শিরোনাম :
Logo জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি Logo ইবিতে খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

আকন্দবাড়িয়ায় পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজীর চেষ্টা আলোচিত তহিরুলকে গণধোলাই!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০১:৫১:৪২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৪ মে ২০১৯
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিচয়। কখনো পুলিশ কর্মকর্তা, কখনো বিভিন্ন বিভাগের সরকারি অফিসার আবার কখনো অনলাইন টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক। কত না গুনের অধিকারী একজন মানুষ। এরকম গুনের অধিকারী একজন ব্যক্তি বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের আইসি পরিচয়ে চাঁদাবাজীর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পল্লী চিকিৎসকের নিকট পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির চেষ্টাকালে জনতার রোষানলে পড়া চাঁদাবাজ তহিরুলকে গণধোলাই স্থানীয়রা। জনতার হাতে উত্তম-মাধ্যম খাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে ওই চাঁদাবাজ। আলোচিত তহিরুল বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। গত বুধবার সন্ধ্যায় বেগমপুরের আকন্দবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নিজেকে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের আইসি পরিচয় দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মাঝপাড়ার (ঈদগাঁহ পাড়া) আব্দুস শুকুর মাষ্টারের ছেলে সাইফুল ইসলাম মাষ্টারের কাছে ফোন দেয় তহিরুল। এরপর তাকে দ্রুত একই গ্রামের ঈদগাঁহ পাড়ার আনছার আলীর ছেলে ওল্টুর দোকানের সামনে আসতে বলে। এসময় সাইফুল জানায়, ‘আমি দর্শনা রেলবাজারে কাজে এসেছি, আমার যেতে একটু দেরি হবে’। এ কথা শুনার পর পুলিশ পরিচয় দেওয়া তহিরুল জানায়, আপনি যত তাড়াতাড়ি পৌছাবেন তাতে আপনার মঙ্গল হবে। এ কথা শুনার পর সাইফুল কি বিষয় জানতে চাইলে, ওল্টুর দোকানের সামনে আসতে বলে বিভিন্ন রকমভাবে হুমকি দেয়।
এতে সাইফুল ভীতসশস্ত্র হয়ে পড়ে বাজার থেকে গ্রামে ফিরে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ওল্টুর দোকানের সামনে পৌছাতেই পুলিশ পরিচয়দানকারী একই গ্রামের শেখপাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে আলোচিত তহিরুল তাকে নিয়ে গ্রামের ঈদগাঁহ’র ভিতরে যায়। এরপর তাকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখাতে থাকলে লোকজন তাকে ধরে উত্তম-মাধ্যম দেয়। এরপর তহিরুল দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে।
এলাকাবাসী জানায়, বিভিন্ন সরকারি অফিসার ও প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবজি তার পুরাতন পেশা। অভিযুক্ত তহিরুল বর্তমানে নিজেকে পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে চলেছে। ৫ম শ্রেণীর গন্ডি না পার করলেও নিজেকে (এসটিভি চ্যানেলের) একজন তারকা সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছে। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআইসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
এ বিষয়ে সাইফুল জানায়, আমি একজন শিক্ষক। পাশাপাশি গ্রামে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসা দিয়ে থাকি। মোবাইল ফোনে আমাকে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের আইসি পরিচয় দিয়ে আমাকে দ্রুত ওল্টুর দোকানে আসতে বলে। সে সময় আমি প্রয়োজনীয় কাজে দর্শনা রেলবাজারে ছিলাম। এ কথা শুনার পর আমি কারণ জানতে চাইলে, সে আমাকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এতে আমি ভীতসশস্ত্র হয়ে পড়ে গ্রামে আসি। এরপর ২/৩ জন লোককে সাথে নিয়ে ওল্টুর দোকানে পৌছানোর আগেই আমার সাথে যাওয়া মানুষগুলি আমাকে যেতে বলে এবং তারা একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর ওল্টুর দোকানে পৌছাতেই একজন ব্যক্তি আমাকে নিয়ে পাশের ঈদগাঁহর ভিতরে নিয়ে যায়। পরে আমার সাথে আসা ব্যক্তিরা তাকে চিনতে পেরে ঈদগাঁহর ভিতরে যায়। এরপর পুলিশ পরিচয়দানকারী তহিরুল আমাকে গ্রামের ঈদবারীর স্ত্রীর চিকিৎসা (ইনজেকশন) করে অসুস্থ করেছে বলে অনেক কথাবার্তা বলতে থাকে। এমন কথাবার্তা ভঙ্গিমা বোঝার পর সাথে থাকা লোকজনসহ স্থানীয়রা পুলিশ পরিচয়দানকারী তহিরুলকে উত্তম-মাধ্যম দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তহিরুল জানায়, আপনারা দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে আসেন আমি এইটা বলেছি, পুলিশ পরিচয় দেয়নি।
বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের আইসি (ইনচার্জ) এসআই কিশোর কুমার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম এবং ঘটনার বর্ণনা শুনেছি। তবে সাইফুলের অভিযোগ পেলে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি

আকন্দবাড়িয়ায় পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজীর চেষ্টা আলোচিত তহিরুলকে গণধোলাই!

আপডেট সময় : ০১:৫১:৪২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৪ মে ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিচয়। কখনো পুলিশ কর্মকর্তা, কখনো বিভিন্ন বিভাগের সরকারি অফিসার আবার কখনো অনলাইন টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক। কত না গুনের অধিকারী একজন মানুষ। এরকম গুনের অধিকারী একজন ব্যক্তি বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের আইসি পরিচয়ে চাঁদাবাজীর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পল্লী চিকিৎসকের নিকট পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির চেষ্টাকালে জনতার রোষানলে পড়া চাঁদাবাজ তহিরুলকে গণধোলাই স্থানীয়রা। জনতার হাতে উত্তম-মাধ্যম খাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে ওই চাঁদাবাজ। আলোচিত তহিরুল বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। গত বুধবার সন্ধ্যায় বেগমপুরের আকন্দবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নিজেকে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের আইসি পরিচয় দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মাঝপাড়ার (ঈদগাঁহ পাড়া) আব্দুস শুকুর মাষ্টারের ছেলে সাইফুল ইসলাম মাষ্টারের কাছে ফোন দেয় তহিরুল। এরপর তাকে দ্রুত একই গ্রামের ঈদগাঁহ পাড়ার আনছার আলীর ছেলে ওল্টুর দোকানের সামনে আসতে বলে। এসময় সাইফুল জানায়, ‘আমি দর্শনা রেলবাজারে কাজে এসেছি, আমার যেতে একটু দেরি হবে’। এ কথা শুনার পর পুলিশ পরিচয় দেওয়া তহিরুল জানায়, আপনি যত তাড়াতাড়ি পৌছাবেন তাতে আপনার মঙ্গল হবে। এ কথা শুনার পর সাইফুল কি বিষয় জানতে চাইলে, ওল্টুর দোকানের সামনে আসতে বলে বিভিন্ন রকমভাবে হুমকি দেয়।
এতে সাইফুল ভীতসশস্ত্র হয়ে পড়ে বাজার থেকে গ্রামে ফিরে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ওল্টুর দোকানের সামনে পৌছাতেই পুলিশ পরিচয়দানকারী একই গ্রামের শেখপাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে আলোচিত তহিরুল তাকে নিয়ে গ্রামের ঈদগাঁহ’র ভিতরে যায়। এরপর তাকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখাতে থাকলে লোকজন তাকে ধরে উত্তম-মাধ্যম দেয়। এরপর তহিরুল দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে।
এলাকাবাসী জানায়, বিভিন্ন সরকারি অফিসার ও প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবজি তার পুরাতন পেশা। অভিযুক্ত তহিরুল বর্তমানে নিজেকে পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে চলেছে। ৫ম শ্রেণীর গন্ডি না পার করলেও নিজেকে (এসটিভি চ্যানেলের) একজন তারকা সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছে। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআইসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
এ বিষয়ে সাইফুল জানায়, আমি একজন শিক্ষক। পাশাপাশি গ্রামে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসা দিয়ে থাকি। মোবাইল ফোনে আমাকে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের আইসি পরিচয় দিয়ে আমাকে দ্রুত ওল্টুর দোকানে আসতে বলে। সে সময় আমি প্রয়োজনীয় কাজে দর্শনা রেলবাজারে ছিলাম। এ কথা শুনার পর আমি কারণ জানতে চাইলে, সে আমাকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এতে আমি ভীতসশস্ত্র হয়ে পড়ে গ্রামে আসি। এরপর ২/৩ জন লোককে সাথে নিয়ে ওল্টুর দোকানে পৌছানোর আগেই আমার সাথে যাওয়া মানুষগুলি আমাকে যেতে বলে এবং তারা একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর ওল্টুর দোকানে পৌছাতেই একজন ব্যক্তি আমাকে নিয়ে পাশের ঈদগাঁহর ভিতরে নিয়ে যায়। পরে আমার সাথে আসা ব্যক্তিরা তাকে চিনতে পেরে ঈদগাঁহর ভিতরে যায়। এরপর পুলিশ পরিচয়দানকারী তহিরুল আমাকে গ্রামের ঈদবারীর স্ত্রীর চিকিৎসা (ইনজেকশন) করে অসুস্থ করেছে বলে অনেক কথাবার্তা বলতে থাকে। এমন কথাবার্তা ভঙ্গিমা বোঝার পর সাথে থাকা লোকজনসহ স্থানীয়রা পুলিশ পরিচয়দানকারী তহিরুলকে উত্তম-মাধ্যম দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তহিরুল জানায়, আপনারা দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে আসেন আমি এইটা বলেছি, পুলিশ পরিচয় দেয়নি।
বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের আইসি (ইনচার্জ) এসআই কিশোর কুমার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম এবং ঘটনার বর্ণনা শুনেছি। তবে সাইফুলের অভিযোগ পেলে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।