পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী হওয়ার পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও
একটি হুইল চেয়ার মেলেনি কটনসপের শ্রমিক ইসমাইলের। অবশেষে তার স্বপ্ন পূরণ
করলো ইয়ুথ ফোরাম বাংলাদেশ ও চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ইয়ুথ ফোরাম বাংলাদেশের কার্যালয়ে পরিবারের
সদস্যদের উপস্থিতিতে তাকে হুইল চেয়ার তুলে দেন ইয়ুথ ফোরামের কো-অর্ডিনেটর রোটারিয়ান আলেয়া বেগম লাকী, চর্যাপদ একাডেমির সভাপতি আয়েশা আক্তার রুপা, মহাপরিচালক অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি, পর্যবেক্ষক ও ন্যায়পাল দিলীপ ঘোষ, সহকারী পরিচালক ফেরারী প্রিন্স, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার মিজানুর রহমান স্বপন, চাঁদপুর ল কলেজের প্রভাষক অ্যাডভোকেট রোজিনা চৌধুরী, ওপেন আই-এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান শাকির, স্কুল শিক্ষিকা কামরুন্নাহার বিউটি ও জুয়েলারি মালিক ভুপেষ।
অ্যাডভোকেট আলেয়া বেগম লাকী বলেন, আমরা সাধ্যমতো মানুষের পাশে
দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। আশা রাখি, আগামীতেও করবো।
চর্যাপদ একাডেমির মহাপরিচালক রফিকুজ্জামান রণি বলেন, আমরা গত মাসে ১০ জন নারীকে সেলাই মেশিন, ৩০টি পরিবারকে ঈদের পোশাক উপহার দিয়েছি। সেই সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশের পর আমাদের কাছে তথ্য আসে ইসমাইল নামের একজন
পক্ষাঘাতগ্রস্ত শ্রমিকের হুইল চেয়ার প্রয়োজন। বিভিন্ন স্থানে দরখাস্ত দিয়ে হতাশ
হয়েছেন। খবরটা শোনার পর ইয়ুথ ফোরামের কো-অর্ডিনেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আন্তরিকভাবে সাড়া দেন। তারই আন্তরিকতায় চর্যাপদ একাডেমি ও ইয়ুথ ফোরামের যৌথ উদ্যোগে আজ কাজটা করতে পেরে নিজেকে
ধন্য মনে করছি।
হুইল চেয়ার প্রাপ্ত ইসমাইল হোসেন অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, সরকারি-
বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও আমি হুইল চেয়ার পাইনি। আজ চর্যাপদ
একাডেমি ও ইয়ুথ ফোরামের আন্তরিকতায় আমার স্বপ্ন পূরণ হলো। a