ৰেফতারের দাবিতে রাবি ছাত্রদলের অবস্থান Logo দ্বিতীয়দিনে অনড় অবস্থানে জবি শিক্ষার্থীরা;দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন Logo চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে আটি, গুটি ও বোম্বাই আম সংগ্রহ শুরু Logo চুয়াডাঙ্গার মাটিতে কালো আঙুর চাষ করে বাজিমাত কলেজছাত্র শামিমের

দ্বিতীয়দিনে অনড় অবস্থানে জবি শিক্ষার্থীরা;দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:৩১:৪৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • ৭০৯ বার পড়া হয়েছে

জবি প্রতিনিধি: মোঃনিয়াজ শফিক

তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়কে অবস্থান করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে আছেন শিক্ষকেরাও। দাবি আদায়ে কাকরাইল মসজিদের সামনের রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন তারা। তিন দফা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপর ১২টায় সরজমিনে দেখা যায়, এখনও সড়কেই অবস্থান করছেন তারা। আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে কাকরাইল মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকায় তৈরি হয়েছে যানজট। এদিকে, পুলিশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টায় তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ শুরু করেন জবির শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা। লং মার্চটি গুলিস্থান, মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের সামনে আসলে ১২টা ৪০ মিনিটে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশি কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকে ওখানে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

এরমধ্যে গতকাল রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের একাংশ ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন এবং ভিড় থেকে কেউ একজন তাকে লক্ষ্য করে পানির বোতল ছুড়ে মারেন।

রাত ১২টার দিকে এই প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে ব্রিফ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্যসচিব সামসুল আরেফিন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি বলেন, “উপদেষ্টা মহোদয় যখন ব্রিফ করছিলেন তখন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়। জবি শিক্ষার্থীরা মনে করে, এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমরা দায়ী নই। আমরা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করছি, তবে এর দায় সরকারকে নিতে হবে। আমাদের দাবি যদি মেনে নেওয়া হতো, তাহলে আমরা এখানে আসতাম না, আর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটতো না।”

তিনি বলেন, “এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন উপদেষ্টা চলে যান, তাতে মনে হয়, তিনি ব্যক্তিগত ক্ষোভকে প্রাধান্য দিয়েছেন। আমরা তার ব্যক্তিগত ক্ষোভকে প্রাধান্য দেওয়াকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।”

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে তারুণ্যের তত্ত্বাবধানে নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালা

দ্বিতীয়দিনে অনড় অবস্থানে জবি শিক্ষার্থীরা;দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন

আপডেট সময় : ০১:৩১:৪৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

জবি প্রতিনিধি: মোঃনিয়াজ শফিক

তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়কে অবস্থান করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে আছেন শিক্ষকেরাও। দাবি আদায়ে কাকরাইল মসজিদের সামনের রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন তারা। তিন দফা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপর ১২টায় সরজমিনে দেখা যায়, এখনও সড়কেই অবস্থান করছেন তারা। আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে কাকরাইল মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকায় তৈরি হয়েছে যানজট। এদিকে, পুলিশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টায় তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ শুরু করেন জবির শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা। লং মার্চটি গুলিস্থান, মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের সামনে আসলে ১২টা ৪০ মিনিটে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশি কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকে ওখানে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

এরমধ্যে গতকাল রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের একাংশ ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন এবং ভিড় থেকে কেউ একজন তাকে লক্ষ্য করে পানির বোতল ছুড়ে মারেন।

রাত ১২টার দিকে এই প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে ব্রিফ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্যসচিব সামসুল আরেফিন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি বলেন, “উপদেষ্টা মহোদয় যখন ব্রিফ করছিলেন তখন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়। জবি শিক্ষার্থীরা মনে করে, এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমরা দায়ী নই। আমরা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করছি, তবে এর দায় সরকারকে নিতে হবে। আমাদের দাবি যদি মেনে নেওয়া হতো, তাহলে আমরা এখানে আসতাম না, আর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটতো না।”

তিনি বলেন, “এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন উপদেষ্টা চলে যান, তাতে মনে হয়, তিনি ব্যক্তিগত ক্ষোভকে প্রাধান্য দিয়েছেন। আমরা তার ব্যক্তিগত ক্ষোভকে প্রাধান্য দেওয়াকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।”

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।