শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

গ্রামীণ ব্যাংককে কর অব্যাহতি দেয়ার কারণ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:৩২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭১৭ বার পড়া হয়েছে

গ্রামীণ ব্যাংককে ২০২৯ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা ফিরিয়ে দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার গেজেট প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড—এনবিআর।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয় ‘আয়কর আইন ২০২৩ এর ধারা ৭৬ এর উপধারা (১) এর ক্ষমতাবলে, গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩ এর ধারা ৪ এর অধীন স্থাপিত গ্রামীণ ব্যাংকের অর্জিত সকল আয়কে এই আইনের অধীন আয়কর প্রদান হতে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’ এর এই কর অব্যাহতির মেয়াদ থাকবে ২০২৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত।

তবে কেন গ্রামীণ ব্যাংককে কর অব্যাহতি দেয়া হলো এই প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক নামে ব্যাংক, আসলে তারা ক্ষুদ্রঋণ অপারেশনই করে। আমাদের আইনে মাইক্রোক্রেডিট অর্থাৎ ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে যারা কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি আছে। এটা অন্য সবার জন্যও আছে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক কিছু বিবেচনা করে গ্রামীণ ব্যাংককে শুরু থেকেই কর অব্যাহতি সুবিধা দিয়ে আসছিল সরকার। তার মধ্যে অন্যতম একটা কারণ ছিল এই ব্যাংকটি তৈরিই হয়েছিল দারিদ্র দূরীকরণ ও নারী ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে।

এ বিষয়ে সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক শুরু থেকে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য তৈরি হয়েছিল। ইটস দেয়ার ব্যাংক। যেহেতু এটা দরিদ্র ও নারীদের কল্যাণে কাজ করছে, এই প্রতিষ্ঠান তো কর রেয়াত পাবেই।’

ক্ষুদ্রঋণের পাশাপাশি শিক্ষাঋণ, গৃহঋণ, ভিক্ষুকদের ঋণ দেওয়ার মতো কিছু সামাজিক কাজও করে গ্রামীণ ব্যাংক।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর ২৭ আগস্ট কর অব্যাহতি চেয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে ২৫ সেপ্টেম্বর এনবিআরের বোর্ড সভায় গ্রামীণ ব্যাংককে কর অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

গ্রামীণ ব্যাংককে কর অব্যাহতি দেয়ার কারণ

আপডেট সময় : ০৮:০৭:৩২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

গ্রামীণ ব্যাংককে ২০২৯ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা ফিরিয়ে দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার গেজেট প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড—এনবিআর।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয় ‘আয়কর আইন ২০২৩ এর ধারা ৭৬ এর উপধারা (১) এর ক্ষমতাবলে, গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩ এর ধারা ৪ এর অধীন স্থাপিত গ্রামীণ ব্যাংকের অর্জিত সকল আয়কে এই আইনের অধীন আয়কর প্রদান হতে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’ এর এই কর অব্যাহতির মেয়াদ থাকবে ২০২৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত।

তবে কেন গ্রামীণ ব্যাংককে কর অব্যাহতি দেয়া হলো এই প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক নামে ব্যাংক, আসলে তারা ক্ষুদ্রঋণ অপারেশনই করে। আমাদের আইনে মাইক্রোক্রেডিট অর্থাৎ ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে যারা কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি আছে। এটা অন্য সবার জন্যও আছে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক কিছু বিবেচনা করে গ্রামীণ ব্যাংককে শুরু থেকেই কর অব্যাহতি সুবিধা দিয়ে আসছিল সরকার। তার মধ্যে অন্যতম একটা কারণ ছিল এই ব্যাংকটি তৈরিই হয়েছিল দারিদ্র দূরীকরণ ও নারী ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে।

এ বিষয়ে সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক শুরু থেকে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য তৈরি হয়েছিল। ইটস দেয়ার ব্যাংক। যেহেতু এটা দরিদ্র ও নারীদের কল্যাণে কাজ করছে, এই প্রতিষ্ঠান তো কর রেয়াত পাবেই।’

ক্ষুদ্রঋণের পাশাপাশি শিক্ষাঋণ, গৃহঋণ, ভিক্ষুকদের ঋণ দেওয়ার মতো কিছু সামাজিক কাজও করে গ্রামীণ ব্যাংক।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর ২৭ আগস্ট কর অব্যাহতি চেয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে ২৫ সেপ্টেম্বর এনবিআরের বোর্ড সভায় গ্রামীণ ব্যাংককে কর অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।