শিরোনাম :
Logo ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৮ জন Logo ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল, আহত শতাধিক মানুষ Logo জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা Logo বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দিনমজুরি করেও স্বপ্ন দেখেছে আইনজীবী হওয়ার, পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হলেও পড়ালেখার ভবিষ্যৎ টাকার অভাবে অনিশ্চিৎ Logo কুবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা! Logo মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী” শিশু শিল্পী টুনটুনির জন্মদিন উদযাপন Logo রাবিতে ডাইনিং সংকটসহ ৫ দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

আগুন আতঙ্ক : মুহূর্তেই শূন্য হাসপাতাল!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯
  • ৭৩৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহ গণপূর্ত অধিদপ্তরের দেওয়া ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষার সময় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে লংকাকান্ড ঘটে গেছে। এ সময় আগুনের ধোয়া ও ফায়ার এক্সটিংগুইশাররের গন্ধ হাসপাতালে ঢুকে পড়লে ভর্তিকৃত শত শত রোগী ও সাধারণ মানুষ আগুন আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে মূহুর্তের মধ্যে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বাইরে অবস্থান নেয়। এ সময় অনেক রোগীর শরীরের স্যালাইন পুশ করা অবস্থায় দেখা গেছে। অনেক অন্ধ, বোবা ও পঙ্গু মানুষকে স্বজনদের কাঁধে হাত দিয়ে ছুটোছুটি করতে দেখা গেছে।
সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের ভেষজ বাগানে ছোট পরিসরে ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আইয়ুব আলীসহ ঠিকাদারের লোকজন জড়ো হয়। এ সময় আগুনের ধোয়া ও ফায়ার এক্সটিংগুইশারের গন্ধ পেয়ে রোগীরা আগুন আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে কথা বালিশ নিয়ে শরীরে স্যালাই, রক্তের ব্যাগ ও ইনজেকশন পুশকরা অবস্থায় বাইরে বেড়িয়ে আসে। এ সময় অনেককে চিৎকার চেচামেচি করতে দেখা গেছে। রোগী ও তার স্বজনদের উদ্বেগাকুল পরিস্থিতিতে এক অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয় হাসপাতাল চত্বর। খবর পেয়ে পুলিশ ও ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে আসেন। তারা এসে দেখান কোন আগুন লাগেনি। গণপূর্ত অধিদপ্তরের দেওয়া ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষার মহড়া চলছিল।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দিলীপ কুমার সরকার বলেন, এ ধরণের পরীক্ষা করতে হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিতে হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা করেনি। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আইয়ুব আলী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরণের মহড়া চালানো আমাদের উচিৎ হয়নি। পরীক্ষার আগে রোগীদের আশ্বস্ত করা উচিৎ ছিল।
ঝিনাইদহ প্রকৌশলী গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-সহকারী ফিরোজ আলী বলেন, আগুন নির্বাপক যন্ত্র ফায়ার এক্সটিংগুইশার ছোট পরিসরে আমরা পরীক্ষা করে দেখছিলাম। কিন্তু রোগীরা বিষয়টি বুঝতে না পেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

আগুন আতঙ্ক : মুহূর্তেই শূন্য হাসপাতাল!

আপডেট সময় : ১০:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহ গণপূর্ত অধিদপ্তরের দেওয়া ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষার সময় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে লংকাকান্ড ঘটে গেছে। এ সময় আগুনের ধোয়া ও ফায়ার এক্সটিংগুইশাররের গন্ধ হাসপাতালে ঢুকে পড়লে ভর্তিকৃত শত শত রোগী ও সাধারণ মানুষ আগুন আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে মূহুর্তের মধ্যে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বাইরে অবস্থান নেয়। এ সময় অনেক রোগীর শরীরের স্যালাইন পুশ করা অবস্থায় দেখা গেছে। অনেক অন্ধ, বোবা ও পঙ্গু মানুষকে স্বজনদের কাঁধে হাত দিয়ে ছুটোছুটি করতে দেখা গেছে।
সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের ভেষজ বাগানে ছোট পরিসরে ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আইয়ুব আলীসহ ঠিকাদারের লোকজন জড়ো হয়। এ সময় আগুনের ধোয়া ও ফায়ার এক্সটিংগুইশারের গন্ধ পেয়ে রোগীরা আগুন আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে কথা বালিশ নিয়ে শরীরে স্যালাই, রক্তের ব্যাগ ও ইনজেকশন পুশকরা অবস্থায় বাইরে বেড়িয়ে আসে। এ সময় অনেককে চিৎকার চেচামেচি করতে দেখা গেছে। রোগী ও তার স্বজনদের উদ্বেগাকুল পরিস্থিতিতে এক অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয় হাসপাতাল চত্বর। খবর পেয়ে পুলিশ ও ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে আসেন। তারা এসে দেখান কোন আগুন লাগেনি। গণপূর্ত অধিদপ্তরের দেওয়া ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষার মহড়া চলছিল।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দিলীপ কুমার সরকার বলেন, এ ধরণের পরীক্ষা করতে হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিতে হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা করেনি। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আইয়ুব আলী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরণের মহড়া চালানো আমাদের উচিৎ হয়নি। পরীক্ষার আগে রোগীদের আশ্বস্ত করা উচিৎ ছিল।
ঝিনাইদহ প্রকৌশলী গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-সহকারী ফিরোজ আলী বলেন, আগুন নির্বাপক যন্ত্র ফায়ার এক্সটিংগুইশার ছোট পরিসরে আমরা পরীক্ষা করে দেখছিলাম। কিন্তু রোগীরা বিষয়টি বুঝতে না পেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।