শিরোনাম :
Logo ভুটান ও সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য ২৬ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা বাংলাদেশের Logo ইডেন কলেজ সাংবাদিক সমিতির আত্মপ্রকাশ- নেতৃত্বে স্মৃতি ও তানজিলা Logo রাবি ক্যাম্পাসে মিছিলে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ Logo জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের সংশোধিত প্রকল্পের অনুমোদন Logo ২৫টি মোবাইল ফোন ও ৭০টি ভুয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম জব্দ Logo চুয়াডাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাসে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে হাসপাতালে গরু ব্যবসায়ী Logo প্রাথমিক স্কোয়াডে হামজা-শমিত, ফাহমিদুল-কিউবারা পেয়েছেন জায়গা? Logo ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধান উপদেষ্টার Logo রাতের মধ্যে ১৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, সতর্ক সংকেত Logo একমাত্র মুসলিম দেশ পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তিধর হওয়ার ২৭ বছর

রাষ্ট্রের যেসব বিষয়ে বড়সড় পরিবর্তনের কথা ভাবছে সংস্কার কমিশনগুলো

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:৩২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

bangladesh parliament bhaban

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বেশ কয়েকটি ‘সংস্কার কমিশন’ বেশ কিছু নতুন প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কারে বড়সড় পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে কমিশনগুলো।

এখন পর্যন্ত রাষ্ট্র সংস্কারে মোট দশটি কমিশন গঠন করা হলেও এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে সংবিধান ও নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়গুলো।

সংবিধান সংস্কার বিষয়ক কমিশন কাজ শুরুর পর পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল, আনুপাতিক হারে ভোটের বিধান, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ চালু, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোসহ সংবিধানে বড়সহ বেশ কিছু পরিবর্তনের পরামর্শ এসেছে বলে তারা জানিয়েছে।

বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছিল তা বন্ধে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন পরিবর্তন, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাদ, প্রবাসীদের ভোট দেয়ার বিধান চালু, ইভিএম বাতিলসহ বেশ কিছু আইনে পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন।

কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমরা যে সব বিষয় সংস্কারের কাজ শুরু করেছি সেটি বাস্তবায়ন করা গেলে আগামীতে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব”।

যদিও এরই মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বিদ্যমান যে সংবিধান আছে তার ভিত্তিতেই সংস্কার কাজ চূড়ান্ত করছে সরকারের বিভিন্ন কমিশনগুলো।

সংস্কার কমিশন সংবিধান পুনর্লিখনে হাত দেয় তাহলে এসব প্রস্তাবনার অনেক কিছুই সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে এমন শঙ্কাও দেখা যাচ্ছে।

তাই কমিশনগুলোর সাথে আলাদাভাবেও বৈঠক করছে সংবিধান সংস্কার কমিশনকে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “আমরা চেষ্টা করবো যাতে আমাদের প্রস্তাবনাগুলোয় সামঞ্জস্য থাকে। পরস্পরবিরোধী না হয়। সেই বিবেচনায় থেকে সেই কাজ করবো”।

তবে শেষ পর্যন্ত এসব প্রস্তাবনায় রাজনৈতিক দলগুলোর সায় না মিললে এই উদ্যোগ কতখানি সফল হবে সেটি নিয়েও প্রশ্ন দেখা যাচ্ছে।

কেননা জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কার কমিশনগুলো সুপারিশমালা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার। পরে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হবে।

এই সব সংস্কার কমিশনের কাজ শুধুমাত্র প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রদান করা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভুটান ও সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য ২৬ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা বাংলাদেশের

রাষ্ট্রের যেসব বিষয়ে বড়সড় পরিবর্তনের কথা ভাবছে সংস্কার কমিশনগুলো

আপডেট সময় : ০১:৫৪:৩২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বেশ কয়েকটি ‘সংস্কার কমিশন’ বেশ কিছু নতুন প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কারে বড়সড় পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে কমিশনগুলো।

এখন পর্যন্ত রাষ্ট্র সংস্কারে মোট দশটি কমিশন গঠন করা হলেও এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে সংবিধান ও নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়গুলো।

সংবিধান সংস্কার বিষয়ক কমিশন কাজ শুরুর পর পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল, আনুপাতিক হারে ভোটের বিধান, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ চালু, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোসহ সংবিধানে বড়সহ বেশ কিছু পরিবর্তনের পরামর্শ এসেছে বলে তারা জানিয়েছে।

বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছিল তা বন্ধে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন পরিবর্তন, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাদ, প্রবাসীদের ভোট দেয়ার বিধান চালু, ইভিএম বাতিলসহ বেশ কিছু আইনে পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন।

কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমরা যে সব বিষয় সংস্কারের কাজ শুরু করেছি সেটি বাস্তবায়ন করা গেলে আগামীতে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব”।

যদিও এরই মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বিদ্যমান যে সংবিধান আছে তার ভিত্তিতেই সংস্কার কাজ চূড়ান্ত করছে সরকারের বিভিন্ন কমিশনগুলো।

সংস্কার কমিশন সংবিধান পুনর্লিখনে হাত দেয় তাহলে এসব প্রস্তাবনার অনেক কিছুই সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে এমন শঙ্কাও দেখা যাচ্ছে।

তাই কমিশনগুলোর সাথে আলাদাভাবেও বৈঠক করছে সংবিধান সংস্কার কমিশনকে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “আমরা চেষ্টা করবো যাতে আমাদের প্রস্তাবনাগুলোয় সামঞ্জস্য থাকে। পরস্পরবিরোধী না হয়। সেই বিবেচনায় থেকে সেই কাজ করবো”।

তবে শেষ পর্যন্ত এসব প্রস্তাবনায় রাজনৈতিক দলগুলোর সায় না মিললে এই উদ্যোগ কতখানি সফল হবে সেটি নিয়েও প্রশ্ন দেখা যাচ্ছে।

কেননা জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কার কমিশনগুলো সুপারিশমালা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার। পরে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হবে।

এই সব সংস্কার কমিশনের কাজ শুধুমাত্র প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রদান করা।