শিরোনাম :
Logo শেরপুরে মহারশি নদীর বাধে ফাটল ও ভাঙন; উদ্ধিগ্ন স্থানীয়রা Logo রাবির আইন অনুষদে ‘সাংবিধানিক অধিকার ও প্রতিকার’ বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত Logo ইবিতে বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষরিত Logo সমাজ ও ধর্মবিরোধী নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা বাতিল করতে হবে মানসুর আহমদ সাকী Logo ইবিতে ছাত্রশিবিরের আয়োজনে উদ্ভাবনী বিজ্ঞান উৎসব Logo জবিস্থ কক্সবাজার জেলা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে রনি ও সাজেদুল Logo নির্বাচন পেছাতে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়েছে, বললেন মির্জা ফখরুল Logo ড. ইউনূসকে বিতর্কিত করবেন না, এখনই নির্বাচন দিন Logo কেউ কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করলেও তদারকি দরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা Logo বৃষ্টিতে ভিজেই শাহবাগ অবরোধ ছাত্রদলের, যান চলাচল বন্ধ

দেড় হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি স্বামী-স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:৫৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৩ বার পড়া হয়েছে

ইমাম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী জেবুন্নেসা আক্তারকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।

অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, ইমাম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মোট ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণখেলাপির একাধিক মামলা রয়েছে।

গোল্ডেন ভিসা নিয়ে দুজন বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে গত বছরের ডিসেম্বরে দেওয়া আদেশে তাদের ফিরিয়ে আনতে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা–ও জানতে চেয়েছেন আদালত।

নব্বইয়ের দশকে খাতুনগঞ্জের ভোগ্যপণ্যের বাজারের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করত মোহাম্মদ আলীর প্রতিষ্ঠান ইমাম ট্রেডার্স। পরে গ্রুপের ব্যবসা সম্প্রসারণ হয় গার্মেন্টস, যন্ত্রপাতি আমদানিসহ নানা খাতে। একটি সূত্র জানায়, এসব খাতে বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের বেশির ভাগ বিনিয়োগ করা হয়েছে জমি কেনায়।

আদেশে বিচারক বলেন, দেশের অর্থ পাচার করে দুবাইয়ে নানা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করেছেন ওই ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রী। তাদের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামে ১৫টি মামলা রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণখেলাপের অভিযোগে মামলাগুলো করা হয়েছে। ১০ বছর আইনি লড়াই চালিয়েও ওই টাকা উদ্ধার করতে পারেনি ব্যাংকগুলো।

বিচারক বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে তা বিদেশে পাচার করার মাধ্যমে এই ঋণখেলাপিরা রাষ্ট্রের ব্যাংক ও আর্থিক খাতকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছেন। দীর্ঘ এক যুগ ধরে এই শীর্ষ ঋণখেলাপিরা কোনো ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করার কারণে ব্যাংকের বিনিয়োগ খাতে আস্থাহীনতা দেখা দিয়েছে এবং নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

বিচারক আদেশে আরও বলেন, নাগরিকদের আমানতের টাকা ঋণের নামে মুষ্টিমেয় দুষ্কৃতকারীর বিদেশে পাচার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নাগরিকদের আমানতের অর্থ ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় কার্যকর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

মোহাম্মদ আলী একসময় ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংকের (এনসিসি) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। এই পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সহজেই ঋণ সুবিধা নিতেন তিনি। ব্যাংকে তার শেয়ারের পরিমাণ ২ শতাংশের নিচে নেমে যাওয়া এবং বিভিন্ন ব্যাংকে ঋণখেলাপি হয়ে পড়ায় এনসিসির পর্ষদ থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরে মহারশি নদীর বাধে ফাটল ও ভাঙন; উদ্ধিগ্ন স্থানীয়রা

দেড় হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি স্বামী-স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ

আপডেট সময় : ১০:৫৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইমাম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী জেবুন্নেসা আক্তারকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।

অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, ইমাম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মোট ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণখেলাপির একাধিক মামলা রয়েছে।

গোল্ডেন ভিসা নিয়ে দুজন বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে গত বছরের ডিসেম্বরে দেওয়া আদেশে তাদের ফিরিয়ে আনতে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা–ও জানতে চেয়েছেন আদালত।

নব্বইয়ের দশকে খাতুনগঞ্জের ভোগ্যপণ্যের বাজারের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করত মোহাম্মদ আলীর প্রতিষ্ঠান ইমাম ট্রেডার্স। পরে গ্রুপের ব্যবসা সম্প্রসারণ হয় গার্মেন্টস, যন্ত্রপাতি আমদানিসহ নানা খাতে। একটি সূত্র জানায়, এসব খাতে বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের বেশির ভাগ বিনিয়োগ করা হয়েছে জমি কেনায়।

আদেশে বিচারক বলেন, দেশের অর্থ পাচার করে দুবাইয়ে নানা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করেছেন ওই ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রী। তাদের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামে ১৫টি মামলা রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণখেলাপের অভিযোগে মামলাগুলো করা হয়েছে। ১০ বছর আইনি লড়াই চালিয়েও ওই টাকা উদ্ধার করতে পারেনি ব্যাংকগুলো।

বিচারক বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে তা বিদেশে পাচার করার মাধ্যমে এই ঋণখেলাপিরা রাষ্ট্রের ব্যাংক ও আর্থিক খাতকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছেন। দীর্ঘ এক যুগ ধরে এই শীর্ষ ঋণখেলাপিরা কোনো ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করার কারণে ব্যাংকের বিনিয়োগ খাতে আস্থাহীনতা দেখা দিয়েছে এবং নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

বিচারক আদেশে আরও বলেন, নাগরিকদের আমানতের টাকা ঋণের নামে মুষ্টিমেয় দুষ্কৃতকারীর বিদেশে পাচার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নাগরিকদের আমানতের অর্থ ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় কার্যকর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

মোহাম্মদ আলী একসময় ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংকের (এনসিসি) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। এই পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সহজেই ঋণ সুবিধা নিতেন তিনি। ব্যাংকে তার শেয়ারের পরিমাণ ২ শতাংশের নিচে নেমে যাওয়া এবং বিভিন্ন ব্যাংকে ঋণখেলাপি হয়ে পড়ায় এনসিসির পর্ষদ থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়।