‘ইভিএমে নির্বাচন হলে ডিজিটাল কারচুপি হবে’

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:৫৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বর্তমান ‘একতরফা পার্লামেন্টে’ আইন হলে তা সবার গ্রহযোগ‌্যতা পাবে না। আর ইলকট্রনিক ভোটিং মেশিন ফেরালে তাতে নির্বাচনে ‘ডিজিটাল কারচুপি’ হবে। ‘ শুক্রবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন ও ই-ভোটিং চালুর যে প্রস্তাব দিয়েছে- তার বিরোধিতা করেছেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘ভোট ডাকাতি, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, রাত ৩টা সময় ব্যালট বাক্স উধাও, ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের যাওয়ার পরিবর্তে সেখানে অন্য প্রাণীদের যাতায়াত- ইত্যাদি সব কিছুতে আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ স্টাইল দিয়েছে। ইভিএম চালু করলে আরেকটি দুর্নীতির হবে। ‘

সরকারপ্রধাকে উদ্দেশ‌্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনি নিজের মতো করে যদি আইন করেন তাহলে তো সব দলের সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচন কমিশন গঠন হবে না। আপনি কী আইন করবেন সেটা নিয়ে মানুষের মনে বিরাট সন্দেহ আছে। আপনার প্রত্যকটি আইন হচ্ছে গণ-বিরোধী, লুটপাটের পক্ষে, প্রত্যেকটি আইন হচ্ছে দুর্নীতির পক্ষে। ‘

বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, সব দলের মতামতের ভিত্তিতে সার্চ কমিটি করে, সেই সার্চ কমিটির মাধ‌্যমে ‘গ্রহণযোগ্য’ ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দিতে হবে।

উল্লেখ্য, সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনের কথা বলা থাকলেও সাড়ে চার দশকেও তা প্রণীত না হওয়ায় গতবারের মত এবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ইসি গঠনের উদ‌্যোগ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নতুন যে কমিশন দায়িত্ব নেবে, তাদের অধীনেই হবে আগামী জাতীয় নির্বাচন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘ইভিএমে নির্বাচন হলে ডিজিটাল কারচুপি হবে’

আপডেট সময় : ১০:৪৯:৫৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বর্তমান ‘একতরফা পার্লামেন্টে’ আইন হলে তা সবার গ্রহযোগ‌্যতা পাবে না। আর ইলকট্রনিক ভোটিং মেশিন ফেরালে তাতে নির্বাচনে ‘ডিজিটাল কারচুপি’ হবে। ‘ শুক্রবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন ও ই-ভোটিং চালুর যে প্রস্তাব দিয়েছে- তার বিরোধিতা করেছেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘ভোট ডাকাতি, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, রাত ৩টা সময় ব্যালট বাক্স উধাও, ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের যাওয়ার পরিবর্তে সেখানে অন্য প্রাণীদের যাতায়াত- ইত্যাদি সব কিছুতে আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ স্টাইল দিয়েছে। ইভিএম চালু করলে আরেকটি দুর্নীতির হবে। ‘

সরকারপ্রধাকে উদ্দেশ‌্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনি নিজের মতো করে যদি আইন করেন তাহলে তো সব দলের সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচন কমিশন গঠন হবে না। আপনি কী আইন করবেন সেটা নিয়ে মানুষের মনে বিরাট সন্দেহ আছে। আপনার প্রত্যকটি আইন হচ্ছে গণ-বিরোধী, লুটপাটের পক্ষে, প্রত্যেকটি আইন হচ্ছে দুর্নীতির পক্ষে। ‘

বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, সব দলের মতামতের ভিত্তিতে সার্চ কমিটি করে, সেই সার্চ কমিটির মাধ‌্যমে ‘গ্রহণযোগ্য’ ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দিতে হবে।

উল্লেখ্য, সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনের কথা বলা থাকলেও সাড়ে চার দশকেও তা প্রণীত না হওয়ায় গতবারের মত এবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ইসি গঠনের উদ‌্যোগ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নতুন যে কমিশন দায়িত্ব নেবে, তাদের অধীনেই হবে আগামী জাতীয় নির্বাচন।