শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার Logo আবারও রাফাহ থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের Logo জাপানে মেগা ভূমিকম্পের আশঙ্কা, মারা যেতে পারে ৩ লাখ মানুষ Logo ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ট্রেন-বাস স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের চাপ Logo দুই অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, সতর্ক সংকেত

ফারাক্কার সব গেট খুলে দেওয়ায় পদ্মায় হু হু করে বাড়ছে পানি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৩০:২৬ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • ৭২৩ বার পড়া হয়েছে

ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়ার পর থেকে পদ্মা নদীতে হু হু করে পানি বাড়ছে। পদ্মার রাজশাহী পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ০৫ মিটার।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৩০ মিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ১ দশমিক ৭৫ মিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উত্তরাঞ্চলীয় পানিবিজ্ঞান পরিমাপ বিভাগ জানিয়েছে রোববার দুপুরের পর থেকেই পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। পাশের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাংখা পয়েন্টে সোমবার ভোর ৬টা ও সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা ছিল ২০ দশমিক ৪৮ মিটার। বিকেল ৩টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ দশমিক ৫০ মিটারে। পাংখায় বিপৎসীমা ২২ দশমিক ০৫ মিটার।

পাংখার ভাটিতে থাকা রাজশাহী নগরীর শহর রক্ষাবাঁধ সংলগ্ন বড়কুঠি পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানির বিপৎসীমা নির্ধারণ করা রয়েছে ১৮ দশমিক ০৫ মিটার। সোমবার ভোর ৬টায় এখানে পানির উচ্চতা পাওয়া যায় ১৬ দশমিক ২৭ মিটার। সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা আরও এক সেন্টিমিটার বেশি পাওয়া যায়। এরপর বিকেল ৩টায় ও সন্ধ্যা ৬টায় পদ্মার এই পয়েন্টে পানির উচ্চতা পাওয়া যায় ১৬ দশমিক ৩০ মিটার।

অপরদিকে বড়কুঠির আরও ভাটিতে থাকা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় পদ্মার পানির বিপৎসীমা ১৬ দশমিক ৯২ মিটার। সোমবার ভোর ৬টায় এখানে পানির উচ্চতা ছিল ১৫ দশমিক ০৫ মিটার এবং সকাল ৯টা ও বিকেল ৩টায় পানির উচ্চতা পাওয়া যায় ১৫ দশমিক ০৬ মিটার। উজানে থাকা ফারাক্কার গেট খোলায় ভাটিতে থাকা পদ্মার পানি বাড়ার এ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলেই আপাতত আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উত্তরাঞ্চলীয় পানিবিজ্ঞান পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, সাধারণত ১০ দিনের জন্য নদ-নদীর পানি বাড়ার পূর্বাভাস দেন তারা। সেই হিসাবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা নেই। তবে আগামী কয়েকদিন উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে তার সর্বশেষ দেখে পদ্মার পানির প্রকৃত অবস্থা ও পরবর্তী পরিস্থিতি অনুমান করা সম্ভব হবে।

ট্যাগস :

কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা

ফারাক্কার সব গেট খুলে দেওয়ায় পদ্মায় হু হু করে বাড়ছে পানি

আপডেট সময় : ০৭:৩০:২৬ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪

ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়ার পর থেকে পদ্মা নদীতে হু হু করে পানি বাড়ছে। পদ্মার রাজশাহী পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ০৫ মিটার।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৩০ মিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ১ দশমিক ৭৫ মিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উত্তরাঞ্চলীয় পানিবিজ্ঞান পরিমাপ বিভাগ জানিয়েছে রোববার দুপুরের পর থেকেই পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। পাশের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাংখা পয়েন্টে সোমবার ভোর ৬টা ও সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা ছিল ২০ দশমিক ৪৮ মিটার। বিকেল ৩টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ দশমিক ৫০ মিটারে। পাংখায় বিপৎসীমা ২২ দশমিক ০৫ মিটার।

পাংখার ভাটিতে থাকা রাজশাহী নগরীর শহর রক্ষাবাঁধ সংলগ্ন বড়কুঠি পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানির বিপৎসীমা নির্ধারণ করা রয়েছে ১৮ দশমিক ০৫ মিটার। সোমবার ভোর ৬টায় এখানে পানির উচ্চতা পাওয়া যায় ১৬ দশমিক ২৭ মিটার। সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা আরও এক সেন্টিমিটার বেশি পাওয়া যায়। এরপর বিকেল ৩টায় ও সন্ধ্যা ৬টায় পদ্মার এই পয়েন্টে পানির উচ্চতা পাওয়া যায় ১৬ দশমিক ৩০ মিটার।

অপরদিকে বড়কুঠির আরও ভাটিতে থাকা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় পদ্মার পানির বিপৎসীমা ১৬ দশমিক ৯২ মিটার। সোমবার ভোর ৬টায় এখানে পানির উচ্চতা ছিল ১৫ দশমিক ০৫ মিটার এবং সকাল ৯টা ও বিকেল ৩টায় পানির উচ্চতা পাওয়া যায় ১৫ দশমিক ০৬ মিটার। উজানে থাকা ফারাক্কার গেট খোলায় ভাটিতে থাকা পদ্মার পানি বাড়ার এ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলেই আপাতত আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উত্তরাঞ্চলীয় পানিবিজ্ঞান পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, সাধারণত ১০ দিনের জন্য নদ-নদীর পানি বাড়ার পূর্বাভাস দেন তারা। সেই হিসাবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা নেই। তবে আগামী কয়েকদিন উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে তার সর্বশেষ দেখে পদ্মার পানির প্রকৃত অবস্থা ও পরবর্তী পরিস্থিতি অনুমান করা সম্ভব হবে।