শিরোনাম :
Logo বিজেপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo ইবিতে অতিরিক্ত ছুটি কমাতে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান Logo পঞ্চগড়ে করোতোয়া নদীর পাড়ে মিলল এক ব্যক্তির মরদেহ, পারিবারিক কলহে আত্মহত্যার আশঙ্কা Logo শেরপুর সরকারি কলেজে জাতীয় কবি নজরুলের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন Logo চুয়াডাঙ্গায় নোংরা পরিবেশে মসলা সংরক্ষণ, জরিমানা ৩০ হাজার টাকা Logo চুয়াডাঙ্গায় নকল নবীশদের মানববন্ধন Logo নিজ জেলা সফরে গেলেন জামায়াত আমির Logo কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে তারেক রহমানের সংগ্রামী বার্তা Logo সামান্য ভুল-ত্রুটি থাকলেও বিএনপি কখনও স্বৈরাচারী হয়নি: মঈন খান Logo ‘স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে তৃণমূল থেকে যোগ্যরা উঠে আসবে’

দক্ষিণ এশিয়ায় নেপাল ও ভুটানের জলবিদ্যুৎ গ্রিড তৈরির আহ্বান ড. ইউনূসের

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:৪১:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৫ বার পড়া হয়েছে

নেপাল ও ভুটানের তৈরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ এশিয়া গ্রিড তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন অন্তবর্তকালীন সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার আজারাবাইজানের বাকুতে জলবায়ু সম্মেলনের সাইডলাইনে সামাজিক ব্যবসার উদ্যোক্তাদের  সাথে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সাথে সংযোগকারী বিদ্যুতের গ্রিডের অভাবে বেশিরভাগ জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা অব্যবহৃত রয়ে গেছে।

নেপালের কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশটির ৪০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভারত ও বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

অধ্যাপক ইউনুস বলেন, বাংলাদেশ সহজেই নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আনতে পারে কারণ এটি বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৪০ মাইল দূরে।  নেপালের জলবিদ্যুৎও সাশ্রয়ী। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভুটানকে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড তৈরি করার কথা ভাবতে হবে৷

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ভুটানের সফররত প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বিদ্যুৎ ও বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়গুলো গুরুত্ব তুলে ধরেছিল ঢাকা।  ওই সময় ভুটানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে অংশীদার হওয়ার সুযােগ চেয়েছিল বাংলাদেশ।  চলতি বছরের জুনে নয়াদিল্লিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী  শেরিং তোবগে।  ওই বৈঠকেও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়

গত অক্টোবর নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি সই হয়। নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় এ চুক্তিতে সই করে।  নেপালের এ বিদ্যুৎ সরবরাহে ভারতের ভূখণ্ড ও সরবরাহ লাইন ব্যবহার করা হবে। এজন্য ভারতীয় পক্ষও এ চুক্তিতে সই করে। এ চুক্তির অধীনে প্রতি বছর জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য নেপাল থেকে ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

যদি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সমন্বিতভাবে নেপাল এবং ভুটানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে ব্যবহারে গ্রিড তৈরি করতে পারে, সেক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলো অনেক উপকৃত হবে।  সীমান্ত, কূটনীতি, নানা মারপ্যাঁচে অবাধভাবে জলবিদ্যুতের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা কঠিন। দক্ষিণ এশিয়ায় জলবিদ্যুতের গ্রিড তৈরিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাব যুগান্তকারী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিজেপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা

দক্ষিণ এশিয়ায় নেপাল ও ভুটানের জলবিদ্যুৎ গ্রিড তৈরির আহ্বান ড. ইউনূসের

আপডেট সময় : ০২:৪১:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

নেপাল ও ভুটানের তৈরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ এশিয়া গ্রিড তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন অন্তবর্তকালীন সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার আজারাবাইজানের বাকুতে জলবায়ু সম্মেলনের সাইডলাইনে সামাজিক ব্যবসার উদ্যোক্তাদের  সাথে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সাথে সংযোগকারী বিদ্যুতের গ্রিডের অভাবে বেশিরভাগ জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা অব্যবহৃত রয়ে গেছে।

নেপালের কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশটির ৪০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভারত ও বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

অধ্যাপক ইউনুস বলেন, বাংলাদেশ সহজেই নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আনতে পারে কারণ এটি বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৪০ মাইল দূরে।  নেপালের জলবিদ্যুৎও সাশ্রয়ী। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভুটানকে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড তৈরি করার কথা ভাবতে হবে৷

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ভুটানের সফররত প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বিদ্যুৎ ও বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়গুলো গুরুত্ব তুলে ধরেছিল ঢাকা।  ওই সময় ভুটানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে অংশীদার হওয়ার সুযােগ চেয়েছিল বাংলাদেশ।  চলতি বছরের জুনে নয়াদিল্লিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী  শেরিং তোবগে।  ওই বৈঠকেও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়

গত অক্টোবর নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি সই হয়। নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় এ চুক্তিতে সই করে।  নেপালের এ বিদ্যুৎ সরবরাহে ভারতের ভূখণ্ড ও সরবরাহ লাইন ব্যবহার করা হবে। এজন্য ভারতীয় পক্ষও এ চুক্তিতে সই করে। এ চুক্তির অধীনে প্রতি বছর জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য নেপাল থেকে ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

যদি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সমন্বিতভাবে নেপাল এবং ভুটানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে ব্যবহারে গ্রিড তৈরি করতে পারে, সেক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলো অনেক উপকৃত হবে।  সীমান্ত, কূটনীতি, নানা মারপ্যাঁচে অবাধভাবে জলবিদ্যুতের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা কঠিন। দক্ষিণ এশিয়ায় জলবিদ্যুতের গ্রিড তৈরিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাব যুগান্তকারী।