শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ Logo হাবিপ্রবিতে প্রথম ধাপের ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে ৬৭.৭৫ শতাংশ। Logo রাবিতে আন্তঃকলেজ সাঁতার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল Logo পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি ট্রাম্পের মধ্যস্থতা ছাড়াই হয়েছে, দাবি জয়শঙ্করের Logo হাসিনার নির্বাচনি হলফনামায় গরমিল: ব্যবস্থা নিতে ইসিকে দুদকের চিঠি Logo ১৫০ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নি‌য়ে ঢাকায় আসছেন চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী Logo বাঁচতে চায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ধর্মীয় শিক্ষক আঃ ছাত্তার Logo নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা, কোন গ্রেডে কত বাড়ছে? Logo এবার মশার শরীরে ম্যালেরিয়ার ওষুধ! গবেষকদের যুগান্তকারী আবিষ্কার Logo পঞ্চগড়ে ভারতীয় পুশ-ইন, নারী-শিশুসহ ২১ বাংলাদেশিকে সীমান্তে ফেরত

ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি: কোন পথে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক?

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:২১:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৩৩ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেশীদের গুরুত্ব দিয়ে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানসহ সব দেশের সরকারপ্রধান বা প্রতিনিধিদের হাজির করেছিল ভারত। এরপর বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসেও প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তবে বাংলাদেশ ও ভুটান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের সাথেই ভারত ভাল সম্পর্ক রাখতে পারেনি। তাহলে কি দেশটির ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি ব্যর্থ হলো?

এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক আহমেদ করিম বলেন, ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতির অর্থ হলো সব প্রতিবেশীদের সাথে আমাদের চলতে হবে। এখন দেখতে হবে আমরা তা কতটুকু অর্জন করতে পেরেছি। লক্ষ্য এখনও রয়েছে। তবে ভারত তা কতটা উপলব্ধি করতে পেরেছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের শ্রী রাধা দত্ত বলেন, দুই দেশের কিছু সাফল্যের গল্প রয়েছে। কিছু জায়গায় কাজ চলছে। আবার কোথাও কোথাও ঘাটতি রয়েছে। প্রতিবেশী সবার আগে নীতিতে যে আমরা খুব দ্রুত নিজেদের সম্পর্ক বদলাতে পেরেছি- বিষয়টি এমন নয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নিরেট বন্ধুত্ব বলে কিছু নেই। যা আছে তা হলো দেশের স্বার্থ রক্ষা। সমানভাবে পারস্পরিক স্বার্থ নিশ্চিত করতে না করা গেলে যেকোনো সম্পর্কই প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। ঢাকা-দিল্লি বর্তমান সম্পর্কই এর উদাহরণ। নিজেদের স্বার্থেই ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক পর্যালোচনা ও পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। এমন অবস্থায় অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার তাগিদ দেন তারা।

এদিকে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় বলে অভিহিত করেছে দুই দেশের সরকার।

এ বিষয়ে শ্রী রাধা দত্ত বলেন, ভারত শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের সাথে কাজ করে অভ্যস্ত। হঠাৎ সম্পর্কের বাক পরিবর্তন হয়েছে। তবে জাতীয় স্বার্থে দুই দেশকে একসাথে কাজ করতে হবে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক আহমেদ করিম, কেবলমাত্র দুই দেশেরই স্বার্থ রক্ষা হলেই তাকে বন্ধুত্ব বলা যেতে পারে। ভারত থেকে কিছু চাইলে তারাও আমাদের থেকে কিছু চাইবে-তা মনে রাখতে হবে।

অপরদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ক্রমশই বন্ধুহীন হয় পড়ছে বলে আশঙ্কা করছে অনেকে। তবে দেশটি তা মানতে নারাজ দেশটি।

এছাড়া, কূটনীতি নিয়ে দেশের ভেতরে রাজনৈতিক ঐক্য না থাকলে অন্যরা এর সুযোগ নিতে পারে বলেও সতর্ক করেন বিশ্লেষকরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ

ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি: কোন পথে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক?

আপডেট সময় : ০৫:২১:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

প্রতিবেশীদের গুরুত্ব দিয়ে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানসহ সব দেশের সরকারপ্রধান বা প্রতিনিধিদের হাজির করেছিল ভারত। এরপর বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসেও প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তবে বাংলাদেশ ও ভুটান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের সাথেই ভারত ভাল সম্পর্ক রাখতে পারেনি। তাহলে কি দেশটির ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি ব্যর্থ হলো?

এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক আহমেদ করিম বলেন, ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতির অর্থ হলো সব প্রতিবেশীদের সাথে আমাদের চলতে হবে। এখন দেখতে হবে আমরা তা কতটুকু অর্জন করতে পেরেছি। লক্ষ্য এখনও রয়েছে। তবে ভারত তা কতটা উপলব্ধি করতে পেরেছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের শ্রী রাধা দত্ত বলেন, দুই দেশের কিছু সাফল্যের গল্প রয়েছে। কিছু জায়গায় কাজ চলছে। আবার কোথাও কোথাও ঘাটতি রয়েছে। প্রতিবেশী সবার আগে নীতিতে যে আমরা খুব দ্রুত নিজেদের সম্পর্ক বদলাতে পেরেছি- বিষয়টি এমন নয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নিরেট বন্ধুত্ব বলে কিছু নেই। যা আছে তা হলো দেশের স্বার্থ রক্ষা। সমানভাবে পারস্পরিক স্বার্থ নিশ্চিত করতে না করা গেলে যেকোনো সম্পর্কই প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। ঢাকা-দিল্লি বর্তমান সম্পর্কই এর উদাহরণ। নিজেদের স্বার্থেই ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক পর্যালোচনা ও পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। এমন অবস্থায় অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার তাগিদ দেন তারা।

এদিকে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় বলে অভিহিত করেছে দুই দেশের সরকার।

এ বিষয়ে শ্রী রাধা দত্ত বলেন, ভারত শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের সাথে কাজ করে অভ্যস্ত। হঠাৎ সম্পর্কের বাক পরিবর্তন হয়েছে। তবে জাতীয় স্বার্থে দুই দেশকে একসাথে কাজ করতে হবে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক আহমেদ করিম, কেবলমাত্র দুই দেশেরই স্বার্থ রক্ষা হলেই তাকে বন্ধুত্ব বলা যেতে পারে। ভারত থেকে কিছু চাইলে তারাও আমাদের থেকে কিছু চাইবে-তা মনে রাখতে হবে।

অপরদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ক্রমশই বন্ধুহীন হয় পড়ছে বলে আশঙ্কা করছে অনেকে। তবে দেশটি তা মানতে নারাজ দেশটি।

এছাড়া, কূটনীতি নিয়ে দেশের ভেতরে রাজনৈতিক ঐক্য না থাকলে অন্যরা এর সুযোগ নিতে পারে বলেও সতর্ক করেন বিশ্লেষকরা।