শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

ব্রাজিলের ৭ গোলের দুঃসহ স্মৃতির এক দশক পূর্তি আজ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:২০:৪১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ

ব্রাজিলের জন্য সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না। রোববার (৭ জুলাই) উরুগুয়ের সঙ্গে হেরে কোপা আসর থেকে বিদায় নিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এদিকে আজ ক্যালেন্ডারের পাতায় তারিখ ৮ জুলাই। আজ থেকে ঠিক ১০ বছর আগে ২০১৪ সালের ৮ জুলাইয়ে।

মারাকানা স্টেডিয়ামে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত স্বাগতিক ‘হট ফেভারিট’ ব্রাজিল। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী জার্মানি।

ম্যাচের আগে সবাই ধরেই নেওয়া হয়েছিলো যে জার্মানদের উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে যাবে ব্রাজিল। তবে কে জানতো, সেই দিন ব্রাজিলের ইতিহাসের অন্যতম বিভীষিকাময় দিন হতে চলেছে। ইনজুরির কারণে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার ম্যাচটিতে খেলতে পারেননি। এদিকে খেলা শুরুর পর স্টেডিয়ামে দর্শকরা তখনও নিজেদের সিটে ভালোভাবে বসতেও পারেননি, এরইমধ্যে জোয়াকিম লোর শিষ্যরা প্রথম থেকেই মরিয়া গোলের জন্য। ম্যাচের ১১ মিনিট চলছে। জার্মানির হয়ে প্রথম গোল করেন থমাস মুলার।

ম্যাচের ২৯ মিনিটের মধ্যে ৫ গোল জার্মানির। এদিকে ব্রাজিল গোল করা তো দূরের কথা জার্মানির আক্রমণই হজম করতে পারছিলো না। ২৩ মিনিটে মিরোস্লাভ ক্লোসা দ্বিতীয় গোল করার পরই পাশের গ্যালারিতে গায়ে হলুদ জার্সি, গালে জাতীয় পতাকা আঁকা এক তরুণীকে দেখা যায় হাউমাউ করে কাঁদতে। পরের ৭ মিনিটের মধ্যে জার্মানি আরও ৩ গোল করে ফেলার পর সেই কান্না সংক্রামক হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা মারাকানা স্টেডিয়ামে।

পাসিং ফুটবল দলগতভাবে কীভাবে খেলতে হয়, সেটাই যেন ব্রাজিলকে শেখাচ্ছিলো জার্মানরা। জার্মানির সেই বিজয়ী দলের খেলোয়াড় ম্যাটস হামেলস পরে জানিয়েছিলেন, তারা ইচ্ছা করেই বিরতির পর আর কোনো জাদুকরী খেলা খেলতে চাননি। তারা শুধু চেয়েছিলেন ম্যাচটি শেষ করতে। ম্যাটস হামেলস বলেন, ‘আমরা শুধু চেয়েছি খেলায় মনোযোগী থাকতে। খেলার মধ্যে সেলেসাওদের কোনোভাবেই অপমান করতে চাইনি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, খেলার মধ্যে সিরিয়াস থাকতে হবে। তবে ব্রাজিলকে অপমান করা হয়, এমন কিছু থেকে বিরত থাকব। খেলার মধ্যে জয়-পরাজয় থাকবে। তবে প্রতিপক্ষকে সম্মান দেখাতে হবে। আমরা সে কাজ করেছি। দ্বিতীয়ার্ধের পর আমরা কোনো জাদুকরী খেলা দেখাইনি। ’

ম্যাচের ৯০ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে সান্ত্বনার একটি গোল করেন অস্কার। খেলা শেষে ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৭-১। খেলার শেষে জার্মানিরা সেলেসাওদের সান্ত্বনা দিয়েছিলো। অঝোরে কেঁদেছিলেন ব্রাজিলের ভক্ত-সমর্থক হতে শুরু করে ফুটবলাররা। অশ্রুসিক্ত চোখে দর্শকদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতেও দেখা যায় ব্রাজিলিয়ান তারকা ডেভিড লুইজকে।

বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে জার্মানির এই জয়টি ছিল সর্বকালের সবচেয়ে বড় জয়। সেইবারের বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়নি জার্মানদেরও। ব্রাজিলকে কাঁদানোর পর ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের শেষদিকের গোলে আর্জেন্টিনার স্বপ্নভঙ্গ করে চতুর্থবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপ জিতে নেয় জার্মানি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

ব্রাজিলের ৭ গোলের দুঃসহ স্মৃতির এক দশক পূর্তি আজ

আপডেট সময় : ০৩:২০:৪১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ

ব্রাজিলের জন্য সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না। রোববার (৭ জুলাই) উরুগুয়ের সঙ্গে হেরে কোপা আসর থেকে বিদায় নিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এদিকে আজ ক্যালেন্ডারের পাতায় তারিখ ৮ জুলাই। আজ থেকে ঠিক ১০ বছর আগে ২০১৪ সালের ৮ জুলাইয়ে।

মারাকানা স্টেডিয়ামে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত স্বাগতিক ‘হট ফেভারিট’ ব্রাজিল। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী জার্মানি।

ম্যাচের আগে সবাই ধরেই নেওয়া হয়েছিলো যে জার্মানদের উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে যাবে ব্রাজিল। তবে কে জানতো, সেই দিন ব্রাজিলের ইতিহাসের অন্যতম বিভীষিকাময় দিন হতে চলেছে। ইনজুরির কারণে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার ম্যাচটিতে খেলতে পারেননি। এদিকে খেলা শুরুর পর স্টেডিয়ামে দর্শকরা তখনও নিজেদের সিটে ভালোভাবে বসতেও পারেননি, এরইমধ্যে জোয়াকিম লোর শিষ্যরা প্রথম থেকেই মরিয়া গোলের জন্য। ম্যাচের ১১ মিনিট চলছে। জার্মানির হয়ে প্রথম গোল করেন থমাস মুলার।

ম্যাচের ২৯ মিনিটের মধ্যে ৫ গোল জার্মানির। এদিকে ব্রাজিল গোল করা তো দূরের কথা জার্মানির আক্রমণই হজম করতে পারছিলো না। ২৩ মিনিটে মিরোস্লাভ ক্লোসা দ্বিতীয় গোল করার পরই পাশের গ্যালারিতে গায়ে হলুদ জার্সি, গালে জাতীয় পতাকা আঁকা এক তরুণীকে দেখা যায় হাউমাউ করে কাঁদতে। পরের ৭ মিনিটের মধ্যে জার্মানি আরও ৩ গোল করে ফেলার পর সেই কান্না সংক্রামক হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা মারাকানা স্টেডিয়ামে।

পাসিং ফুটবল দলগতভাবে কীভাবে খেলতে হয়, সেটাই যেন ব্রাজিলকে শেখাচ্ছিলো জার্মানরা। জার্মানির সেই বিজয়ী দলের খেলোয়াড় ম্যাটস হামেলস পরে জানিয়েছিলেন, তারা ইচ্ছা করেই বিরতির পর আর কোনো জাদুকরী খেলা খেলতে চাননি। তারা শুধু চেয়েছিলেন ম্যাচটি শেষ করতে। ম্যাটস হামেলস বলেন, ‘আমরা শুধু চেয়েছি খেলায় মনোযোগী থাকতে। খেলার মধ্যে সেলেসাওদের কোনোভাবেই অপমান করতে চাইনি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, খেলার মধ্যে সিরিয়াস থাকতে হবে। তবে ব্রাজিলকে অপমান করা হয়, এমন কিছু থেকে বিরত থাকব। খেলার মধ্যে জয়-পরাজয় থাকবে। তবে প্রতিপক্ষকে সম্মান দেখাতে হবে। আমরা সে কাজ করেছি। দ্বিতীয়ার্ধের পর আমরা কোনো জাদুকরী খেলা দেখাইনি। ’

ম্যাচের ৯০ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে সান্ত্বনার একটি গোল করেন অস্কার। খেলা শেষে ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৭-১। খেলার শেষে জার্মানিরা সেলেসাওদের সান্ত্বনা দিয়েছিলো। অঝোরে কেঁদেছিলেন ব্রাজিলের ভক্ত-সমর্থক হতে শুরু করে ফুটবলাররা। অশ্রুসিক্ত চোখে দর্শকদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতেও দেখা যায় ব্রাজিলিয়ান তারকা ডেভিড লুইজকে।

বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে জার্মানির এই জয়টি ছিল সর্বকালের সবচেয়ে বড় জয়। সেইবারের বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়নি জার্মানদেরও। ব্রাজিলকে কাঁদানোর পর ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের শেষদিকের গোলে আর্জেন্টিনার স্বপ্নভঙ্গ করে চতুর্থবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপ জিতে নেয় জার্মানি।