শিরোনাম :
Logo ২০২৬ সালেই পাতাল রেলে চলা যাবে? Logo জাপাসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে ইসিকে এনসিপি নেতার আইনি নোটিশ Logo নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার বিব্রতকর একটা ঘটনা: সংস্কৃতি উপদেষ্টা Logo খুবিতে পাবলিক স্পিকিং ও প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা: অতিথি সাদমান সাদিক Logo আগস্টে ঢাকায় আসতে পারেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী Logo সরকারি নথিতে ভয়াবহ মারণাস্ত্র ব্যবহারের চিত্র Logo তেঁতুলিয়ায় সড়ক বিহীন স্থানে সেতু নির্মাণ, দুদকের অভিযান। Logo চুয়াডাঙ্গায় গণপূর্ত অফিসের গাছ কেটে ভাগবাটোয়ারা : চার কর্মচারীকে শোকজ Logo চুয়াডাঙ্গার ইসলামপাড়ায় যুবতীর মরদেহ উদ্ধার: রহস্য Logo জীবননগরে সাবেক সেনা সদস্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন বিএনপি নেতা

সিরাজগঞ্জে প্রথমবারের মতো জিরা চাষ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:০৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭২৪ বার পড়া হয়েছে

আমাদের দেশের মানুষের প্রধান খাবার ভাত-তরকারি। সেই তরকারিসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহৃত মসলার মধ্যে অন্যতম জিরা বাটা বা জিরার গুঁড়া।বাঙালির কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ মসলাটি প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

সেই জিরা এবারই প্রথম চাষ শুরু করেছেন কামারখন্দের জাতীয় কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক মাহবুবুল ইসলাম পলাশ। নিজ গ্রাম উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট এলাকায় ১০ শতাংশ ফসলি জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো ৪০০ গ্রাম জিরার বীজ রোপণ করেছেন তিনি।

কৃষক পলাশ বলেন, বগুড়ার মসলা গবেষণা থেকে ২ হাজার টাকায় ৪০০ গ্রাম জিরার বীজ সংগ্রহ করে আমি আমার ১০ শতাংশ জমিতে বপন করেছি। ঘরে তুলতে প্রায় ১১০ দিনের মতো সময় লাগে। আশা করছি, ফলন ভালো হলে প্রায় ২০ কেজি জিরা হবে। প্রতি কেজি জিরার বীজ ৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি করলে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মতো বিক্রি করা যাবে।

কামারখন্দের ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ঝাটিবেলাই গ্রামের কৃষক আব্দুল আলীম বলেন, আমি পলাশের জিরার বীজ বপন দেখে এসেছি । তার সাথে আমার কথা হয়েছে । আগামি বছর নিজেই জিরা বপনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষক আলীম।

অপর কৃষক আব্দুল খালেক জানান, “জিরা চাষের কথা আগে কোনো দিনই হুনিনাই। এবার হুনলাম এত থেকে নাব অয় আগে জানি নাই। সামনের বছর জিরা বুনমু।”

কামারখন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন চন্দ্র বর্মন বলেন, উপজেলার কৃষকদের জিরার চাষে আগ্রহী করতে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করব যাতে কৃষকেরা জিরা চাষ করে লাভবান হয়। জিরার চাষের জন্য বালু-দোআঁশ মাটির উচ্চ স্থানে চাষ করলে ভালো হয় বলেও জানান তিনি।

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আহসান শহীদ সরকার আজ (রবিবার) জানান, আমাদের মশলা ফসল চাষের একটি প্রকল্প আছে। সেই প্রকল্পের আওতায় জিরা, দারুচিনি, বস্তায় আদা, হলুদ চাষ সম্প্রসারণে কাজ করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জে এখন পর্যন্ত জিরা চাষ হয় নাই। বগুড়ায় সফল হয়েছেন এক চাষি। সিরাজগঞ্জ থেকে আমরা গত কয়েকদিন আগে সেখানে ৩০ জন চাষিকে নিয়ে গিয়েছিলাম। সরেজমিনে তাদের জিরা চাষের পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। সেখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে পলাশ জিরা চাষ শুরু করেছেন। জিরা খরা এলাকার ফসল। বৃষ্টি হলেই নষ্ট হয়ে যায়। শুকনো জায়গায় বেলে দোআঁশ মাটিতে জিরা ভালো হয়।

উল্লেখ্য, মাহবুবুল ইসলাম পলাশ একজন কৃষি উদ্যোক্তা। তিনি বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া বিরল সব বৃক্ষ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেন। তার বাগানে ৩৪০টিরও বেশি বিরল প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে। তিনি জাতীয় কৃষি পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৬ সালেই পাতাল রেলে চলা যাবে?

সিরাজগঞ্জে প্রথমবারের মতো জিরা চাষ

আপডেট সময় : ০১:৩৮:০৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

আমাদের দেশের মানুষের প্রধান খাবার ভাত-তরকারি। সেই তরকারিসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহৃত মসলার মধ্যে অন্যতম জিরা বাটা বা জিরার গুঁড়া।বাঙালির কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ মসলাটি প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

সেই জিরা এবারই প্রথম চাষ শুরু করেছেন কামারখন্দের জাতীয় কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক মাহবুবুল ইসলাম পলাশ। নিজ গ্রাম উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট এলাকায় ১০ শতাংশ ফসলি জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো ৪০০ গ্রাম জিরার বীজ রোপণ করেছেন তিনি।

কৃষক পলাশ বলেন, বগুড়ার মসলা গবেষণা থেকে ২ হাজার টাকায় ৪০০ গ্রাম জিরার বীজ সংগ্রহ করে আমি আমার ১০ শতাংশ জমিতে বপন করেছি। ঘরে তুলতে প্রায় ১১০ দিনের মতো সময় লাগে। আশা করছি, ফলন ভালো হলে প্রায় ২০ কেজি জিরা হবে। প্রতি কেজি জিরার বীজ ৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি করলে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মতো বিক্রি করা যাবে।

কামারখন্দের ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ঝাটিবেলাই গ্রামের কৃষক আব্দুল আলীম বলেন, আমি পলাশের জিরার বীজ বপন দেখে এসেছি । তার সাথে আমার কথা হয়েছে । আগামি বছর নিজেই জিরা বপনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষক আলীম।

অপর কৃষক আব্দুল খালেক জানান, “জিরা চাষের কথা আগে কোনো দিনই হুনিনাই। এবার হুনলাম এত থেকে নাব অয় আগে জানি নাই। সামনের বছর জিরা বুনমু।”

কামারখন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন চন্দ্র বর্মন বলেন, উপজেলার কৃষকদের জিরার চাষে আগ্রহী করতে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করব যাতে কৃষকেরা জিরা চাষ করে লাভবান হয়। জিরার চাষের জন্য বালু-দোআঁশ মাটির উচ্চ স্থানে চাষ করলে ভালো হয় বলেও জানান তিনি।

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আহসান শহীদ সরকার আজ (রবিবার) জানান, আমাদের মশলা ফসল চাষের একটি প্রকল্প আছে। সেই প্রকল্পের আওতায় জিরা, দারুচিনি, বস্তায় আদা, হলুদ চাষ সম্প্রসারণে কাজ করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জে এখন পর্যন্ত জিরা চাষ হয় নাই। বগুড়ায় সফল হয়েছেন এক চাষি। সিরাজগঞ্জ থেকে আমরা গত কয়েকদিন আগে সেখানে ৩০ জন চাষিকে নিয়ে গিয়েছিলাম। সরেজমিনে তাদের জিরা চাষের পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। সেখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে পলাশ জিরা চাষ শুরু করেছেন। জিরা খরা এলাকার ফসল। বৃষ্টি হলেই নষ্ট হয়ে যায়। শুকনো জায়গায় বেলে দোআঁশ মাটিতে জিরা ভালো হয়।

উল্লেখ্য, মাহবুবুল ইসলাম পলাশ একজন কৃষি উদ্যোক্তা। তিনি বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া বিরল সব বৃক্ষ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেন। তার বাগানে ৩৪০টিরও বেশি বিরল প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে। তিনি জাতীয় কৃষি পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি।