শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

৪ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৩২ বার পড়া হয়েছে

মু.ওয়াছীঊদ্দিন॥ আজ ৪ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে লক্ষ্মীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করে প্রকাশ্য লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন। ২২টি সম্মুখযুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে হানাদার মুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা।

লক্ষ্মীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় সুত্রে জানাযায়, ১৯৭১ সালে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর ২২টি সম্মুখযুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযান চলে। এসব যুদ্ধে সৈয়দ আবদুল হালীম বাসু, মনছুর আহমদ, আবু ছায়েদসহ ৩৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ওই সময়ে রাজাকারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজাকার কমান্ডার সফিক উদ্দিন, মনিরুজ্জামান ও হারিছ মিয়া। এসব রাজাকারদের সহযোগিতা নিয়ে পাকহানাদার বাহিনী আরো জানা-অজানা কয়েক হাজার নারী-পুরুষকে হত্যা করে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরে এনে মাদাম ব্রীজের উপর থেকে গুলি করে নারী-পুরুষ সহ অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে মুক্তিকামী মানুষদের ঘরবাড়ী।

পরে ৪ ডিসেম্বর প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হায়দার চৌধুরী ও সুবেদার প্রয়াত আবদুল মতিনের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা একত্রিত হন। ৮-১০ জন করে দল গঠন করে বিভক্ত হয়ে দালাল বাজার, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি, শাখারী পাড়ার মিঠানীয়া খাল পাড়সহ বাগবাড়িস্থ রাজাকার ক্যাম্পে হামলা চালান এসব মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় ৭০-৮০জন পাকিস্তানী মেলিটরী ও রাজাকারকে আটক করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেন তারা। ওই দিন হানাদার মুক্ত হয় লক্ষ্মীপুর। উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা।

যুদ্ধকালিন সময়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের আজও নীরব সাক্ষী হয়ে আছে শহরের মাদাম ব্রীজ, বাগবাড়িস্থ গণকবর, সারের গোডাউনে পরিত্যাক্ত টর্চারসেল, বধ্যভুমি, পিয়ারাপুর ব্রীজ, বাসুবাজার গনকবর।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

৪ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭

মু.ওয়াছীঊদ্দিন॥ আজ ৪ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে লক্ষ্মীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করে প্রকাশ্য লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন। ২২টি সম্মুখযুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে হানাদার মুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা।

লক্ষ্মীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় সুত্রে জানাযায়, ১৯৭১ সালে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর ২২টি সম্মুখযুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযান চলে। এসব যুদ্ধে সৈয়দ আবদুল হালীম বাসু, মনছুর আহমদ, আবু ছায়েদসহ ৩৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ওই সময়ে রাজাকারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজাকার কমান্ডার সফিক উদ্দিন, মনিরুজ্জামান ও হারিছ মিয়া। এসব রাজাকারদের সহযোগিতা নিয়ে পাকহানাদার বাহিনী আরো জানা-অজানা কয়েক হাজার নারী-পুরুষকে হত্যা করে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরে এনে মাদাম ব্রীজের উপর থেকে গুলি করে নারী-পুরুষ সহ অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে মুক্তিকামী মানুষদের ঘরবাড়ী।

পরে ৪ ডিসেম্বর প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হায়দার চৌধুরী ও সুবেদার প্রয়াত আবদুল মতিনের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা একত্রিত হন। ৮-১০ জন করে দল গঠন করে বিভক্ত হয়ে দালাল বাজার, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি, শাখারী পাড়ার মিঠানীয়া খাল পাড়সহ বাগবাড়িস্থ রাজাকার ক্যাম্পে হামলা চালান এসব মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় ৭০-৮০জন পাকিস্তানী মেলিটরী ও রাজাকারকে আটক করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেন তারা। ওই দিন হানাদার মুক্ত হয় লক্ষ্মীপুর। উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা।

যুদ্ধকালিন সময়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের আজও নীরব সাক্ষী হয়ে আছে শহরের মাদাম ব্রীজ, বাগবাড়িস্থ গণকবর, সারের গোডাউনে পরিত্যাক্ত টর্চারসেল, বধ্যভুমি, পিয়ারাপুর ব্রীজ, বাসুবাজার গনকবর।