শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

চিরিরবন্দরে ধানের ভালো দাম থাকায় কৃষকের মুখে হাসি

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:১১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে এবার রোপা আমন মৌসুমে বন্যা পরবর্তী সময়ে কাটিয়ে সার ও বীজের সংকট না থাকায় উপজেলার প্রতিটি মাঠে এবার রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। প্রতিটি মাঠে মাঠে এখন কৃষকেরা রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে শুরু করেছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কৃষক ও মজুররা দলবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন স্থানে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে ধানের দাম বেশী থাকায় কৃষকরা বেশ উৎফুল¬তার সাথে ধান কাটা-মাড়াই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে এবার চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৩ হাজার ১ শত ৭৪ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । তবে স্বরণ কালের ভয়াবহ বর্ন্যায় শুরুতে রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হলেও বর্তমানে বর্ন্যা পরবর্তী সময় কাটিয়ে অর্জিত হয়েছে ২৩ হাজার ২ শত ১৫ হেক্টর জমি যা গত বছরের তুলনা বেশী।
সাতনালা গ্রামের ধান চাষী সামাদ বলেন, বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় অন্যন্য জাতের তুলুুনায় কাটারী ধানও ভালো চাষ হয়েছে। এজন্য কাটারী ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে মাঠ। একই কথা বলেন আলোকডিহি গ্রামের ধান চাষী নুরজামান ।
নশরতপুর ইউনিয়নের মাঠে ধান কাটার সময় নালীপাড়া গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, তিনি স্বর্ণা-মামুনসহ এ জাতের ধান তারা বিঘা প্রতি ২৩ থেকে ২৫ মণ হারে পাচ্ছেন। আর বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮ শত টাকায়। তিনি আরো জানান ধানের এমন দাম পাওয়া গেলে তাদের কোন সমস্যাও হবে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান জানান, বর্ন্যা পরবর্তী সময় কাটিয়ে আগাম জাতের রোপা আমন ধানের চাষ ভাল হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার সর্বত্রই কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছে। কৃষকরা তাদের কষ্টের ফসল মাড়াই সু-সম্পূর্ন করতে পারলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও তিনি মনে করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

চিরিরবন্দরে ধানের ভালো দাম থাকায় কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:১১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে এবার রোপা আমন মৌসুমে বন্যা পরবর্তী সময়ে কাটিয়ে সার ও বীজের সংকট না থাকায় উপজেলার প্রতিটি মাঠে এবার রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। প্রতিটি মাঠে মাঠে এখন কৃষকেরা রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে শুরু করেছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কৃষক ও মজুররা দলবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন স্থানে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে ধানের দাম বেশী থাকায় কৃষকরা বেশ উৎফুল¬তার সাথে ধান কাটা-মাড়াই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে এবার চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৩ হাজার ১ শত ৭৪ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । তবে স্বরণ কালের ভয়াবহ বর্ন্যায় শুরুতে রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হলেও বর্তমানে বর্ন্যা পরবর্তী সময় কাটিয়ে অর্জিত হয়েছে ২৩ হাজার ২ শত ১৫ হেক্টর জমি যা গত বছরের তুলনা বেশী।
সাতনালা গ্রামের ধান চাষী সামাদ বলেন, বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় অন্যন্য জাতের তুলুুনায় কাটারী ধানও ভালো চাষ হয়েছে। এজন্য কাটারী ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে মাঠ। একই কথা বলেন আলোকডিহি গ্রামের ধান চাষী নুরজামান ।
নশরতপুর ইউনিয়নের মাঠে ধান কাটার সময় নালীপাড়া গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, তিনি স্বর্ণা-মামুনসহ এ জাতের ধান তারা বিঘা প্রতি ২৩ থেকে ২৫ মণ হারে পাচ্ছেন। আর বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮ শত টাকায়। তিনি আরো জানান ধানের এমন দাম পাওয়া গেলে তাদের কোন সমস্যাও হবে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান জানান, বর্ন্যা পরবর্তী সময় কাটিয়ে আগাম জাতের রোপা আমন ধানের চাষ ভাল হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার সর্বত্রই কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছে। কৃষকরা তাদের কষ্টের ফসল মাড়াই সু-সম্পূর্ন করতে পারলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও তিনি মনে করেন।