শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় অর্ধেকে নামালো বাংলাদেশ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:০৭:০৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭২২ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি আলোচনার শীর্ষে থাকা ভারতের ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎক্রয় অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে। আদানি গ্রুপের কাছে বিদ্যুৎ ক্রয়বাবদ বিপুল পরিমাণ বকেয়া অর্থ জমেছে বাংলাদেশের।

এ কারণে গত ৩১ অক্টোবর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছিলো আদানি গ্রুপ। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বকেয়া অর্থের বোঝা আরও না বাড়ানোর জন্যই এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

যদিও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) জানিয়েছে, আবহাওয়াগত কারণে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণেই বিদ্যুৎ ক্রয় কমানো হয়েছে।

এই বিষয়ে বিআরডিবির চেয়ারপার্সন মো. রেজাউল করিম রয়টার্সকে জানান, “আদানি গ্রুপ প্রথম যখন বিদ্যুতের সরবরাহ কমিয়ে দিলো, আমাদের কাছে সেটি ছিলো পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত। আমরা তাতে ক্ষুব্ধও হয়েছিলাম।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “তবে এখন যেহেতু শীতের মৌসুম, আবহাওয়াগত কারণেই এ সময় বাংলাদেশে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের চাহিদা খানিকটা হ্রাস পায়। তাই আমরাও বিদ্যুৎ ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়েছি।”

আদানি ছাড়াও ভারতের আরও কয়েকটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করে বাংলাদেশ। সেসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৯ দশমিক ৫৭ টাকা দরে কেনা হয় বিদ্যুৎ। অন্যদিকে আদানি গ্রুপের কাছ থেকে যে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হয়, তার প্রতি ইউনিটের মূল্য ১৪ দশমিক ৮৭ টাকা।

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে ক্রয়কৃত বিদ্যুৎ আবার বাংলাদেশে ৮ দশমিক ৯৫ টাকায় বিক্রি করে বাংলাদেশ। এভাবে প্রতি বছর বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বাবদ বাংলাদেশের সরকারকে ব্যয় করতে হয় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে আদানি গ্রুপের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, বাংলাদেশের সরকারের কাছে এই প্রতিষ্ঠানটির মোট পাওনা ছিলো ৯০ কোটি ডলার। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর পাওনা অর্থের কিছু অংশ পেয়েছে আদানি গ্রুপ, তবে বড় অংশটি এখনও বকেয়া রয়ে গেছে। বিআরডিবির এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, পাওনা অর্থের মধ্যে ১৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। শিগগিরই বাকি অর্থ পরিশোধ করা হবে।

উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎক্রয় বিষয়ক চুক্তি করেছিলো বাংলাদেশ। ২৫ বছর মেয়াদী সেই চুক্তির শর্ত মেনে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম একটি তাপভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে আদানি গ্রুপ। শুধু বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য এই কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় অর্ধেকে নামালো বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০১:০৭:০৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সম্প্রতি আলোচনার শীর্ষে থাকা ভারতের ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎক্রয় অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে। আদানি গ্রুপের কাছে বিদ্যুৎ ক্রয়বাবদ বিপুল পরিমাণ বকেয়া অর্থ জমেছে বাংলাদেশের।

এ কারণে গত ৩১ অক্টোবর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছিলো আদানি গ্রুপ। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বকেয়া অর্থের বোঝা আরও না বাড়ানোর জন্যই এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

যদিও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) জানিয়েছে, আবহাওয়াগত কারণে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণেই বিদ্যুৎ ক্রয় কমানো হয়েছে।

এই বিষয়ে বিআরডিবির চেয়ারপার্সন মো. রেজাউল করিম রয়টার্সকে জানান, “আদানি গ্রুপ প্রথম যখন বিদ্যুতের সরবরাহ কমিয়ে দিলো, আমাদের কাছে সেটি ছিলো পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত। আমরা তাতে ক্ষুব্ধও হয়েছিলাম।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “তবে এখন যেহেতু শীতের মৌসুম, আবহাওয়াগত কারণেই এ সময় বাংলাদেশে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের চাহিদা খানিকটা হ্রাস পায়। তাই আমরাও বিদ্যুৎ ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়েছি।”

আদানি ছাড়াও ভারতের আরও কয়েকটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করে বাংলাদেশ। সেসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৯ দশমিক ৫৭ টাকা দরে কেনা হয় বিদ্যুৎ। অন্যদিকে আদানি গ্রুপের কাছ থেকে যে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হয়, তার প্রতি ইউনিটের মূল্য ১৪ দশমিক ৮৭ টাকা।

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে ক্রয়কৃত বিদ্যুৎ আবার বাংলাদেশে ৮ দশমিক ৯৫ টাকায় বিক্রি করে বাংলাদেশ। এভাবে প্রতি বছর বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বাবদ বাংলাদেশের সরকারকে ব্যয় করতে হয় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে আদানি গ্রুপের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, বাংলাদেশের সরকারের কাছে এই প্রতিষ্ঠানটির মোট পাওনা ছিলো ৯০ কোটি ডলার। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর পাওনা অর্থের কিছু অংশ পেয়েছে আদানি গ্রুপ, তবে বড় অংশটি এখনও বকেয়া রয়ে গেছে। বিআরডিবির এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, পাওনা অর্থের মধ্যে ১৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। শিগগিরই বাকি অর্থ পরিশোধ করা হবে।

উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎক্রয় বিষয়ক চুক্তি করেছিলো বাংলাদেশ। ২৫ বছর মেয়াদী সেই চুক্তির শর্ত মেনে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম একটি তাপভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে আদানি গ্রুপ। শুধু বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য এই কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।