শিরোনাম :
Logo জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি Logo ইবিতে খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

ঘরোয়া উপায়ে সহজেই দূর করুন মুখের দুর্গন্ধ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:০৩:৫৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭২২ বার পড়া হয়েছে

মুখের দুর্গন্ধের কারণে কথা বলতে লজ্জা লাগছে? অনেককে এমন অবস্থায় অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়। এমন একটি সমস্যা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে আপনার ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রেও। এ সমস্যা আপনার সুন্দরভাবে কথা বলার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। তবে ঘরোয়া কিছু উপায় দারুণ কাজ করে এ সমস্যা থেকে মুক্তিতে। চলুন দেখে আসি ঘরোয়া উপায়গুলো:

১. দারুচিনি ও লবঙ্গ: এক কাপ বিশুদ্ধ পানি নিন। তাতে ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা দারুচিনি ও লবঙ্গ তেল যুক্ত করুন। তারপর ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণ আপনার মুখের দুর্গন্ধ তাড়াতে পারে। এ মাউথওয়াশ দীর্ঘদিন সংরক্ষণও করা যায়।
২. মধু এবং দারুচিনি: মধু এবং দারুচিনি উভয়েই শক্তিশালী অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মুখে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি হতে দেয় না এবং মাড়িকেও সুস্থ রাখে। তাই দাঁত এবং মাড়িতে নিয়মিত মধু ও দারুচিনির পেস্ট লাগালে দাঁতের ক্ষয়, মাড়ি থেকে রক্তপাত এবং এমনকি মুখে দুর্গন্ধের সমস্যাও কমে যায় অতি দ্রুত।

৩. লবণ পানি: উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে গার্গল করার উপকারিতা কারোরই অজানা নয়। কোনো খাবার খাওয়ার পর এই অভ্যাস আপনার মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে দেবে না। গলা ব্যথা বা গলা ভাঙার ক্ষেত্রে লবণ পানির গার্গল কার্যকরী হওয়ার পাশাপাশি এটি মুখের খারাপ ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে পারে এবং দুর্গন্ধ কমাতেও পারে।

৪. পানি: সারাদিনে পানি কম পান করলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। পানি মুখ থেকে ব্যাকটেরিয়া বের করে দিতে সাহায্য করে। আপনার যদি মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা হয় তাহলে দিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৫. লেবুর রস: মুখের দুর্গন্ধ যখন বেড়ে যায়, তখন লেবুর রস পান করা উচিত। লেবু পানি মুখের জীবাণুগুলোকে মেরে ফেলে। এতে দুর্গন্ধ কমে আসে। তাই খাওয়ার পানিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়েও খেতে পারেন।

৬. পিপারমিন্ট ও চা-পাতার তেল: এক কাপ পানিতে দুই চা-চামচ বেকিং সোডা, আট-নয়টি পিপারমিন্ট-পাতা ও দুই চামচ চা-পাতার তেল। উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

৭. পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতাকে প্রাকৃতিক মাউথ ফ্রেশনার বলা যায়। কারণ অল্প সময়ের মধ্যে এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। তাই মুখে দুর্গন্ধ হলে ২-৩টি পুদিনা পাতা নিয়ে চিবোতে থাকুন। পাশাপাশি খেতে পারেন পুদিনা পাতার শরবত। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য প্রায়ই পুদিনা পাতার কথা বলেন।

৮. জোয়ান: মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে জোয়ান চিবিয়ে দেখতে পারেন। জোয়ান ছাড়াও জিরা এ ক্ষেত্রে ভালো কাজে দেয়।

৯. এলাচ: দীর্ঘ সময় মুখে এলাচ রেখে দিলে দুর্গন্ধ একেবারেই কমে যায়। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে এলাচের মাধ্যমে চিকিৎসাকে মোক্ষম দাওয়াই হিসেবে বিবেচনা করেন।

১০.নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ: ভাল মৌখিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং মুখের দুর্গন্ধে অবদান রাখে এমন কোনও অন্তর্নিহিত দাঁতের সমস্যা সমাধানের জন্য পেশাদার পরিষ্কার এবং দাঁতের চেকআপের জন্য নিয়মিত আপনার দাঁতের ডাক্তারের কাছে যান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি

ঘরোয়া উপায়ে সহজেই দূর করুন মুখের দুর্গন্ধ

আপডেট সময় : ০৭:০৩:৫৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মুখের দুর্গন্ধের কারণে কথা বলতে লজ্জা লাগছে? অনেককে এমন অবস্থায় অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়। এমন একটি সমস্যা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে আপনার ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রেও। এ সমস্যা আপনার সুন্দরভাবে কথা বলার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। তবে ঘরোয়া কিছু উপায় দারুণ কাজ করে এ সমস্যা থেকে মুক্তিতে। চলুন দেখে আসি ঘরোয়া উপায়গুলো:

১. দারুচিনি ও লবঙ্গ: এক কাপ বিশুদ্ধ পানি নিন। তাতে ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা দারুচিনি ও লবঙ্গ তেল যুক্ত করুন। তারপর ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণ আপনার মুখের দুর্গন্ধ তাড়াতে পারে। এ মাউথওয়াশ দীর্ঘদিন সংরক্ষণও করা যায়।
২. মধু এবং দারুচিনি: মধু এবং দারুচিনি উভয়েই শক্তিশালী অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মুখে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি হতে দেয় না এবং মাড়িকেও সুস্থ রাখে। তাই দাঁত এবং মাড়িতে নিয়মিত মধু ও দারুচিনির পেস্ট লাগালে দাঁতের ক্ষয়, মাড়ি থেকে রক্তপাত এবং এমনকি মুখে দুর্গন্ধের সমস্যাও কমে যায় অতি দ্রুত।

৩. লবণ পানি: উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে গার্গল করার উপকারিতা কারোরই অজানা নয়। কোনো খাবার খাওয়ার পর এই অভ্যাস আপনার মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে দেবে না। গলা ব্যথা বা গলা ভাঙার ক্ষেত্রে লবণ পানির গার্গল কার্যকরী হওয়ার পাশাপাশি এটি মুখের খারাপ ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে পারে এবং দুর্গন্ধ কমাতেও পারে।

৪. পানি: সারাদিনে পানি কম পান করলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। পানি মুখ থেকে ব্যাকটেরিয়া বের করে দিতে সাহায্য করে। আপনার যদি মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা হয় তাহলে দিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৫. লেবুর রস: মুখের দুর্গন্ধ যখন বেড়ে যায়, তখন লেবুর রস পান করা উচিত। লেবু পানি মুখের জীবাণুগুলোকে মেরে ফেলে। এতে দুর্গন্ধ কমে আসে। তাই খাওয়ার পানিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়েও খেতে পারেন।

৬. পিপারমিন্ট ও চা-পাতার তেল: এক কাপ পানিতে দুই চা-চামচ বেকিং সোডা, আট-নয়টি পিপারমিন্ট-পাতা ও দুই চামচ চা-পাতার তেল। উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

৭. পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতাকে প্রাকৃতিক মাউথ ফ্রেশনার বলা যায়। কারণ অল্প সময়ের মধ্যে এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। তাই মুখে দুর্গন্ধ হলে ২-৩টি পুদিনা পাতা নিয়ে চিবোতে থাকুন। পাশাপাশি খেতে পারেন পুদিনা পাতার শরবত। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য প্রায়ই পুদিনা পাতার কথা বলেন।

৮. জোয়ান: মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে জোয়ান চিবিয়ে দেখতে পারেন। জোয়ান ছাড়াও জিরা এ ক্ষেত্রে ভালো কাজে দেয়।

৯. এলাচ: দীর্ঘ সময় মুখে এলাচ রেখে দিলে দুর্গন্ধ একেবারেই কমে যায়। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে এলাচের মাধ্যমে চিকিৎসাকে মোক্ষম দাওয়াই হিসেবে বিবেচনা করেন।

১০.নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ: ভাল মৌখিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং মুখের দুর্গন্ধে অবদান রাখে এমন কোনও অন্তর্নিহিত দাঁতের সমস্যা সমাধানের জন্য পেশাদার পরিষ্কার এবং দাঁতের চেকআপের জন্য নিয়মিত আপনার দাঁতের ডাক্তারের কাছে যান।