বিমানযাত্রীর লাগেজে ২০০টি জ্যান্ত আরশোলা!

  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:১৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

লাগেজের মধ্যে কিলবিল করছে শ’দুয়েক জ্যান্ত আরশোলা। আবিষ্কার করে তাজ্জব বিমানবন্দরের কর্মীরা। নাহ, আকস্মিকভাবে পতঙ্গরা ব্যাগের মধ্যে ঢুকে পড়েনি। কোনও অঘটনও ঘটেনি। জেনে বুঝেই সেগুলো বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক দম্পতি।

বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটে। চীনা ওই দম্পতির লাগেজ যখন এক্স রে স্ক্যানারের মধ্যে দিয়ে পাঠানো হচ্ছিল, তখনই জীবন্ত বস্তুর উপস্থিতি নজরে আসে নিরাপত্তাকর্মীদের। বুঝতে পারেন ব্যাগের মধ্যে কোনও প্রাণী আছে।

কর্মীদের প্রাথমিক ধারণা ছিল, কোনও পোষ্যকে বোধহয় বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দম্পতি। কিন্তু ব্যাগ খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। দেখা যায়, আর কিছু নয়, একটা থলের মধ্যে কিলবিল করছে শ’দুয়েক আরশোলা।
কী করে এত আরশোলা ব্যাগে এল। এ কি আকস্মিক কোনও ঘটনা। নাকি দম্পতি এ বিষয়ে অবহিত। ব্যাগ খুলতেই বেশ কয়েকটি আরশোলা বাইরে বেরিয়ে আসে। নিরাপত্তারক্ষীরা অবাক হন, যখন ব্যাগ খোলামাত্র কেঁদে ফেলন ওই নারী।

বোঝাই যায়, আরশোলারা তার বড় আদরের ধন। এরপরই কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়। তাতে আরও একদফা অবাক হওয়ার পালা। জানা যায়, সম্পূর্ণ জ্ঞাতসারেই এ কাজ করেছেন দম্পতি। এবং আরশোলাগুলো কাজে লাগে নারীরই।

কী কাজ। নিরাপত্তাকর্মীরা জানতে পারেন, ত্বকের পরিচর্যার জন্যই সেগুলোকে কাজে লাগানো হয়। স্বীকার করেন ওই নারীর স্বামীও। ত্বকের যত্নের এ বেশ পুরনো এক প্রচলিত পদ্ধতি। যেখানে নানা রকম ক্রিমের সঙ্গে আরশোলা মিশিয়ে প্রলেপ লাগানো হয়। বিশ্বাস এতে নাকি চর্মরোগ সেরেও যায়। সে কারণেই এতগুলো আরশোলা নিয়েই উড়ানে উঠতে চলেছিলেন ওই দম্পতি।

তবে যত মায়াই থাক না কেন, নিরাপত্তাকর্মীরা নিরূপায়। তারা আরশোলাগুলোকে বিমানে ওঠার অনুমতি দেননি। ফলে মায়া ত্যাগ করেই বিমান ধরতে হয় ওই দম্পতিকে। সাধের আরশোলাগুলোর তাহলে কী হল। সে ইতিহাস গোপন থাকাই ভালো।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার

বিমানযাত্রীর লাগেজে ২০০টি জ্যান্ত আরশোলা!

আপডেট সময় : ০৩:১৯:১৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

লাগেজের মধ্যে কিলবিল করছে শ’দুয়েক জ্যান্ত আরশোলা। আবিষ্কার করে তাজ্জব বিমানবন্দরের কর্মীরা। নাহ, আকস্মিকভাবে পতঙ্গরা ব্যাগের মধ্যে ঢুকে পড়েনি। কোনও অঘটনও ঘটেনি। জেনে বুঝেই সেগুলো বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক দম্পতি।

বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটে। চীনা ওই দম্পতির লাগেজ যখন এক্স রে স্ক্যানারের মধ্যে দিয়ে পাঠানো হচ্ছিল, তখনই জীবন্ত বস্তুর উপস্থিতি নজরে আসে নিরাপত্তাকর্মীদের। বুঝতে পারেন ব্যাগের মধ্যে কোনও প্রাণী আছে।

কর্মীদের প্রাথমিক ধারণা ছিল, কোনও পোষ্যকে বোধহয় বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দম্পতি। কিন্তু ব্যাগ খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। দেখা যায়, আর কিছু নয়, একটা থলের মধ্যে কিলবিল করছে শ’দুয়েক আরশোলা।
কী করে এত আরশোলা ব্যাগে এল। এ কি আকস্মিক কোনও ঘটনা। নাকি দম্পতি এ বিষয়ে অবহিত। ব্যাগ খুলতেই বেশ কয়েকটি আরশোলা বাইরে বেরিয়ে আসে। নিরাপত্তারক্ষীরা অবাক হন, যখন ব্যাগ খোলামাত্র কেঁদে ফেলন ওই নারী।

বোঝাই যায়, আরশোলারা তার বড় আদরের ধন। এরপরই কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়। তাতে আরও একদফা অবাক হওয়ার পালা। জানা যায়, সম্পূর্ণ জ্ঞাতসারেই এ কাজ করেছেন দম্পতি। এবং আরশোলাগুলো কাজে লাগে নারীরই।

কী কাজ। নিরাপত্তাকর্মীরা জানতে পারেন, ত্বকের পরিচর্যার জন্যই সেগুলোকে কাজে লাগানো হয়। স্বীকার করেন ওই নারীর স্বামীও। ত্বকের যত্নের এ বেশ পুরনো এক প্রচলিত পদ্ধতি। যেখানে নানা রকম ক্রিমের সঙ্গে আরশোলা মিশিয়ে প্রলেপ লাগানো হয়। বিশ্বাস এতে নাকি চর্মরোগ সেরেও যায়। সে কারণেই এতগুলো আরশোলা নিয়েই উড়ানে উঠতে চলেছিলেন ওই দম্পতি।

তবে যত মায়াই থাক না কেন, নিরাপত্তাকর্মীরা নিরূপায়। তারা আরশোলাগুলোকে বিমানে ওঠার অনুমতি দেননি। ফলে মায়া ত্যাগ করেই বিমান ধরতে হয় ওই দম্পতিকে। সাধের আরশোলাগুলোর তাহলে কী হল। সে ইতিহাস গোপন থাকাই ভালো।