শিরোনাম :
Logo মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে Logo স্বর্ণের দামে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস Logo দুবাইয়ে বিগ টিকিট লটারি জিতে লাখপতি দুই বাংলাদেশি Logo বাবা হলেন যুক্তরাষ্ট্রে আটক খলিল, দেখতে পারলেন না সদ্যোজাত সন্তানের মুখ Logo এটিএম আজহার মুক্তি না পাওয়ায় আমরা ব্যথিত, তবে হতাশ নই Logo আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ ৩ বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে বিএনপি Logo ধর্ম নিরপেক্ষতা বিলুপ্তে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত বিএনপি Logo হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরের মুসলিম কবরস্থান রোড এলাকা সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী Logo ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই:ব্যারিস্টার ফুয়াদ Logo ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তসহ দুই দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ

সিরিয়ায় ১৩ হাজার বন্দিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে : অ্যামনেস্টি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:২২:৪২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সিরিয়ার একটি কারাগারে গোপনে প্রায় ১৩ হাজার বন্দিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। তাদের অধিকাংশই বেসামরিক বিরোধী-সমর্থক। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

অ্যামনেস্টি তাদের এক নতুন প্রতিবেদনে বলছে, সিরিয়ার কুখ্যাত সেডনায়া কারাগারে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিসপ্তাহে গণহারে বন্দিদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে।

অ্যামনেস্টি বলছে, তারা তাদের প্রতিবেদনের জন্য ৮৪ জন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সাক্ষাৎকারদাতাদের মধ্যে সাবেক কারারক্ষী, বন্দি ও কারা কর্মকর্তা রয়েছেন। মানবাধিকার সংগঠনটির অভিযোগ, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উত্তরে অবস্থিত কারাগারটিতে উল্লিখিত সময়ে প্রতিসপ্তাহে এবং প্রায়ই সপ্তাহে দুইবার ২০ থেকে ৫০ জন বন্দিকে গোপনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারের জন্য বন্দিদের প্রথমে একটি সামরিক আদালতে নেওয়া হতো। সেখানে এক থেকে তিন মিনিটের মধ্যে বিচারকাজ শেষ হতো।

সিরিয়ার সামরিক আদালতের এক সাবেক বিচারকের উদ্ধৃতি দিয়ে মানবাধিকার সংগঠনটি জানিয়েছে, আদালতে আইনের শাসনের কোনো বালাই ছিল না। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফাঁসি কার্যকরের দিন সংশ্লিষ্ট বন্দিদের বলা হতো, তাদের বেসামরিক কারাগারে স্থানান্তর করা হবে। মধ্যরাতে বন্দিদের চোখ বেঁধে কারাগারে অন্য অংশে নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানেও ভূগর্ভস্থ একটি কক্ষে নিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে অবহিত করা হতো। কোনো রকম সময় না দিয়েই বন্দিদের ফাঁসিতে ঝোলানো হতো। মৃত ব্যক্তিদের লাশ লরিতে তোলা হতো। পরে সামরিক ভূমিতে তাদের গণকবর দেওয়া হতো। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অ্যামনেস্টির হিসাব বলছে, সেডনায়া কারাগারে পাঁচ বছরে ৫ থেকে ১৩ হাজার বন্দিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে

সিরিয়ায় ১৩ হাজার বন্দিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে : অ্যামনেস্টি !

আপডেট সময় : ১২:২২:৪২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সিরিয়ার একটি কারাগারে গোপনে প্রায় ১৩ হাজার বন্দিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। তাদের অধিকাংশই বেসামরিক বিরোধী-সমর্থক। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

অ্যামনেস্টি তাদের এক নতুন প্রতিবেদনে বলছে, সিরিয়ার কুখ্যাত সেডনায়া কারাগারে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিসপ্তাহে গণহারে বন্দিদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে।

অ্যামনেস্টি বলছে, তারা তাদের প্রতিবেদনের জন্য ৮৪ জন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সাক্ষাৎকারদাতাদের মধ্যে সাবেক কারারক্ষী, বন্দি ও কারা কর্মকর্তা রয়েছেন। মানবাধিকার সংগঠনটির অভিযোগ, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উত্তরে অবস্থিত কারাগারটিতে উল্লিখিত সময়ে প্রতিসপ্তাহে এবং প্রায়ই সপ্তাহে দুইবার ২০ থেকে ৫০ জন বন্দিকে গোপনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারের জন্য বন্দিদের প্রথমে একটি সামরিক আদালতে নেওয়া হতো। সেখানে এক থেকে তিন মিনিটের মধ্যে বিচারকাজ শেষ হতো।

সিরিয়ার সামরিক আদালতের এক সাবেক বিচারকের উদ্ধৃতি দিয়ে মানবাধিকার সংগঠনটি জানিয়েছে, আদালতে আইনের শাসনের কোনো বালাই ছিল না। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফাঁসি কার্যকরের দিন সংশ্লিষ্ট বন্দিদের বলা হতো, তাদের বেসামরিক কারাগারে স্থানান্তর করা হবে। মধ্যরাতে বন্দিদের চোখ বেঁধে কারাগারে অন্য অংশে নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানেও ভূগর্ভস্থ একটি কক্ষে নিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে অবহিত করা হতো। কোনো রকম সময় না দিয়েই বন্দিদের ফাঁসিতে ঝোলানো হতো। মৃত ব্যক্তিদের লাশ লরিতে তোলা হতো। পরে সামরিক ভূমিতে তাদের গণকবর দেওয়া হতো। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অ্যামনেস্টির হিসাব বলছে, সেডনায়া কারাগারে পাঁচ বছরে ৫ থেকে ১৩ হাজার বন্দিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।