শিরোনাম :
Logo যে কারণে বাংলাদেশকে দুর্ভাগা ভাবছেন আমিরাত অধিনায়ক Logo ইউরোপের দেশ গ্রিসে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১। আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে গ্রিসের ক্রিট উপকূলে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিও সায়েন্সেসের মতে, এই ভূমিকম্পের ফলে সুনামির ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউরোপের ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ভূকম্পন কেন্দ্র বলে জানা যাচ্ছে। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৭৭ কিলোমিটার। তবে এদিন কম্পনের মাত্রা নিয়ে দু’রকম তথ্য উঠে আসছে। গ্রিসের জিওডায়নামিক্স ইনস্টিটিউট-এর বিবৃতি অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১। অন্যদিকে, ইএসএমসি জানিয়েছে যে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। ভূমিকম্পের তীব্রতার কারণে, তুরস্ক, লেবানন, মিশর এবং ইসরায়েলের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতেও কম্পন অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পের পর, সম্ভাব্য সুনামির সম্ভাবনার কারণে বাসিন্দা এবং পর্যটকদের উপকূল থেকে দূরে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই গ্রিসের দক্ষিণ উপকূলে ধারাবাহিকভাবে কম্পন অনুভূত হয়। এছাড়া ২০২৫ সালের ১৩ মে কাসোস দ্বীপের কাছে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার ফলে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। Logo ফরিদগঞ্জে মাদকের কুফল সম্পর্কে আলোচনা সভা Logo ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো গ্রিস, পার্শ্ববর্তী ৪ দেশেও কম্পন অনুভূত Logo তিন দফা দাবিতে রাবির ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনশন Logo আলমডাঙ্গায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার, পুলিশের ধারণা হত্যা Logo ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করলো আমিরাত Logo চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে যুক্ত হচ্ছে আফগানিস্তান Logo ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের ২ কর্মী হত্যা, আটক ১ Logo জাতীয় স্বার্থে স্পর্শকাতর-বিতর্কিত বিষয়গুলো সবাই এড়িয়ে চলি: জামায়াত আমির

কেন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় ভারতের চেয়ে দ্বিগুণ?

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:৫৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৩১ বার পড়া হয়েছে

এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করছে বাংলাদেশ। এমনকি, প্রতিবেশি ভারতের মতো একই প্রযুক্তি ব্যবহার করেও, প্রতি ইউনিটে খরচ পড়ছে ৭৫ শতাংশ বেশি। এই ব্যয় পর্যালোচনার তাগিদ দিয়ে; তা সংশোধনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

২০১৬ সালে পাবনার রূপপুরে এক হাজার বাষট্টি একর জমির ওপর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা রোসাটমের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিলো। ঠিক পরের বছর, ২০১৭-তে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পূর্ণ উৎপাদনে এলে এখান থেকে মিলবে ২ হাজার ৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র। এই প্রকল্পের খরচ এক লাখ পঞ্চান্ন হাজার কোটি টাকার-ও বেশি। তার মানে, প্রতি ইউনিটে কেন্দ্র নির্মাণ ব্যয় দাড়াচ্ছে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। মূল প্রকল্পের বাইরে, অবকাঠামো তৈরিতে খরচ আরো সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা। এসব ব্যয় ভারতে নির্মিত একই প্রযুক্তির পারমা্ণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, এখন-তো সবকিছুর একটা আদর্শ অনুশীলন রয়েছে। স্ট্যান্ডার্ডের থেকে বেশি দিলে, কেউ খেয়ে হজম করতে পারবে না। শুধু, রাষ্ট্র সেটিকে চিহ্নিত করে ঘোষণা দিতে হবে। আর সেই ডিক্লারেশন যদি থাকে, তাহলে আদালত থেকে সেটি আদায় করে নেয়া সম্ভব। ভোক্তার স্বার্থ খর্ব করছে, এমন কোন শক্তি এখন এই যুগে নেই।

প্রতি ইউনিটে নির্মাণ ব্যয়ের হিসাব করলে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি খরচ হয় কেবল মাত্র যুক্তরাজ্যে। এশিয়ার সব দেশ তো বটে-ই; এমনকি ফ্রান্স ও রাশিয়ার চেয়ে বাংলাদেশের নির্মাণ ব্যয় অনেক বেশি। এসব ব্যয় তাই খতিয়ে দেখার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

বেসরকারি সংস্থা সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, ভারতের যেসব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উদাহরণ দেয়া হয়, সেগুলোর থেকে অনেক বেশি ব্যয়বহুলভাবে বাংলাদেশে তৈরি করা হচ্ছে। যেটা কোন বিচারেই তুলনীয় নয়। কী কারণে আসলে এমন চুক্তিটি হয়েছে কিংবা আমাদের কী পরিমাণ অপচয় হচ্ছে, সেটা হয়তো খতিয়ে দেখা যেতে পারে।

বুয়েটের প্রো উপাচার্য অধ্যাপক হাসিব চৌধুরী জানান, বিভিন্ন দেশের যে পরিমাণ ব্যয় হয়েছে, সেগুলোর দিকে তাকালে, আমাদের দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যয় অস্বাভাবিক রকমের বেশি। বিদ্যুৎ খাতের যে কমিশনটি এগুলো তদন্ত করবে, সেই কমিশনটিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রোজেক্টটি-ও দেখতে হবে। সেই সঙ্গে তদন্ত করতে হবে, কেন এতো ব্যয়বহুল এই কেন্দ্র।

উল্লেখ্য, বিশাল এই প্রকল্পের ৯০ শতাংশই রাশিয়ার দেওয়া ঋণ। সেই ঋণ সুদসহ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যে কারণে বাংলাদেশকে দুর্ভাগা ভাবছেন আমিরাত অধিনায়ক

কেন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় ভারতের চেয়ে দ্বিগুণ?

আপডেট সময় : ০১:৪৪:৫৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করছে বাংলাদেশ। এমনকি, প্রতিবেশি ভারতের মতো একই প্রযুক্তি ব্যবহার করেও, প্রতি ইউনিটে খরচ পড়ছে ৭৫ শতাংশ বেশি। এই ব্যয় পর্যালোচনার তাগিদ দিয়ে; তা সংশোধনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

২০১৬ সালে পাবনার রূপপুরে এক হাজার বাষট্টি একর জমির ওপর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা রোসাটমের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিলো। ঠিক পরের বছর, ২০১৭-তে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পূর্ণ উৎপাদনে এলে এখান থেকে মিলবে ২ হাজার ৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র। এই প্রকল্পের খরচ এক লাখ পঞ্চান্ন হাজার কোটি টাকার-ও বেশি। তার মানে, প্রতি ইউনিটে কেন্দ্র নির্মাণ ব্যয় দাড়াচ্ছে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। মূল প্রকল্পের বাইরে, অবকাঠামো তৈরিতে খরচ আরো সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা। এসব ব্যয় ভারতে নির্মিত একই প্রযুক্তির পারমা্ণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, এখন-তো সবকিছুর একটা আদর্শ অনুশীলন রয়েছে। স্ট্যান্ডার্ডের থেকে বেশি দিলে, কেউ খেয়ে হজম করতে পারবে না। শুধু, রাষ্ট্র সেটিকে চিহ্নিত করে ঘোষণা দিতে হবে। আর সেই ডিক্লারেশন যদি থাকে, তাহলে আদালত থেকে সেটি আদায় করে নেয়া সম্ভব। ভোক্তার স্বার্থ খর্ব করছে, এমন কোন শক্তি এখন এই যুগে নেই।

প্রতি ইউনিটে নির্মাণ ব্যয়ের হিসাব করলে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি খরচ হয় কেবল মাত্র যুক্তরাজ্যে। এশিয়ার সব দেশ তো বটে-ই; এমনকি ফ্রান্স ও রাশিয়ার চেয়ে বাংলাদেশের নির্মাণ ব্যয় অনেক বেশি। এসব ব্যয় তাই খতিয়ে দেখার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

বেসরকারি সংস্থা সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, ভারতের যেসব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উদাহরণ দেয়া হয়, সেগুলোর থেকে অনেক বেশি ব্যয়বহুলভাবে বাংলাদেশে তৈরি করা হচ্ছে। যেটা কোন বিচারেই তুলনীয় নয়। কী কারণে আসলে এমন চুক্তিটি হয়েছে কিংবা আমাদের কী পরিমাণ অপচয় হচ্ছে, সেটা হয়তো খতিয়ে দেখা যেতে পারে।

বুয়েটের প্রো উপাচার্য অধ্যাপক হাসিব চৌধুরী জানান, বিভিন্ন দেশের যে পরিমাণ ব্যয় হয়েছে, সেগুলোর দিকে তাকালে, আমাদের দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যয় অস্বাভাবিক রকমের বেশি। বিদ্যুৎ খাতের যে কমিশনটি এগুলো তদন্ত করবে, সেই কমিশনটিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রোজেক্টটি-ও দেখতে হবে। সেই সঙ্গে তদন্ত করতে হবে, কেন এতো ব্যয়বহুল এই কেন্দ্র।

উল্লেখ্য, বিশাল এই প্রকল্পের ৯০ শতাংশই রাশিয়ার দেওয়া ঋণ। সেই ঋণ সুদসহ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে।