শিরোনাম :
Logo রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল Logo আমরণ অনশনে বসেছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবি

দাবি আদায় না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষনা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:২০:০৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭২৩ বার পড়া হয়েছে

সাকিব আল হাসান(চুয়াডাঙ্গা)

চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক মহাসড়কে ইজিবাইকসহ সকল অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবি তুলেছে জেলা বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

তিন চাকার অবৈধ যান বন্ধ না হলে আগামীকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের সকল গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে দূরপাল্লার সকল গণপরিবহনও বন্ধ করে দেয়া হবে।

এর আগে, গতকাল শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সংগঠটির আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গার সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে অবৈধ যান ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার, মটরচালিত রিক্সা ও পাখিভ্যান যেভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাতে বাস মালিকরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বর্তমানে লোকাল গাড়ীর মালিকরা অত্যন্ত নাজুক অবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। প্রতিদিন গাড়ীর মালিকরা লোকসান গুনছে। গাড়ীর সরঞ্জাম টায়ার, টিউব, মবিল, যন্ত্রাংশের মূল্য বেশি। এমন অবস্থায় লোকাল গাড়ীগুলি বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া মালিকদের কোন উপায় থাকছে না। মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ কয়েকবার ডিসি ও এসপি মহোদয়ের কাছে মৌখিক ও লিখিতভাবে আমাদের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করি। গত ৩ দিন মাইকিং করার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী চার উপজেলায় স্ব স্ব ইজিবাইকগুলি চলতে হবে এবং পৌরসভার ইজিবাইকগুলো পৌরসভার ভিতরে চলতে হবে। এসময় সংগঠনটি ৫ দফা দাবি পেশ করেন।

দাবিগুলো হলো-
১. বৈধ যানের রেজিষ্ট্রেশন দেওয়া হয় না এরা মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করছে ওই একই সড়কে বৈধ যান ও কম গতি এবং বেশি গতির যান মিশ্রিত ভাবে চলাচল করার কারণে সড়কে দুর্ঘটনা গুলো ঘটছে।

২. ইঞ্জিন নাই বলে ওই সকল অবৈধ যানের রেজিষ্ট্রেশন দেওয়া হয় না। ওই সকল অবৈধ যান সড়ক ও মহা সড়ক ব্যাবহার করে কিন্তু তারা সরকারের কোন ভ্যাট ট্যাক্স দেয় না। সড়ক ব্যবহার করতে হলে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
৩. যে সকল কল-কারখানা প্রতি বছর যে পরিমান অবৈধ যান বাহন তৈরি করে এবং মেরামত করা করে ওই সকল কল-কারখানা গুলো সিলগালা করে বন্ধ করে দিতে হবে।

৪. অবৈধ যান বাহন গুলি রাস্তার যত্রতত্র দড়িয়ে যাত্রি ওঠা নামা করায় এবং ভাড়া আদায় করে ফলে রাস্তায় কঠিন যানযট সৃষ্টি হয়। ট্রাফিক আইন কানুন সম্পর্কে এদের কোন ধারনা নেই। মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করতে হলে তাদের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।

৫. দেশে যে পরিমান বিদ্যুৎ ঘাটতি হয় তার একটা বড় কারন এই অবৈধ যানবাহন ও অটো, পাখি ভ্যানের চার্জিং পয়েন্ট ও গ্যারেজ। চার্জিং পয়েন্ট ও গ্যারেজ গুলো বন্ধ করা না গেলে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব নয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হাসান ইমাম বকুল, সহ-সভাপতি আবু বক্কর আলী, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দিন মুক্তা, যুগ্ম-সম্পাদক সোহেল রঞ্জু, কোষাধ্যক্ষ উসমান আলী, চুয়াডাঙ্গা বাস-মিনিবাস ও শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম এবং সড়ক সম্পাদক আমির খসরু প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী

দাবি আদায় না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষনা

আপডেট সময় : ১২:২০:০৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

সাকিব আল হাসান(চুয়াডাঙ্গা)

চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক মহাসড়কে ইজিবাইকসহ সকল অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবি তুলেছে জেলা বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

তিন চাকার অবৈধ যান বন্ধ না হলে আগামীকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের সকল গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে দূরপাল্লার সকল গণপরিবহনও বন্ধ করে দেয়া হবে।

এর আগে, গতকাল শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সংগঠটির আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গার সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে অবৈধ যান ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার, মটরচালিত রিক্সা ও পাখিভ্যান যেভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাতে বাস মালিকরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বর্তমানে লোকাল গাড়ীর মালিকরা অত্যন্ত নাজুক অবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। প্রতিদিন গাড়ীর মালিকরা লোকসান গুনছে। গাড়ীর সরঞ্জাম টায়ার, টিউব, মবিল, যন্ত্রাংশের মূল্য বেশি। এমন অবস্থায় লোকাল গাড়ীগুলি বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া মালিকদের কোন উপায় থাকছে না। মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ কয়েকবার ডিসি ও এসপি মহোদয়ের কাছে মৌখিক ও লিখিতভাবে আমাদের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করি। গত ৩ দিন মাইকিং করার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী চার উপজেলায় স্ব স্ব ইজিবাইকগুলি চলতে হবে এবং পৌরসভার ইজিবাইকগুলো পৌরসভার ভিতরে চলতে হবে। এসময় সংগঠনটি ৫ দফা দাবি পেশ করেন।

দাবিগুলো হলো-
১. বৈধ যানের রেজিষ্ট্রেশন দেওয়া হয় না এরা মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করছে ওই একই সড়কে বৈধ যান ও কম গতি এবং বেশি গতির যান মিশ্রিত ভাবে চলাচল করার কারণে সড়কে দুর্ঘটনা গুলো ঘটছে।

২. ইঞ্জিন নাই বলে ওই সকল অবৈধ যানের রেজিষ্ট্রেশন দেওয়া হয় না। ওই সকল অবৈধ যান সড়ক ও মহা সড়ক ব্যাবহার করে কিন্তু তারা সরকারের কোন ভ্যাট ট্যাক্স দেয় না। সড়ক ব্যবহার করতে হলে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
৩. যে সকল কল-কারখানা প্রতি বছর যে পরিমান অবৈধ যান বাহন তৈরি করে এবং মেরামত করা করে ওই সকল কল-কারখানা গুলো সিলগালা করে বন্ধ করে দিতে হবে।

৪. অবৈধ যান বাহন গুলি রাস্তার যত্রতত্র দড়িয়ে যাত্রি ওঠা নামা করায় এবং ভাড়া আদায় করে ফলে রাস্তায় কঠিন যানযট সৃষ্টি হয়। ট্রাফিক আইন কানুন সম্পর্কে এদের কোন ধারনা নেই। মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করতে হলে তাদের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।

৫. দেশে যে পরিমান বিদ্যুৎ ঘাটতি হয় তার একটা বড় কারন এই অবৈধ যানবাহন ও অটো, পাখি ভ্যানের চার্জিং পয়েন্ট ও গ্যারেজ। চার্জিং পয়েন্ট ও গ্যারেজ গুলো বন্ধ করা না গেলে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব নয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হাসান ইমাম বকুল, সহ-সভাপতি আবু বক্কর আলী, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দিন মুক্তা, যুগ্ম-সম্পাদক সোহেল রঞ্জু, কোষাধ্যক্ষ উসমান আলী, চুয়াডাঙ্গা বাস-মিনিবাস ও শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম এবং সড়ক সম্পাদক আমির খসরু প্রমুখ।