শিরোনাম :
Logo জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি Logo ইবিতে খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

মুখে ঘা হলে করণীয়

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:০২:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭২৪ বার পড়া হয়েছে
মুখের ঘা একটি সাধারণ সমস্যা হিসেবেই বিবেচিত। মুখে ঘা হয়নি কখনো এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া আমাদের সমাজে কষ্টকর। মুখের ঘা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে, তা আবার স্বাভাবিকভাবেই ঠিক হয়ে যায় একটি সময়ের পর। কিন্তু কিছু ঘা প্রাণঘাতী হতে পারে। সাধারণত বেদনাদায়ক এই মুখের ঘা, বড় ধরনের কোনো জটিলতা প্রকাশ করে না, মুখের ঘা/আলসার একটি ক্ষত যা আপনার মুখের ভিতরের টিস্যুতে তৈরি হয়। ক্ষতগুলো সাধারণত লাল, হলুদ, সাদা বর্ণের হয়।

যে স্থানে ঘা হয় : মাড়ি, জিহ্বা, তালু ও ভিতরের গালে। এই ক্ষতগুলো সাধারণত বেদনাদায়ক হয় এবং খাওয়া, পানকরা ও কথা বলায়ও অশস্তির কারণ হয়। কারণসমূহ : সাধারণ কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো :  ১. আঘাত, ২. গালে বা ঠোঁটে কামড় লাগা, ৩. ব্রাশের আঘাত, ৪. মানসিক অস্থিরতা (দীর্ঘমেয়াদি)।

হরমোন পরিবর্তন : মেয়েদের এই সমস্যা হতে পারে। মাসিক, গর্ভাবস্থায়, মেনোপোজের সময়। পুষ্টির ঘাটতি : এছাড়া ভিটামিন বি-১২, আয়রন ও ফলিক এসিডের তারতম্য।

খাদ্য সংবেদনশীলতা : মসলাদার খাবার, অতিরিক্ত চকোলেট, এসিডিক খাবারের কারণে মুখে ঘা হতে পারে। খাবারের এলার্জির কারণেও হতে পারে।

সংক্রমণ : বিভিন্ন ভাইরাল সংক্রমণ যেমন Herpes Virus দ্বারা সংক্রমিত আলসার। কিছু Bacteria ঘা তৈরি করে।

আলসার সম্পর্কিত রোগ :

১. অটোইমুউন রোগ, ২. পাকতন্ত্রজনিত রোগ, ৩. ভাইরাল ইনফেকশন ও ৪. পুষ্টির ঘাটতি।

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?

মুখের সাধারণ ঘা কিছু দিন পর নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যায়। তবে কিছু পরিস্থিতিতে দ্রুত নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। যেমন : ১. মুখের এক বা একাধিক স্থানে ব্যথামুক্ত ঘা

হলে, ২. তিন (০৩) সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে, ৩. বড় ও ব্যথাযুক্ত হলে, ও ৪. ওষুধ সেবনের পর ঘা দেখা দিলে।

আমরা ঘরে যা যা করতে পারি : ১. লবণ পানি কুলি করা, ২. মধু লাগানো, ৩. অ্যালোভেরা ব্যবহার করা ও ৪. মসলাযুক্ত ও এসিড খাবার এড়িয়ে চলা।

লেখক : চিফ কনসালট্যান্ট, মনামী ডেন্টাল কেয়ার, সাভার, ঢাকা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি

মুখে ঘা হলে করণীয়

আপডেট সময় : ০৭:০২:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মুখের ঘা একটি সাধারণ সমস্যা হিসেবেই বিবেচিত। মুখে ঘা হয়নি কখনো এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া আমাদের সমাজে কষ্টকর। মুখের ঘা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে, তা আবার স্বাভাবিকভাবেই ঠিক হয়ে যায় একটি সময়ের পর। কিন্তু কিছু ঘা প্রাণঘাতী হতে পারে। সাধারণত বেদনাদায়ক এই মুখের ঘা, বড় ধরনের কোনো জটিলতা প্রকাশ করে না, মুখের ঘা/আলসার একটি ক্ষত যা আপনার মুখের ভিতরের টিস্যুতে তৈরি হয়। ক্ষতগুলো সাধারণত লাল, হলুদ, সাদা বর্ণের হয়।

যে স্থানে ঘা হয় : মাড়ি, জিহ্বা, তালু ও ভিতরের গালে। এই ক্ষতগুলো সাধারণত বেদনাদায়ক হয় এবং খাওয়া, পানকরা ও কথা বলায়ও অশস্তির কারণ হয়। কারণসমূহ : সাধারণ কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো :  ১. আঘাত, ২. গালে বা ঠোঁটে কামড় লাগা, ৩. ব্রাশের আঘাত, ৪. মানসিক অস্থিরতা (দীর্ঘমেয়াদি)।

হরমোন পরিবর্তন : মেয়েদের এই সমস্যা হতে পারে। মাসিক, গর্ভাবস্থায়, মেনোপোজের সময়। পুষ্টির ঘাটতি : এছাড়া ভিটামিন বি-১২, আয়রন ও ফলিক এসিডের তারতম্য।

খাদ্য সংবেদনশীলতা : মসলাদার খাবার, অতিরিক্ত চকোলেট, এসিডিক খাবারের কারণে মুখে ঘা হতে পারে। খাবারের এলার্জির কারণেও হতে পারে।

সংক্রমণ : বিভিন্ন ভাইরাল সংক্রমণ যেমন Herpes Virus দ্বারা সংক্রমিত আলসার। কিছু Bacteria ঘা তৈরি করে।

আলসার সম্পর্কিত রোগ :

১. অটোইমুউন রোগ, ২. পাকতন্ত্রজনিত রোগ, ৩. ভাইরাল ইনফেকশন ও ৪. পুষ্টির ঘাটতি।

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?

মুখের সাধারণ ঘা কিছু দিন পর নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যায়। তবে কিছু পরিস্থিতিতে দ্রুত নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। যেমন : ১. মুখের এক বা একাধিক স্থানে ব্যথামুক্ত ঘা

হলে, ২. তিন (০৩) সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে, ৩. বড় ও ব্যথাযুক্ত হলে, ও ৪. ওষুধ সেবনের পর ঘা দেখা দিলে।

আমরা ঘরে যা যা করতে পারি : ১. লবণ পানি কুলি করা, ২. মধু লাগানো, ৩. অ্যালোভেরা ব্যবহার করা ও ৪. মসলাযুক্ত ও এসিড খাবার এড়িয়ে চলা।

লেখক : চিফ কনসালট্যান্ট, মনামী ডেন্টাল কেয়ার, সাভার, ঢাকা।