সরকারি টাকা কেন বেসরকারি ব্যাংকে, তদন্ত করা হবে: রিজওয়ানা হাসান

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:২৬:১৫ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৩ বার পড়া হয়েছে

স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার বিভিন্ন সময়ে সরকারি ফান্ডের কোটি কোটি টাকা কিছু দুর্বল ব্যাংকে এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট) করে রেখেছিল। কিন্তু সরকারি ব্যাংক থাকতে এসব টাকা কেন বেসরকারি ব্যাংকে রাখা হয়েছে, তার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত সরকার বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের ৩ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তহবিল থেকে কিছু টাকা তৎকালীন ফারমার্স ব্যাংকে (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) জমা রেখেছিল। ব্যাংকে জমাকৃত পরিমাণ এখন সুদসহ ৮৭৩ কোটি ৮১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫৩ টাকার বেশি। কিন্তু বারবার দাবি করা সত্ত্বেও পদ্মা ব্যাংক টাকা ফেরত দিচ্ছে না’।

তিনি বলেন, ‘ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই প্রতি বছর এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রসিদ) নবায়ন করছে। এখন ব্যাংক বলছে যে তারা ২০৩৮ সালের আগে অর্থ ফেরত দিতে পারবে না, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের নাজুক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে’।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারও জানতে চাইবে যে, কেন মন্ত্রণালয়গুলো সরকারি টাকা বেসরকারি ব্যাংকে জমা করেছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে জমা করা জনগণের অর্থ ফেরত পেতে একটি রোডম্যাপ তৈরি করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক, মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এই রোডম্যাপ তৈরি করবে। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি বৈঠক করা হবে’।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি টাকা কেন বেসরকারি ব্যাংকে, তদন্ত করা হবে: রিজওয়ানা হাসান

আপডেট সময় : ০৭:২৬:১৫ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার বিভিন্ন সময়ে সরকারি ফান্ডের কোটি কোটি টাকা কিছু দুর্বল ব্যাংকে এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট) করে রেখেছিল। কিন্তু সরকারি ব্যাংক থাকতে এসব টাকা কেন বেসরকারি ব্যাংকে রাখা হয়েছে, তার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত সরকার বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের ৩ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তহবিল থেকে কিছু টাকা তৎকালীন ফারমার্স ব্যাংকে (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) জমা রেখেছিল। ব্যাংকে জমাকৃত পরিমাণ এখন সুদসহ ৮৭৩ কোটি ৮১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫৩ টাকার বেশি। কিন্তু বারবার দাবি করা সত্ত্বেও পদ্মা ব্যাংক টাকা ফেরত দিচ্ছে না’।

তিনি বলেন, ‘ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই প্রতি বছর এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রসিদ) নবায়ন করছে। এখন ব্যাংক বলছে যে তারা ২০৩৮ সালের আগে অর্থ ফেরত দিতে পারবে না, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের নাজুক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে’।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারও জানতে চাইবে যে, কেন মন্ত্রণালয়গুলো সরকারি টাকা বেসরকারি ব্যাংকে জমা করেছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে জমা করা জনগণের অর্থ ফেরত পেতে একটি রোডম্যাপ তৈরি করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক, মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এই রোডম্যাপ তৈরি করবে। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি বৈঠক করা হবে’।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।