১. ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনামলে, বিশেষ করে ২০২৪ সালের আন্দোলনের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া।
ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগেরও অনেক নেতা এবং সাবেক এমপি-মন্ত্রী ভারত ও অন্য দেশে চলে গেছেন। অনেকে আটক হয়ে কারাগারে আছেন। এতে দলের নেতৃত্ব ও কার্যক্রম এখন দৃশ্যমান নয়। ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের সংকট কাটাতে সময় লেগেছিল দীর্ঘ ২১ বছর। জুলাই-আগস্টে গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে পড়া আওয়ামী লীগ এবার ফিরতে কত সময় লাগবে এবং কীভাবে ফিরে— এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।
সম্প্রতি কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং রাজনীতি বিশ্লেষক আলী রিয়াজ। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আওয়ামী লীগের পুনরুত্থানের জন্য চারটি শর্ত উল্লেখ করেন।
৩. শেখ হাসিনার পরিবারের কোনো সদস্যকে আর নেতৃত্বে না রাখা।
৪. মানবতাবিরোধী অপরাধসহ সব নৃশংস অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা।
আলী রিয়াজ বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় যেসব ব্যক্তি গণহত্যার জন্য সরাসরি দায়ী, তাদের বিচার হতে হবে, যার মধ্যে শেখ হাসিনাও অন্তর্ভুক্ত। এই শর্তগুলো পূরণ হলে তাদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।’