শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

ফের রেলপথে ‌দিল্লি–ঢাকা পণ্য বাণিজ্য শুরু !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:১৯:৩৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ ১১ বছর পরে রেলপথে আবার শুরু হল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি–রপ্তানি। এর ফলে একদিকে যেমন ব্যবসা–বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে অন্যদিকে কর্মসংস্থান–সহ সুযোগ–সুবিধা বৃদ্ধি পাবে বাংলাদেশে। গত ৮ মার্চ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রেন ৪২টি ওয়াগনে ২ হাজার ৪৭২ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

বাংলাদেশের বিরল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজ জানান, দীর্ঘদিন পরে মিটার গেজ থেকে রূপান্তরিত ডুয়েল গেজ দিয়ে দিনাজপুরের সীমান্ত অঞ্চল থেকে রেলে পণ্য ঢুকল বাংলাদেশে। এর ফলে দিনাজপুরের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে ভারত, নেপাল, ভুটান এবং মায়ানমারের সঙ্গে রেলপথে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহণের চুক্তি অনুযায়ী বিরল সীমান্ত দিয়ে ডুয়েল গেজ রেলপথে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে ভারতীয় পাথরবাহী একটি ট্রেন বুধবার বাংলাদেশে আসে। পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় স্থানীয় থেকে ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখছেন। তাদের দাবি, খবু তাড়াতাড়ি বিরলে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলাচল শুরু করা হোক।

দিনাজপুর রেলওয়ে বিভাগের আধিকারিক রাকিবুল হাসান জানান, গত বছর বাংলাদেশের পার্বতীপুর থেকে ভারতের রাধিকাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত মিটার গেজকে ডুয়েল গেজে রূপান্তরিত করা হয়। ভারত–বাংলাদেশের ট্রেনের এই রুটটি দিয়ে আমদানি–রপ্তানি শুরু হলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাংলাদেশের সরকারও লাভবান হবে মনে করেছেন অনেক স্থানীয় ব্যবসায়ী।

ব্রিটিশ আমলে অবিভক্ত ভারতবর্ষ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মিটার গেজের রেলপথে নেপাল, ভারত এবং মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশে মধ্যে সীমিত সংখ্যক পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করত বিরল রেলপথ দিয়ে। ২০০৬ সালে ভারত রাধিকাপুর পযর্ন্ত ব্রড গেজ রেলপথ তৈরি করায় রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ১১ বছর পরে বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার জন্য ভারতের উত্তর দিনাজপুরের রাধিকাপুর স্টেশন পর্যন্ত ব্রড গেজ রেলপথ সম্প্রসারণ করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

ফের রেলপথে ‌দিল্লি–ঢাকা পণ্য বাণিজ্য শুরু !

আপডেট সময় : ০২:১৯:৩৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ ১১ বছর পরে রেলপথে আবার শুরু হল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি–রপ্তানি। এর ফলে একদিকে যেমন ব্যবসা–বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে অন্যদিকে কর্মসংস্থান–সহ সুযোগ–সুবিধা বৃদ্ধি পাবে বাংলাদেশে। গত ৮ মার্চ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রেন ৪২টি ওয়াগনে ২ হাজার ৪৭২ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

বাংলাদেশের বিরল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজ জানান, দীর্ঘদিন পরে মিটার গেজ থেকে রূপান্তরিত ডুয়েল গেজ দিয়ে দিনাজপুরের সীমান্ত অঞ্চল থেকে রেলে পণ্য ঢুকল বাংলাদেশে। এর ফলে দিনাজপুরের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে ভারত, নেপাল, ভুটান এবং মায়ানমারের সঙ্গে রেলপথে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহণের চুক্তি অনুযায়ী বিরল সীমান্ত দিয়ে ডুয়েল গেজ রেলপথে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে ভারতীয় পাথরবাহী একটি ট্রেন বুধবার বাংলাদেশে আসে। পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় স্থানীয় থেকে ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখছেন। তাদের দাবি, খবু তাড়াতাড়ি বিরলে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলাচল শুরু করা হোক।

দিনাজপুর রেলওয়ে বিভাগের আধিকারিক রাকিবুল হাসান জানান, গত বছর বাংলাদেশের পার্বতীপুর থেকে ভারতের রাধিকাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত মিটার গেজকে ডুয়েল গেজে রূপান্তরিত করা হয়। ভারত–বাংলাদেশের ট্রেনের এই রুটটি দিয়ে আমদানি–রপ্তানি শুরু হলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাংলাদেশের সরকারও লাভবান হবে মনে করেছেন অনেক স্থানীয় ব্যবসায়ী।

ব্রিটিশ আমলে অবিভক্ত ভারতবর্ষ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মিটার গেজের রেলপথে নেপাল, ভারত এবং মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশে মধ্যে সীমিত সংখ্যক পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করত বিরল রেলপথ দিয়ে। ২০০৬ সালে ভারত রাধিকাপুর পযর্ন্ত ব্রড গেজ রেলপথ তৈরি করায় রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ১১ বছর পরে বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার জন্য ভারতের উত্তর দিনাজপুরের রাধিকাপুর স্টেশন পর্যন্ত ব্রড গেজ রেলপথ সম্প্রসারণ করে।