শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

তিন মাসে তৃণমূলের সম্মেলন শেষ করবে বিএনপি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:২০:০৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি আগামী তিন মাসের মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলনের মাধ্যমে দলীয় কমিটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলীয় নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দুই ধরনের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এই পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন, আগামী বছর নির্বাচন হতে পারে বলে তাদের ধারণা। সে জন্য সংগঠন শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা। পাশাপাশি, ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হলে নির্বাচনের দাবি আদায়ে নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতিও রাখতে চান দলটির নেতারা।

সম্প্রতি দলটি ৯ জন জ্যেষ্ঠ নেতাকে চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সারা দেশে ইউনিয়ন, পৌর, উপজেলা-থানা থেকে শুরু করে মহানগর ও জেলা কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর বিভাগ জানিয়েছে, ঢাকা ছাড়া ৯ সাংগঠনিক বিভাগে ৯ জন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন : সিলেট বিভাগে স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রংপুরে ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কুমিল্লায় বরকতউল্লা বুলু, বরিশালে আবদুল আউয়াল মিন্টু, চট্টগ্রামে আহমেদ আযম খান, ফরিদপুরে আসাদুজ্জামান রিপন, খুলনায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, রাজশাহীতে আব্দুস সালাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। ঢাকা বিভাগে এখনো কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

বরিশাল বিভাগের দায়িত্ব পাওয়ার কথা জানিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু কালের কণ্ঠকে বলেন, কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সম্মেলন করতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ৮২টি সাংগঠনিক জেলার বেশির ভাগই আহ্বায়ক কমিটি। ইউনিয়ন, পৌর ও উপজেলা পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে এক কমিটি কাজ করছে। অনেক ইউনিটে কোনো কমিটি নেই। ফলে তৃণমূলের সাংগঠনিক পর্যায়ে স্থবিরতা কাজ করছে।

গত রোববার দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে দেওয়া নির্দেশনাসংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনার বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌর, থানা কমিটি থেকে শুরু করে মহানগর ও জেলা কমিটি সম্মেলন এবং কাউন্সিলের মাধ্যমে আগামী ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি সমাপ্ত করতে হবে। এই পত্রপ্রাপ্তির পর আপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সহসাংগঠনিক সম্পাদকদ্বয় এবং মহানগর ও জেলার সভাপতি/আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্যসচিবগণের সঙ্গে বৈঠক করে অতিসত্বর সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু করতে হবে।’

দলের নেতারা বলেন, তৃণমূলের সম্মেলন সঠিক সময়ে করা সম্ভব হলে দলের ‘জাতীয় কাউন্সিলের’ মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠনও করা হতে পারে। দলের উচ্চ পর্যায়ে এমন আলোচনাও আছে।

রুহুল কবীর রিজভী জানান, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে তারা পুরস্কৃত হবেন বলে তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্তরা প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

তিন মাসে তৃণমূলের সম্মেলন শেষ করবে বিএনপি

আপডেট সময় : ১২:২০:০৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপি আগামী তিন মাসের মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলনের মাধ্যমে দলীয় কমিটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলীয় নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দুই ধরনের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এই পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন, আগামী বছর নির্বাচন হতে পারে বলে তাদের ধারণা। সে জন্য সংগঠন শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা। পাশাপাশি, ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হলে নির্বাচনের দাবি আদায়ে নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতিও রাখতে চান দলটির নেতারা।

সম্প্রতি দলটি ৯ জন জ্যেষ্ঠ নেতাকে চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সারা দেশে ইউনিয়ন, পৌর, উপজেলা-থানা থেকে শুরু করে মহানগর ও জেলা কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর বিভাগ জানিয়েছে, ঢাকা ছাড়া ৯ সাংগঠনিক বিভাগে ৯ জন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন : সিলেট বিভাগে স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রংপুরে ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কুমিল্লায় বরকতউল্লা বুলু, বরিশালে আবদুল আউয়াল মিন্টু, চট্টগ্রামে আহমেদ আযম খান, ফরিদপুরে আসাদুজ্জামান রিপন, খুলনায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, রাজশাহীতে আব্দুস সালাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। ঢাকা বিভাগে এখনো কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

বরিশাল বিভাগের দায়িত্ব পাওয়ার কথা জানিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু কালের কণ্ঠকে বলেন, কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সম্মেলন করতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ৮২টি সাংগঠনিক জেলার বেশির ভাগই আহ্বায়ক কমিটি। ইউনিয়ন, পৌর ও উপজেলা পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে এক কমিটি কাজ করছে। অনেক ইউনিটে কোনো কমিটি নেই। ফলে তৃণমূলের সাংগঠনিক পর্যায়ে স্থবিরতা কাজ করছে।

গত রোববার দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে দেওয়া নির্দেশনাসংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনার বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌর, থানা কমিটি থেকে শুরু করে মহানগর ও জেলা কমিটি সম্মেলন এবং কাউন্সিলের মাধ্যমে আগামী ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি সমাপ্ত করতে হবে। এই পত্রপ্রাপ্তির পর আপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সহসাংগঠনিক সম্পাদকদ্বয় এবং মহানগর ও জেলার সভাপতি/আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্যসচিবগণের সঙ্গে বৈঠক করে অতিসত্বর সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু করতে হবে।’

দলের নেতারা বলেন, তৃণমূলের সম্মেলন সঠিক সময়ে করা সম্ভব হলে দলের ‘জাতীয় কাউন্সিলের’ মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠনও করা হতে পারে। দলের উচ্চ পর্যায়ে এমন আলোচনাও আছে।

রুহুল কবীর রিজভী জানান, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে তারা পুরস্কৃত হবেন বলে তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্তরা প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন।