শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

ঝিনাইদহে ৫০ প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছে ছাদ কৃষিতে গৃহীনি জুথি’র সাফল্য

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৩৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৯৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারী পাড়ার ২য় তলা ভবনের ছাদে মনোরম ছাদকৃষি গড়ে তুলেছেন তহমিনা ইসলাম জুথি নামে এক গৃহীনি। দৃষ্টিনন্দন ফুল আর নানারকমের ফলের সম্ভারে দারুণ প্রশান্তি খুঁজে নিয়েছেন তিনি। কেউ গাছ লাগান শখে, কারো থাকে বহুমুখি প্রাপ্তির হিসাব। সবদিক বিবেচনায় ছাদকৃষি লাভজনক। উদ্যোম নিয়েই ৫ বছর ধরে ছাদকৃষি সাজাচ্ছেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, শহরের ব্যাপারীপাড়ার কুয়েত প্রবাসী সাহাজুল ইসলামের স্ত্রী জুথি। তার দ্বিতল ভবনের ছাদে রয়েছে। ২স্তর বিশিষ্ট ছাদকৃষি। পরিস্কার ঝকঝকে। গাছপালার এই প্রাচুর্যে যত না মন আটকে যায় তার চেয়েও অনেক বেশি আকৃষ্ট হতে হয় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায়। বাসভবনের গোড়াতেই ছিল তার ছাদকৃষির স্বপ্ন। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া এক ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম ও মেয়ে রুকাইয়া ইসলামের কাছ পেয়েছেন সবরকম সহযোগিতা। কৃষির উপযোগী করে সাজানো হয় আগে থেকেই। তারপর ভাললাগার সব ফল ফুলের এই কৃষিক্ষেত্র সাজিয়ে তুলছেন তিনি। তার সংগ্রহে রয়েছে কামরাঙ্গা, সরিফা, করমচা, আপেল কুল, বাউকুল, কাজুবাদামসহ প্রায় ৫০ টি প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ। সম্প্রতি ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আছাদুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. খান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদারসহ কৃষি কর্মকতারা তার ছাদ কৃষি পরিদর্শণ করেন।

এ ব্যাপারে ড. খান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রযুক্তিগত সকল প্রকার সহযোগীতা তাকে দেওয়া হচ্ছে। ছাদ কৃষি করলে পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই কম হয়। ছাদে মাত্র একবার মাচা তৈরি করে কয়েক বছর পর্যন্ত সবজি চাষ করা সম্ভব হয়। এতে তেমন কোনো সময় ও বাড়তি অর্থ খরচ করতে হয় না। মওসুমে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করা যায় এবং ফলনও ভালো হয়। বিভিন্ন ধরনের সবুজ সবজি পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে সংসারের জন্য বাড়তি আয়ও এনে দেয়। সবচেয়ে বড় কথা পরিবারের জন্য বিষমুক্ত সবজির জোগান দেয়া সম্ভব। তাহমিনা ইসলাম জুথির এ সাফল্যকে অভিনন্দনও জানান তিনি। এ ব্যাপারে তাহমিনা ইসলাম জুথি বলেন, শহর জীবনে সুস্থ্য সুন্দর ও ভাল থাকতে হলে ভাবতে হবে শহরের পরিবেশের কথাও। নানা কারণে শহর যখন উষ্ণ হয়ে উঠছে তখন বাড়ির ছাদে ছাদকৃষি করলে পরিবেশ ভালো থাকবে। তিনি আরও বলেন, প্রকৃতি আমাকে সহযোগিতা করেছে। নিজের লাগানো শতাধিক গাছের কাছে যখন আসি, মন প্রশান্তিতে ভরে যায়। এই গাছ, গাছের ফল আমার পরম যতেœ বেড়ে ওঠা সন্তানের মতো। আমি আর আমার পরিবার এই বিষমুক্ত, অরগানিক খাবার খেয়ে স্বস্তি পাই। আমি আমার বাড়ির ছাদে আনার, কামরাঙ্গা, পেয়ারা ও বেদানাসহ ফলের গাছ লাগিয়েছি। যে কারণে আমার কোনো ফল বাজার থেকে কিনতে হয় না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

ঝিনাইদহে ৫০ প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছে ছাদ কৃষিতে গৃহীনি জুথি’র সাফল্য

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৩৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারী পাড়ার ২য় তলা ভবনের ছাদে মনোরম ছাদকৃষি গড়ে তুলেছেন তহমিনা ইসলাম জুথি নামে এক গৃহীনি। দৃষ্টিনন্দন ফুল আর নানারকমের ফলের সম্ভারে দারুণ প্রশান্তি খুঁজে নিয়েছেন তিনি। কেউ গাছ লাগান শখে, কারো থাকে বহুমুখি প্রাপ্তির হিসাব। সবদিক বিবেচনায় ছাদকৃষি লাভজনক। উদ্যোম নিয়েই ৫ বছর ধরে ছাদকৃষি সাজাচ্ছেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, শহরের ব্যাপারীপাড়ার কুয়েত প্রবাসী সাহাজুল ইসলামের স্ত্রী জুথি। তার দ্বিতল ভবনের ছাদে রয়েছে। ২স্তর বিশিষ্ট ছাদকৃষি। পরিস্কার ঝকঝকে। গাছপালার এই প্রাচুর্যে যত না মন আটকে যায় তার চেয়েও অনেক বেশি আকৃষ্ট হতে হয় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায়। বাসভবনের গোড়াতেই ছিল তার ছাদকৃষির স্বপ্ন। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া এক ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম ও মেয়ে রুকাইয়া ইসলামের কাছ পেয়েছেন সবরকম সহযোগিতা। কৃষির উপযোগী করে সাজানো হয় আগে থেকেই। তারপর ভাললাগার সব ফল ফুলের এই কৃষিক্ষেত্র সাজিয়ে তুলছেন তিনি। তার সংগ্রহে রয়েছে কামরাঙ্গা, সরিফা, করমচা, আপেল কুল, বাউকুল, কাজুবাদামসহ প্রায় ৫০ টি প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ। সম্প্রতি ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আছাদুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. খান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদারসহ কৃষি কর্মকতারা তার ছাদ কৃষি পরিদর্শণ করেন।

এ ব্যাপারে ড. খান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রযুক্তিগত সকল প্রকার সহযোগীতা তাকে দেওয়া হচ্ছে। ছাদ কৃষি করলে পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই কম হয়। ছাদে মাত্র একবার মাচা তৈরি করে কয়েক বছর পর্যন্ত সবজি চাষ করা সম্ভব হয়। এতে তেমন কোনো সময় ও বাড়তি অর্থ খরচ করতে হয় না। মওসুমে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করা যায় এবং ফলনও ভালো হয়। বিভিন্ন ধরনের সবুজ সবজি পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে সংসারের জন্য বাড়তি আয়ও এনে দেয়। সবচেয়ে বড় কথা পরিবারের জন্য বিষমুক্ত সবজির জোগান দেয়া সম্ভব। তাহমিনা ইসলাম জুথির এ সাফল্যকে অভিনন্দনও জানান তিনি। এ ব্যাপারে তাহমিনা ইসলাম জুথি বলেন, শহর জীবনে সুস্থ্য সুন্দর ও ভাল থাকতে হলে ভাবতে হবে শহরের পরিবেশের কথাও। নানা কারণে শহর যখন উষ্ণ হয়ে উঠছে তখন বাড়ির ছাদে ছাদকৃষি করলে পরিবেশ ভালো থাকবে। তিনি আরও বলেন, প্রকৃতি আমাকে সহযোগিতা করেছে। নিজের লাগানো শতাধিক গাছের কাছে যখন আসি, মন প্রশান্তিতে ভরে যায়। এই গাছ, গাছের ফল আমার পরম যতেœ বেড়ে ওঠা সন্তানের মতো। আমি আর আমার পরিবার এই বিষমুক্ত, অরগানিক খাবার খেয়ে স্বস্তি পাই। আমি আমার বাড়ির ছাদে আনার, কামরাঙ্গা, পেয়ারা ও বেদানাসহ ফলের গাছ লাগিয়েছি। যে কারণে আমার কোনো ফল বাজার থেকে কিনতে হয় না।