শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

ফের রেলপথে ‌দিল্লি–ঢাকা পণ্য বাণিজ্য শুরু !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:১৯:৩৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ ১১ বছর পরে রেলপথে আবার শুরু হল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি–রপ্তানি। এর ফলে একদিকে যেমন ব্যবসা–বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে অন্যদিকে কর্মসংস্থান–সহ সুযোগ–সুবিধা বৃদ্ধি পাবে বাংলাদেশে। গত ৮ মার্চ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রেন ৪২টি ওয়াগনে ২ হাজার ৪৭২ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

বাংলাদেশের বিরল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজ জানান, দীর্ঘদিন পরে মিটার গেজ থেকে রূপান্তরিত ডুয়েল গেজ দিয়ে দিনাজপুরের সীমান্ত অঞ্চল থেকে রেলে পণ্য ঢুকল বাংলাদেশে। এর ফলে দিনাজপুরের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে ভারত, নেপাল, ভুটান এবং মায়ানমারের সঙ্গে রেলপথে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহণের চুক্তি অনুযায়ী বিরল সীমান্ত দিয়ে ডুয়েল গেজ রেলপথে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে ভারতীয় পাথরবাহী একটি ট্রেন বুধবার বাংলাদেশে আসে। পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় স্থানীয় থেকে ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখছেন। তাদের দাবি, খবু তাড়াতাড়ি বিরলে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলাচল শুরু করা হোক।

দিনাজপুর রেলওয়ে বিভাগের আধিকারিক রাকিবুল হাসান জানান, গত বছর বাংলাদেশের পার্বতীপুর থেকে ভারতের রাধিকাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত মিটার গেজকে ডুয়েল গেজে রূপান্তরিত করা হয়। ভারত–বাংলাদেশের ট্রেনের এই রুটটি দিয়ে আমদানি–রপ্তানি শুরু হলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাংলাদেশের সরকারও লাভবান হবে মনে করেছেন অনেক স্থানীয় ব্যবসায়ী।

ব্রিটিশ আমলে অবিভক্ত ভারতবর্ষ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মিটার গেজের রেলপথে নেপাল, ভারত এবং মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশে মধ্যে সীমিত সংখ্যক পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করত বিরল রেলপথ দিয়ে। ২০০৬ সালে ভারত রাধিকাপুর পযর্ন্ত ব্রড গেজ রেলপথ তৈরি করায় রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ১১ বছর পরে বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার জন্য ভারতের উত্তর দিনাজপুরের রাধিকাপুর স্টেশন পর্যন্ত ব্রড গেজ রেলপথ সম্প্রসারণ করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

ফের রেলপথে ‌দিল্লি–ঢাকা পণ্য বাণিজ্য শুরু !

আপডেট সময় : ০২:১৯:৩৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ ১১ বছর পরে রেলপথে আবার শুরু হল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি–রপ্তানি। এর ফলে একদিকে যেমন ব্যবসা–বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে অন্যদিকে কর্মসংস্থান–সহ সুযোগ–সুবিধা বৃদ্ধি পাবে বাংলাদেশে। গত ৮ মার্চ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রেন ৪২টি ওয়াগনে ২ হাজার ৪৭২ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

বাংলাদেশের বিরল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজ জানান, দীর্ঘদিন পরে মিটার গেজ থেকে রূপান্তরিত ডুয়েল গেজ দিয়ে দিনাজপুরের সীমান্ত অঞ্চল থেকে রেলে পণ্য ঢুকল বাংলাদেশে। এর ফলে দিনাজপুরের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে ভারত, নেপাল, ভুটান এবং মায়ানমারের সঙ্গে রেলপথে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহণের চুক্তি অনুযায়ী বিরল সীমান্ত দিয়ে ডুয়েল গেজ রেলপথে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে ভারতীয় পাথরবাহী একটি ট্রেন বুধবার বাংলাদেশে আসে। পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় স্থানীয় থেকে ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখছেন। তাদের দাবি, খবু তাড়াতাড়ি বিরলে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলাচল শুরু করা হোক।

দিনাজপুর রেলওয়ে বিভাগের আধিকারিক রাকিবুল হাসান জানান, গত বছর বাংলাদেশের পার্বতীপুর থেকে ভারতের রাধিকাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত মিটার গেজকে ডুয়েল গেজে রূপান্তরিত করা হয়। ভারত–বাংলাদেশের ট্রেনের এই রুটটি দিয়ে আমদানি–রপ্তানি শুরু হলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাংলাদেশের সরকারও লাভবান হবে মনে করেছেন অনেক স্থানীয় ব্যবসায়ী।

ব্রিটিশ আমলে অবিভক্ত ভারতবর্ষ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মিটার গেজের রেলপথে নেপাল, ভারত এবং মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশে মধ্যে সীমিত সংখ্যক পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করত বিরল রেলপথ দিয়ে। ২০০৬ সালে ভারত রাধিকাপুর পযর্ন্ত ব্রড গেজ রেলপথ তৈরি করায় রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ১১ বছর পরে বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার জন্য ভারতের উত্তর দিনাজপুরের রাধিকাপুর স্টেশন পর্যন্ত ব্রড গেজ রেলপথ সম্প্রসারণ করে।