শিরোনাম :
Logo রক্ত লাগলে রক্ত নে,জগন্নাথে হল দে’ রাজপথে লিখল শিক্ষার্থীরা Logo শেরপুরের উন্নয়ন দাবিতে নাগরিক মানববন্ধন ১৫ মে Logo ৩২বিঘা জমি ও প্রতিবেশীদের ফাঁসাতেই তারা নিজ মেয়েকে খু*ন। Logo নজরুল ও হাফিজের সাহিত্য নিয়ে রাবিতে মানবতা বিষয়ক সেমিনার Logo ছাত্রদল নেতা সাম্য’র হত্যাকারীদের দ্রুত গ্ৰেফতারের দাবিতে রাবি ছাত্রদলের অবস্থান Logo দ্বিতীয়দিনে অনড় অবস্থানে জবি শিক্ষার্থীরা;দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন Logo চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে আটি, গুটি ও বোম্বাই আম সংগ্রহ শুরু Logo চুয়াডাঙ্গার মাটিতে কালো আঙুর চাষ করে বাজিমাত কলেজছাত্র শামিমের Logo দেশের সব বিভাগে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টির আভাস Logo ইস্তাম্বুলে রাশিয়া–ইউক্রেনের আলোচনায় নেই পুতিন

মঙ্গলের ‘স্বাস্থ্য’ পরীক্ষা করতে মহাজাগতিক পথে নাসার মহাকাশযান !

  • আপডেট সময় : ০১:০৪:৫০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ মে ২০১৮
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মঙ্গলে রওনা দিল পৃথিবীর ডাক্তার। কান পেতে শুনবে লাল গ্রহের হৃদস্পন্দন। লালগ্রহের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে মহাজাগতিক পথে পাড়ি দিল নাসার এই মহাকাশযান।

মঙ্গলের কম্পনের মাত্রা কেমন ? তার ত্বক কি কখনও প্রাণধারণের উপযুক্ত ছিল ? কীভাবে তৈরি হল মঙ্গলের পাথরের স্তর ?এসব রহস্যভেদেই দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ এয়ার ফোর্স বেস থেকে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে উড়ে গেল মার্স ইনসাইট।

শনিবার, ভারতীয় সময় সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ এয়ার বেস থেকে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে মার্স ইনসাইট। এর ফলে ধারণা করা হচ্ছে পৃথিবীর সঙ্গে তুলনার পর মিলবে মঙ্গলের অভ্যন্তরীণ কাঠামোতে থাকা পাথরের স্তর সংক্রান্ত তথ্যও।

ইনসাইট মিশনের প্রধান গবেষক ড, ব্রুস বেনার্ডট বলেন,  “যখন সিসমিক তরঙ্গ মঙ্গলের চারপাশে প্রবাহিত হবে, তখন (যন্ত্রটি) বিভিন্ন স্তরের পাথরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তরঙ্গগুলোর তথ্য জোগাড় করতে পারবে। সিসমোগ্রাফে এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পরই বিজ্ঞানীরা সেখানকার পাথরের গঠন জানতে পারবেন। বিভিন্ন মার্সকোয়াক থেকে যখন আমরা নানান তথ্য পাবো, সব মিলিয়ে আমরা মঙ্গলের অভ্যন্তরের ত্রিমাত্রিক চিত্রটি নির্মাণ করবে পারবো,”

ক্যালিফোর্নিয়ার ভেন্ডেনবার্গ বিমান ঘাঁটি থেকে অ্যাটলাস রকেটের সাহায্যে ইনসাইডের এ ‘ল্যান্ডারটি’ পাঠানো হয়েছে । গত শতকের ৭০ এর দশকেও নাসা বেশ কয়েকটি ভাইকিং ল্যান্ডারে মঙ্গলে সিসমোমিটার পাঠিয়েছিল। যদিও গঠনের কারণে সেগুলো তেমন সফলতা এনে দিতে পারেনি।

ইনসাইটের এবারের ল্যান্ডারটি তিন মাত্রার নিচের ভূমিকম্পও সনাক্ত করবে, সে বিষয়ে তথ্য পাঠাতে পারবে । এই যন্ত্র বছরে ঠিক কতগুলো কম্পন সনাক্ত করতে পারবে, তা জানাতে না পারলেও বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের আশা ল্যান্ডারটি থেকে অন্তত কয়েক ডজন ভূমিকম্পের তথ্য পাওয়া যাবে।

মৃদু ভূমিকম্পগুলোর তথ্য থেকেও যে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাবে তা দিয়ে মঙ্গলের গঠন এবং এর গভীরতা নির্ণয় করা যাবে বলেও ধারণা তাদের। উৎক্ষেপণের কাজ নাসা করলেও, আসলে তিলে তিলে তিলোত্তমা করে তোলা হয়েছে তাকে। তার সঙ্গে রয়েছে ইওরোপীয় স্পেস এজেন্সির তৈরি করা একাধিক সূক্ষাতিসূক্ষ যন্ত্র।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রক্ত লাগলে রক্ত নে,জগন্নাথে হল দে’ রাজপথে লিখল শিক্ষার্থীরা

মঙ্গলের ‘স্বাস্থ্য’ পরীক্ষা করতে মহাজাগতিক পথে নাসার মহাকাশযান !

আপডেট সময় : ০১:০৪:৫০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ মে ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

মঙ্গলে রওনা দিল পৃথিবীর ডাক্তার। কান পেতে শুনবে লাল গ্রহের হৃদস্পন্দন। লালগ্রহের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে মহাজাগতিক পথে পাড়ি দিল নাসার এই মহাকাশযান।

মঙ্গলের কম্পনের মাত্রা কেমন ? তার ত্বক কি কখনও প্রাণধারণের উপযুক্ত ছিল ? কীভাবে তৈরি হল মঙ্গলের পাথরের স্তর ?এসব রহস্যভেদেই দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ এয়ার ফোর্স বেস থেকে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে উড়ে গেল মার্স ইনসাইট।

শনিবার, ভারতীয় সময় সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ এয়ার বেস থেকে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে মার্স ইনসাইট। এর ফলে ধারণা করা হচ্ছে পৃথিবীর সঙ্গে তুলনার পর মিলবে মঙ্গলের অভ্যন্তরীণ কাঠামোতে থাকা পাথরের স্তর সংক্রান্ত তথ্যও।

ইনসাইট মিশনের প্রধান গবেষক ড, ব্রুস বেনার্ডট বলেন,  “যখন সিসমিক তরঙ্গ মঙ্গলের চারপাশে প্রবাহিত হবে, তখন (যন্ত্রটি) বিভিন্ন স্তরের পাথরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তরঙ্গগুলোর তথ্য জোগাড় করতে পারবে। সিসমোগ্রাফে এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পরই বিজ্ঞানীরা সেখানকার পাথরের গঠন জানতে পারবেন। বিভিন্ন মার্সকোয়াক থেকে যখন আমরা নানান তথ্য পাবো, সব মিলিয়ে আমরা মঙ্গলের অভ্যন্তরের ত্রিমাত্রিক চিত্রটি নির্মাণ করবে পারবো,”

ক্যালিফোর্নিয়ার ভেন্ডেনবার্গ বিমান ঘাঁটি থেকে অ্যাটলাস রকেটের সাহায্যে ইনসাইডের এ ‘ল্যান্ডারটি’ পাঠানো হয়েছে । গত শতকের ৭০ এর দশকেও নাসা বেশ কয়েকটি ভাইকিং ল্যান্ডারে মঙ্গলে সিসমোমিটার পাঠিয়েছিল। যদিও গঠনের কারণে সেগুলো তেমন সফলতা এনে দিতে পারেনি।

ইনসাইটের এবারের ল্যান্ডারটি তিন মাত্রার নিচের ভূমিকম্পও সনাক্ত করবে, সে বিষয়ে তথ্য পাঠাতে পারবে । এই যন্ত্র বছরে ঠিক কতগুলো কম্পন সনাক্ত করতে পারবে, তা জানাতে না পারলেও বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের আশা ল্যান্ডারটি থেকে অন্তত কয়েক ডজন ভূমিকম্পের তথ্য পাওয়া যাবে।

মৃদু ভূমিকম্পগুলোর তথ্য থেকেও যে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাবে তা দিয়ে মঙ্গলের গঠন এবং এর গভীরতা নির্ণয় করা যাবে বলেও ধারণা তাদের। উৎক্ষেপণের কাজ নাসা করলেও, আসলে তিলে তিলে তিলোত্তমা করে তোলা হয়েছে তাকে। তার সঙ্গে রয়েছে ইওরোপীয় স্পেস এজেন্সির তৈরি করা একাধিক সূক্ষাতিসূক্ষ যন্ত্র।