শিরোনাম :
Logo জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি Logo ইবিতে খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

পুলিশ-মোর্চা সংঘর্ষে রণক্ষেত্র দার্জিলিং !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৩:৫১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৭ জুন ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বাংলা ভাষাকে হাতিয়ার করে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার পাহাড়ি এলাকা। গত কয়েকদিন ধরেই পাহাড়ে অস্থিতরা তৈরির মূল অভিযুক্ত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা’র (জিজেএম) প্রধান বিমল গুরুঙ্গ’র অফিসে আজ সকালে অভিযান চালায় পুলিশ। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে অভিযান চালিয়ে গুরুঙ্গের অফিস থেকে প্রচুর পরিমাণে তির-ধনুক, ছুরি, কাটারি, কোদাল জাতীয় ধারারো অস্ত্র উদ্ধার করে। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ভারতীয় রুপি, বাক্স ভর্তি বাজির মশলা, মোবাইল সেটও উদ্ধার করা হয় তার বাড়ি থেকে।

পুলিশি অভিযান শেষ হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাহাড়ের পরিস্থিতি। পাহাড় থেকে সমতলে নামার সময়ই তাদের ঘিরে ধরে মোর্চার নারী বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে চারিদিক থেকে ইটবৃষ্টি শুরু করে মোর্চার সমর্থকরা। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। সংবাদমাধ্যমের ওবি ভ্যানেও মোর্চার উন্মত্ত সমর্থকরা অগ্নিসংযোগ ঘটায় বলে অভিযোগ। পেডং-এর একটি পুলিশ ফাঁড়িতেও অগ্নিসংযোগ করে মোর্চার সমর্থকরা। এছাড়াও একাধিক জায়গায় তারা আগুন লাগায় বলে অভিযোগ। এরপরই পাল্টা প্রতিরোধে নামে পুলিশ। মোর্চা সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ করা হয়, পরে ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল।

এদিকে দেশটির পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য হরতালের ডাক দিয়েছে মোর্চা। অন্যদিকে পাহাড়ে অশান্তি তৈরির অভিযোগে কার্শিয়াং থেকে আটক করা হয় মোর্চার নারী সংগঠনের উপদেষ্টা করুণা গুরুং-কে। তবে অভিযানের আগাম খবর পেয়েই এলাকা ছাড়েন বিমল গুরুং। পুলিশ সূত্রে খবর যে কোন মুহুর্তেই তাকে আটক করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে নতুন করে পাহাড়ের পরিস্থিতি আরও উতপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচেছ। পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে ইতিমধ্যেই সেনা নামানো হয়েছে। রয়েছে আধাসামরিক বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের সদস্যরাও।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি

পুলিশ-মোর্চা সংঘর্ষে রণক্ষেত্র দার্জিলিং !

আপডেট সময় : ১২:৩৩:৫১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৭ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বাংলা ভাষাকে হাতিয়ার করে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার পাহাড়ি এলাকা। গত কয়েকদিন ধরেই পাহাড়ে অস্থিতরা তৈরির মূল অভিযুক্ত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা’র (জিজেএম) প্রধান বিমল গুরুঙ্গ’র অফিসে আজ সকালে অভিযান চালায় পুলিশ। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে অভিযান চালিয়ে গুরুঙ্গের অফিস থেকে প্রচুর পরিমাণে তির-ধনুক, ছুরি, কাটারি, কোদাল জাতীয় ধারারো অস্ত্র উদ্ধার করে। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ভারতীয় রুপি, বাক্স ভর্তি বাজির মশলা, মোবাইল সেটও উদ্ধার করা হয় তার বাড়ি থেকে।

পুলিশি অভিযান শেষ হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাহাড়ের পরিস্থিতি। পাহাড় থেকে সমতলে নামার সময়ই তাদের ঘিরে ধরে মোর্চার নারী বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে চারিদিক থেকে ইটবৃষ্টি শুরু করে মোর্চার সমর্থকরা। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। সংবাদমাধ্যমের ওবি ভ্যানেও মোর্চার উন্মত্ত সমর্থকরা অগ্নিসংযোগ ঘটায় বলে অভিযোগ। পেডং-এর একটি পুলিশ ফাঁড়িতেও অগ্নিসংযোগ করে মোর্চার সমর্থকরা। এছাড়াও একাধিক জায়গায় তারা আগুন লাগায় বলে অভিযোগ। এরপরই পাল্টা প্রতিরোধে নামে পুলিশ। মোর্চা সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ করা হয়, পরে ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল।

এদিকে দেশটির পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য হরতালের ডাক দিয়েছে মোর্চা। অন্যদিকে পাহাড়ে অশান্তি তৈরির অভিযোগে কার্শিয়াং থেকে আটক করা হয় মোর্চার নারী সংগঠনের উপদেষ্টা করুণা গুরুং-কে। তবে অভিযানের আগাম খবর পেয়েই এলাকা ছাড়েন বিমল গুরুং। পুলিশ সূত্রে খবর যে কোন মুহুর্তেই তাকে আটক করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে নতুন করে পাহাড়ের পরিস্থিতি আরও উতপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচেছ। পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে ইতিমধ্যেই সেনা নামানো হয়েছে। রয়েছে আধাসামরিক বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের সদস্যরাও।