শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

সব হারিয়ে আশ্রয় নেয়া বানভাসিদের প্রশ্ন, কবে ফিরবেন নিজগৃহে

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৯:০৪ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় এখনো খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে বানভাসি অনেক মানুষ। বৃষ্টি বাদলে মাথার ওপর পাতলা পলিথিন তাদের ভরসা। সব হারানো এসব মানুষ জানেনও না, আদৌ ফিরতে পারবেন কি না নিজ বাড়িতে। আপাতত বাঁচার জন্য খাবার আর পরে পুনর্বাসনে সবার সহায়তা চেয়েছেন তারা।

ভোগান্তি নিয়ে কথা হয় কুমিল্লা সদরের শাহ আলমের সাথে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের সামনে তলিয়ে গেছে তার বাড়ি। এখন পাশের উঁচু রাস্তায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তার বসবাস।

শাহ আলম বলেন, এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কিছুই নিয়ে আসতে পারিনি। খাবার কষ্ট, সবকিছুরই কষ্ট। রাস্তার ওপরে আশ্রয় নিয়েছি। মশার উৎপাতে ঘুমাতেও পারি না।

শাহ আলমের মতো কুমিল্লার এমন শতশত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে রাস্তার পাশে। ঘোষিত আশ্রয় কেন্দ্র না খোলায় এখানে পর্যাপ্ত ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তা মিলছে না। বানের পানিতেই তাদের ধোয়া-মাজা চলে। পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় নানা ভোগান্তিও বাড়ছে এসব মানুষদের।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন, ছোট থেকে অনেক বন্যা দেখেছি। কিন্তু এবারের মতো এমন ভয়ঙ্কর বন্যা কখনো দেখিনি। বাড়িঘর, সম্পদ সব হারিয়ে গেছে। এমন অসহায় অবস্থায় জীবনেও পড়িনি আমরা।

আরেকজন বলেন, এই কষ্টের শেষ কবে হবে? কোনদিন আমরা আবার ফিরবো নিজের বাড়িতে?

ভুক্তভোগী এসব মানুষজন জানেন না, কবে নামবে পানি, ফিরবেন আপন ঠিকানায়। তার চেয়েও বড় চিন্তা ফিরে থাকবেন কোথায়, বাড়ি ঘর সম্পদ সবই তো তলিয়ে গেছে। তাই অনিশ্চিত তাদের ভবিষ্যৎ। ভুক্তভোগী এসব মানুষের প্রার্থনা, নতুন করে আর পানি না বাড়ুক।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

সব হারিয়ে আশ্রয় নেয়া বানভাসিদের প্রশ্ন, কবে ফিরবেন নিজগৃহে

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:০৪ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪

বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় এখনো খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে বানভাসি অনেক মানুষ। বৃষ্টি বাদলে মাথার ওপর পাতলা পলিথিন তাদের ভরসা। সব হারানো এসব মানুষ জানেনও না, আদৌ ফিরতে পারবেন কি না নিজ বাড়িতে। আপাতত বাঁচার জন্য খাবার আর পরে পুনর্বাসনে সবার সহায়তা চেয়েছেন তারা।

ভোগান্তি নিয়ে কথা হয় কুমিল্লা সদরের শাহ আলমের সাথে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের সামনে তলিয়ে গেছে তার বাড়ি। এখন পাশের উঁচু রাস্তায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তার বসবাস।

শাহ আলম বলেন, এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কিছুই নিয়ে আসতে পারিনি। খাবার কষ্ট, সবকিছুরই কষ্ট। রাস্তার ওপরে আশ্রয় নিয়েছি। মশার উৎপাতে ঘুমাতেও পারি না।

শাহ আলমের মতো কুমিল্লার এমন শতশত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে রাস্তার পাশে। ঘোষিত আশ্রয় কেন্দ্র না খোলায় এখানে পর্যাপ্ত ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তা মিলছে না। বানের পানিতেই তাদের ধোয়া-মাজা চলে। পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় নানা ভোগান্তিও বাড়ছে এসব মানুষদের।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন, ছোট থেকে অনেক বন্যা দেখেছি। কিন্তু এবারের মতো এমন ভয়ঙ্কর বন্যা কখনো দেখিনি। বাড়িঘর, সম্পদ সব হারিয়ে গেছে। এমন অসহায় অবস্থায় জীবনেও পড়িনি আমরা।

আরেকজন বলেন, এই কষ্টের শেষ কবে হবে? কোনদিন আমরা আবার ফিরবো নিজের বাড়িতে?

ভুক্তভোগী এসব মানুষজন জানেন না, কবে নামবে পানি, ফিরবেন আপন ঠিকানায়। তার চেয়েও বড় চিন্তা ফিরে থাকবেন কোথায়, বাড়ি ঘর সম্পদ সবই তো তলিয়ে গেছে। তাই অনিশ্চিত তাদের ভবিষ্যৎ। ভুক্তভোগী এসব মানুষের প্রার্থনা, নতুন করে আর পানি না বাড়ুক।