ভারতের মেঘালয় ও আসামে টানা ভারি বর্ষণ এবং শেরপুরে গত চার দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মহারশি নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের দীঘিরপাড় ফাজিল মাদরাসা এলাকায় মহারশি নদীর পাড়ে ভাঙন ও ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকেরা।
মঙ্গলবার পানি বৃদ্ধির কারণে নদীর পাড় ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। তবে জনবল সংকটের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারাও বাঁধ রক্ষার কাজে অংশ নিচ্ছেন।
দীঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা এমদাদ মোল্লা বলেন, গত তিন বছর ধরে এই এলাকায় ভাঙনের মুখে পড়লেও প্রশাসনের তেমন নজরদারি নেই। যখন পানি আসে, তখন তারা কিছুটা কাজ করে। এই বাঁধ ভেঙে গেলে আশপাশের সব বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাবে। দীঘিরপাড় ফাজিল মাদরাসা ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক আতিক বলেন, আমরা প্রতি বছর এই বাঁধ সংস্কারের জন্য কাজ করি। যখনই পানি আসে, তখনই আমাদের এই বাঁধে মাটি ফেলে কাজ করতে হয়। এই বাঁধের স্থানীয় একটা সমাধান প্রয়োজন, নয়তো বাঁধের পাশে দীঘিরপাড় ফাজিল মাদরাসাটিও ভেসে যাবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল জানায়, এখন পর্যন্ত সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে। মহারশি নদীর দীঘিরপাড় ফাজিল মাদরাসা এলাকায় যে বাঁধটি রয়েছে, সেখানে কিছুটা ভাঙন দেখা দিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। যাতে করে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য আমরা সব সময় তৎপর রয়েছি। সকালে আমি বাঁধটি পরিদর্শন করেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।