তেলাপিয়া মাছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই !

  • আপডেট সময় : ১২:২২:৫৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:  বাংলাদেশের তেলাপিয়া মাছে কোনো ক্যানসার বা স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষাক্ত দ্রব্য নেই। এই মাছ খাওয়া শতভাগ নিরাপদ। এমনটি জানিয়েছে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।

 

দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তেলাপিয়া মাছের বিরুদ্ধে অবৈজ্ঞানিক ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বুধবার ‘তেলাপিয়া মাছের উৎপাদন ও জনস্বাস্থ্য’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

 

সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের তেলাপিয়া মাছে কোনো প্রকার ক্যানসার বা স্বাস্থ্য ঝূঁকিপূর্ণ বিষাক্ত দ্রব্য নেই এবং এই মাছ খাওয়া শতভাগ নিরাপদ। দেশের তেলাপিয়া মাছের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি বাংলাদেশেও প্রচার করায় জনমনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে যা যুক্তিহীন।

 

বক্তারা বলেন, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশের বিভিন্ন এলাকার ৫০টি তেলাপিয়া মাছের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পরীক্ষা করে। কোনো পরীক্ষাতেও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য খুঁজে পায়নি।

 

সেমিনারে বলা হয়, বিশ্বে চাষযোগ্য মাছের মধ্যে তেলাপিয়ার অবস্থান দ্বিতীয় অর্থাৎ কার্পজাতীয় মাছের পরেই এর স্থান। আর বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বে তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে সপ্তম।

 

২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিশ্বে তেলাপিয়ার উৎপাদন ছিল ৪ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন টন, যা বাংলাদেশের মোট উৎপাদনের ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ এ মাছের উৎপাদন ছিল মোট ২০ হাজার মেট্রিকটন এবং ২০১৫ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪৮ লাখ মেট্রিকটন।

 

মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড. ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান, মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ, তেলাপিয়া বিশেষজ্ঞ প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এইচ এম কোহিনুর।

 

প্রসঙ্গত, গেল বছর ১২ অক্টোবর আমেরিকান একটি ব্লগে তেলাপিয়া খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। ব্লগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হুমকির মুখে পড়ে এ মাছ চাষ আর বিক্রির সাথে জড়িত হাজারও মানুষ।

 

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

তেলাপিয়া মাছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই !

আপডেট সময় : ১২:২২:৫৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:  বাংলাদেশের তেলাপিয়া মাছে কোনো ক্যানসার বা স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষাক্ত দ্রব্য নেই। এই মাছ খাওয়া শতভাগ নিরাপদ। এমনটি জানিয়েছে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।

 

দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তেলাপিয়া মাছের বিরুদ্ধে অবৈজ্ঞানিক ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বুধবার ‘তেলাপিয়া মাছের উৎপাদন ও জনস্বাস্থ্য’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

 

সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের তেলাপিয়া মাছে কোনো প্রকার ক্যানসার বা স্বাস্থ্য ঝূঁকিপূর্ণ বিষাক্ত দ্রব্য নেই এবং এই মাছ খাওয়া শতভাগ নিরাপদ। দেশের তেলাপিয়া মাছের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি বাংলাদেশেও প্রচার করায় জনমনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে যা যুক্তিহীন।

 

বক্তারা বলেন, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশের বিভিন্ন এলাকার ৫০টি তেলাপিয়া মাছের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পরীক্ষা করে। কোনো পরীক্ষাতেও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য খুঁজে পায়নি।

 

সেমিনারে বলা হয়, বিশ্বে চাষযোগ্য মাছের মধ্যে তেলাপিয়ার অবস্থান দ্বিতীয় অর্থাৎ কার্পজাতীয় মাছের পরেই এর স্থান। আর বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বে তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে সপ্তম।

 

২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিশ্বে তেলাপিয়ার উৎপাদন ছিল ৪ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন টন, যা বাংলাদেশের মোট উৎপাদনের ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ এ মাছের উৎপাদন ছিল মোট ২০ হাজার মেট্রিকটন এবং ২০১৫ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪৮ লাখ মেট্রিকটন।

 

মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড. ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান, মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ, তেলাপিয়া বিশেষজ্ঞ প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এইচ এম কোহিনুর।

 

প্রসঙ্গত, গেল বছর ১২ অক্টোবর আমেরিকান একটি ব্লগে তেলাপিয়া খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। ব্লগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হুমকির মুখে পড়ে এ মাছ চাষ আর বিক্রির সাথে জড়িত হাজারও মানুষ।