শিরোনাম :
Logo মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে Logo স্বর্ণের দামে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস Logo দুবাইয়ে বিগ টিকিট লটারি জিতে লাখপতি দুই বাংলাদেশি Logo বাবা হলেন যুক্তরাষ্ট্রে আটক খলিল, দেখতে পারলেন না সদ্যোজাত সন্তানের মুখ Logo এটিএম আজহার মুক্তি না পাওয়ায় আমরা ব্যথিত, তবে হতাশ নই Logo আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ ৩ বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে বিএনপি Logo ধর্ম নিরপেক্ষতা বিলুপ্তে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত বিএনপি Logo হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরের মুসলিম কবরস্থান রোড এলাকা সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী Logo ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই:ব্যারিস্টার ফুয়াদ Logo ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তসহ দুই দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ

সিনেমা হলের জন্য সরকারের বরাদ্দ ৭০০ কোটি টাকা

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:০২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বন্ধ হতে হতে দেশের সিনেমা হলের সংখ্যা এখন মাত্র প্রায় সত্তরটি। করোনা পরিস্থিতির পর হয়তো অর্ধশতেরও নীচে নেমে আসছে হল সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে দেশের মৃতপ্রায় সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রি বাঁচাতে উদ্যোগি হয়েছেন সরকার।

বন্ধ হয়ে যাওয়া হলের সংস্কার ও নতুন সিনেমা হল গড়তে স্বল্প সুদে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সিনেমা সংশ্লিষ্ট একাধিক সংগঠনের নেতারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে শুভ কামনা জানিয়ে সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রি ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন তারা।

তবে সরকারের এই ঋণ সুবিধাকে সাধুবাদ জানিয়ে পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, বর্তমান সরকার সিনেমাবান্ধব সরকার সেটা আমরা আগেও বলেছি। সরকার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলা সিনেমার জন্য নিঃসন্দেহে এটি সুসংবাদ। সরকারের এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আশা করি সিনেমা শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে।

তবে হল মালিক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ এই অর্থ বরাদ্দকে অনুদান হিসেবে দিলে ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে অনেক হল মালিক স্বচ্ছলতা হারিয়েছেন, এরকম অনেকেই আমাদের বলছিলেন যে, ঋণ না দিয়ে সরকার যদি এই বরাদ্দকৃত অর্থ অনুদান হিসেবে দিতেন, তাহলে বেশি উপকৃত হতেন। ৪ শতাংশ সুদ দেয়া অনেকের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।’

এদিকে দেশের অধিকাংশ নির্মাতারা হল হলের সংস্কার ও নতুন সিনেমা হল গড়তে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার পাশাপাশি সিনমা সিনেমা নির্মাণেও সরকারি সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করছেন।  কারণ হল সংস্কার হলে সেখানে চালানোর জন্য মানসম্মত সিনেমাও প্রয়োজন। তাই সিনেমা নির্মাণেও একটা অর্থ ররাদ্দ চান নির্মাতারা।

সরকারের এমন উদ্যোগকে প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু চলচ্চিত্রের জন্য সবুজ সংকেত হিসেবে দেখছেন।সমকালকে তিনি বলেন, গত ১৫-২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের যেসব সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, সেগুলো পুনরায় চালু করতে এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণ করতেই মূলত সরকারের এই বিশেষ ঋণ সুবিধা। ইতোমধ্যে সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এটিকে আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য সবুজ সংকেত হিসেবে দেখছি।

ঋণ নেয়ার প্রক্রিয়ার বিষয়টি জানিয়ে প্রযোজক সমিতির এই নেতা জানান, সরাসরি সরকারি কোষাগার থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে কয়েকটি ব্যাংকে টাকা রাখা হবে। হল মালিকরা সেসব ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন। যা খুবই স্বল্প ঋণে ও দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে

সিনেমা হলের জন্য সরকারের বরাদ্দ ৭০০ কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০৬:২১:০২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

বন্ধ হতে হতে দেশের সিনেমা হলের সংখ্যা এখন মাত্র প্রায় সত্তরটি। করোনা পরিস্থিতির পর হয়তো অর্ধশতেরও নীচে নেমে আসছে হল সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে দেশের মৃতপ্রায় সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রি বাঁচাতে উদ্যোগি হয়েছেন সরকার।

বন্ধ হয়ে যাওয়া হলের সংস্কার ও নতুন সিনেমা হল গড়তে স্বল্প সুদে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সিনেমা সংশ্লিষ্ট একাধিক সংগঠনের নেতারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে শুভ কামনা জানিয়ে সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রি ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন তারা।

তবে সরকারের এই ঋণ সুবিধাকে সাধুবাদ জানিয়ে পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, বর্তমান সরকার সিনেমাবান্ধব সরকার সেটা আমরা আগেও বলেছি। সরকার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলা সিনেমার জন্য নিঃসন্দেহে এটি সুসংবাদ। সরকারের এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আশা করি সিনেমা শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে।

তবে হল মালিক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ এই অর্থ বরাদ্দকে অনুদান হিসেবে দিলে ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে অনেক হল মালিক স্বচ্ছলতা হারিয়েছেন, এরকম অনেকেই আমাদের বলছিলেন যে, ঋণ না দিয়ে সরকার যদি এই বরাদ্দকৃত অর্থ অনুদান হিসেবে দিতেন, তাহলে বেশি উপকৃত হতেন। ৪ শতাংশ সুদ দেয়া অনেকের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।’

এদিকে দেশের অধিকাংশ নির্মাতারা হল হলের সংস্কার ও নতুন সিনেমা হল গড়তে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার পাশাপাশি সিনমা সিনেমা নির্মাণেও সরকারি সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করছেন।  কারণ হল সংস্কার হলে সেখানে চালানোর জন্য মানসম্মত সিনেমাও প্রয়োজন। তাই সিনেমা নির্মাণেও একটা অর্থ ররাদ্দ চান নির্মাতারা।

সরকারের এমন উদ্যোগকে প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু চলচ্চিত্রের জন্য সবুজ সংকেত হিসেবে দেখছেন।সমকালকে তিনি বলেন, গত ১৫-২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের যেসব সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, সেগুলো পুনরায় চালু করতে এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণ করতেই মূলত সরকারের এই বিশেষ ঋণ সুবিধা। ইতোমধ্যে সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এটিকে আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য সবুজ সংকেত হিসেবে দেখছি।

ঋণ নেয়ার প্রক্রিয়ার বিষয়টি জানিয়ে প্রযোজক সমিতির এই নেতা জানান, সরাসরি সরকারি কোষাগার থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে কয়েকটি ব্যাংকে টাকা রাখা হবে। হল মালিকরা সেসব ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন। যা খুবই স্বল্প ঋণে ও দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য।