গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল, যা ইতোমধ্যে সুপারিশ জমা দিয়েছে। তবে এসব সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকায় সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছে। গত বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাত সদস্যের এই কমিশনের ঘোষণা দেয়।
কমিশনের সভাপতি হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং সহসভাপতি সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। অন্যান্য সদস্যরা হলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
কমিশন আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে এবং আগামী ছয় মাসের জন্য কার্যকর থাকবে। এই সময়ের মধ্যে তারা রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন, সংবিধান, পুলিশ, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত সংস্কারের সুপারিশ করবে।