শিরোনাম :
Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কচুয়ায় কৃষকদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী Logo ভারতের সঙ্গে আকাশ ও স্থল সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা পাকিস্তানের Logo পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত Logo অসুস্থ শ্রমিককে হুইল চেয়ার উপহার দিলো ইয়ুথ ফোরাম ও চর্যাপদ একাডেমি Logo পাকিস্তান জঙ্গিরাষ্ট্র, পাক সেনাপ্রধান লাদেনের মতোই সন্ত্রাসবাদী, বিস্ফোরক প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তা Logo ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন বিষয়ক ক্যাম্পেইন’ – ল অ্যাওয়ারনেস এন্ড এনালাইটেন্ড সোসাইটি Logo শিক্ষার্থীদের ভাবনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ Logo জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী অ্যালামনাসদের রুয়া’র নির্বাচন বর্জন Logo মুখোমুখি অবস্থানে ভারত-পাকিস্তান, ভারতীয় নৌবাহিনীর মিসাইল ধ্বংসের পরীক্ষা Logo কাশ্মীরে হামলার পর তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা পাকিস্তানের

জোড়া খুনের মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৩:০৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৭ মে ২০১৭
  • ৭৪০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও আওয়ামী লীগের কদমতলী থানার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ এবং তার গাড়িচালক হারুনুর রশিদ হত্যা মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রায়হান খোকন (পলাতক), জাকির হোসেন ওরফে কালা জাকির, মো. জাভেদ ওরফে প্রিন্স, আরিফ হোসেন, মো. জুম্মন ও হীরা (পলাতক)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শরিফুল (পলাতক) ও আমির হোসেন (পলাতক)।

অপর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন। এরা হলেন- শাহ আলম প্রধানিয়া, শফিকুল আলম ওরফে সুমন, ইমন ওরফে কালু মিয়া (পলাতক) ও মিলন মোড়ল (পলাতক)।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের স্ত্রী এবং মামলার বাদী কোহিনুর বেগম। তিনি বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক রায়হান খোকনের মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। সে আমার স্বামীকে খুন করিয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন কমিশনার রোড মিষ্টি পট্টির কাছে কাকলী পাঠাগারের সামনের রাস্তায় মোহাম্মদ উল্লাহ এবং তার গাড়িচালক হারুনুর রশিদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ উল্লাহর স্ত্রী কোহিনুর বেগম কদমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর তৎকালীন ডিবি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রুহুল আমিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। মূলত ৫৩ (প্রাক্তন ৮৯) নং ওয়ার্ড কাউন্সিল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রায়হান খোকন এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। মোহাম্মদ উল্লাহ ৪০-৪৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি এলাকায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। রায়হান খোকনও ওয়ার্ড কমিশনার পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য এলাকাবাসী তাকে প্রত্যাখ্যান করে। তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম প্রকাশ্যে মোহাম্মদ উল্লাহকে আওয়ামী লীগ মনোনীত কমিশনার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। রায়হান খোকন এটা মেনে নিতে পারেননি। ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদ উল্লাহ এবং রায়হান খোকনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। রায়হান খোকন মোহাম্মদ উল্লাহকে পথের কাঁটা মনে করতেন। ওয়ার্ড কাউন্সিল নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে দক্ষিণ আফ্রিকায় পলাতক সন্ত্রাসী ইমন ওরফে কালু মিয়া এবং ভারতে পলাতক সন্ত্রাসী ও ভাড়াটে খুনি কাইল্লা আমিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কচুয়ায় কৃষকদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

জোড়া খুনের মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড !

আপডেট সময় : ১২:৩৩:০৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৭ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও আওয়ামী লীগের কদমতলী থানার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ এবং তার গাড়িচালক হারুনুর রশিদ হত্যা মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রায়হান খোকন (পলাতক), জাকির হোসেন ওরফে কালা জাকির, মো. জাভেদ ওরফে প্রিন্স, আরিফ হোসেন, মো. জুম্মন ও হীরা (পলাতক)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শরিফুল (পলাতক) ও আমির হোসেন (পলাতক)।

অপর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন। এরা হলেন- শাহ আলম প্রধানিয়া, শফিকুল আলম ওরফে সুমন, ইমন ওরফে কালু মিয়া (পলাতক) ও মিলন মোড়ল (পলাতক)।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের স্ত্রী এবং মামলার বাদী কোহিনুর বেগম। তিনি বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক রায়হান খোকনের মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। সে আমার স্বামীকে খুন করিয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন কমিশনার রোড মিষ্টি পট্টির কাছে কাকলী পাঠাগারের সামনের রাস্তায় মোহাম্মদ উল্লাহ এবং তার গাড়িচালক হারুনুর রশিদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ উল্লাহর স্ত্রী কোহিনুর বেগম কদমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর তৎকালীন ডিবি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রুহুল আমিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। মূলত ৫৩ (প্রাক্তন ৮৯) নং ওয়ার্ড কাউন্সিল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রায়হান খোকন এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। মোহাম্মদ উল্লাহ ৪০-৪৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি এলাকায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। রায়হান খোকনও ওয়ার্ড কমিশনার পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য এলাকাবাসী তাকে প্রত্যাখ্যান করে। তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম প্রকাশ্যে মোহাম্মদ উল্লাহকে আওয়ামী লীগ মনোনীত কমিশনার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। রায়হান খোকন এটা মেনে নিতে পারেননি। ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদ উল্লাহ এবং রায়হান খোকনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। রায়হান খোকন মোহাম্মদ উল্লাহকে পথের কাঁটা মনে করতেন। ওয়ার্ড কাউন্সিল নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে দক্ষিণ আফ্রিকায় পলাতক সন্ত্রাসী ইমন ওরফে কালু মিয়া এবং ভারতে পলাতক সন্ত্রাসী ও ভাড়াটে খুনি কাইল্লা আমিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেন।