শিরোনাম :
Logo নারী সংস্কার কমিশন নির্দিষ্ট মতাদর্শিক বয়ানে পরিণত হয়েছে: ইসলামী আন্দোলন Logo নির্বাচন বিলম্বকারীদের রুখে দেওয়ার শক্তি আমাদের আছে : ফারুক Logo সোমবার কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, সফরসঙ্গী যারা Logo আরও বেশি বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষী নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Logo প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা Logo যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহী নিহত Logo দাবি আদায়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের Logo ফের গাছ কেটে ভবনের আয়োজন Logo রাবি প্রেসক্লাবের দায়িত্বে মাহিন-মিশন Logo প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ট্রাম্পভীতি রুখতে সকলকে ডেমোক্রেটিক পার্টিতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:০৯:০৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১ মে ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গণবিরোধী আচরণ রুখে দিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ডেমোক্রেটিক  পার্টির সাথে সম্পর্ক জোরদারের বিকল্প নেই। শুধু ভোটার হলে চলবে না, ডেমোক্রেটিক পার্টির সাংগঠনিক প্রক্রিয়াতেও জোরালো ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। তাহলেই ট্রাম্প-আতংক থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হবে। ’

বাংলা নতুন বছরকে বরণ উপলক্ষে ‘মানিকগঞ্জ সমিতি অব নর্থ আমেরিকা’র বৈশাখী মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন নিউইয়র্কের মূলধারার রাজনীতিক ও সমাজকর্মী আকতার হোসেন বাদল।

তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বাড়িতেও হানা দিচ্ছে অভিবাসন-পুলিশ। এর ফলে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সমগ্র কমিউনিটিতে। সেদিকে ইঙ্গিত করেই বাদল সকলকে মূলধারায় সম্পৃক্ত হবার উদাত্ত আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য যে, ২৯ এপ্রিল ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ১০০ দিন পূর্তি, সে আলোকে যুক্তরাষ্ট্রের হাল-হকিকত আলোকে বক্তব্য রাখেন সকলে। বাংলাদেশিদের বৈশাখী মেলায় এমন আলোচনা সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

আকতার হোসেন বাদল বলেন, ‘নিউইয়র্কে যেসব বাংলাদেশি মার্কিন সিটিজেনশিপ গ্রহণ করেছেন, তার ৯৫ শতাংশই ডেমক্র্যাট হিসেবে তালিকাভুক্ত। তবে এর কোন প্রভাব পরিলক্ষিত হয় না ডেমোক্রেটিক পার্টির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে। এর ফলে মূলধারার লোকজন বাংলাদেশিদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। ’

বাদল উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশি রাজনৈতিক বিশ্বাস অটুট রেখেও মার্কিন রাজনীতিতে জোরালো ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া যায়। বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি বাংলাদেশিরই উচিত হবে মূলধারায় অর্থ-সময় দেয়া। ’ ‘তাহলেই ট্রাম্পের অপতৎপরতার অসহায় ভিকটিম হবার আশংকা থেকে মুক্ত থাকবেন বাংলাদেশিরাও’।

মানিকগঞ্জের বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর উপস্থিতিতে এ বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয় জ্যাকসন হাইটসের পিএস-৬৯ এর মিলনায়তনে। দিনভর চলে বৈশাখের আমেজে খাওয়া-দাওয়া এবং বাঙালি ঐতিহ্যে পরিপূরক পণ্যের মেলা। পোশাকে বাঙালি সেজেছিল তরুণ-তরুণীরাও। পুথিপাঠও করেন কেউ কেউ।

মূলমঞ্চে বাঙালি সংস্কৃতির আলোকে আরও বক্তব্য রাখেন সিটি কাউন্সিলে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী তৈয়েবুর রহমান হারুন, সংগঠনের সভাপতি মনিউর রহমান জাহাঙ্গির, সেক্রেটারি আবু সুফিয়ান, এবং বৈশাখী মেলার জন্যে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক জিকরুল আমিন জুয়েল, সদস্য সচিব রাশেদ মিয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে কমিউনিটি সার্ভিস এবং বাংলাদেশিদের অধিকার-মর্যাদা নিয়ে মূলধারায় সোচ্চার থাকার জন্য মানিকগঞ্জ সমিতির পক্ষ থেকে আকতার হোসেন বাদলকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এটি হস্তান্তর করেন ডেমক্র্যাট তৈয়েবুর রহমান হারুন। এসময় সমিতির শীর্ষ কর্মকর্তারাও মঞ্চে ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নারী সংস্কার কমিশন নির্দিষ্ট মতাদর্শিক বয়ানে পরিণত হয়েছে: ইসলামী আন্দোলন

ট্রাম্পভীতি রুখতে সকলকে ডেমোক্রেটিক পার্টিতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান !

আপডেট সময় : ০৬:০৯:০৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গণবিরোধী আচরণ রুখে দিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ডেমোক্রেটিক  পার্টির সাথে সম্পর্ক জোরদারের বিকল্প নেই। শুধু ভোটার হলে চলবে না, ডেমোক্রেটিক পার্টির সাংগঠনিক প্রক্রিয়াতেও জোরালো ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। তাহলেই ট্রাম্প-আতংক থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হবে। ’

বাংলা নতুন বছরকে বরণ উপলক্ষে ‘মানিকগঞ্জ সমিতি অব নর্থ আমেরিকা’র বৈশাখী মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন নিউইয়র্কের মূলধারার রাজনীতিক ও সমাজকর্মী আকতার হোসেন বাদল।

তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বাড়িতেও হানা দিচ্ছে অভিবাসন-পুলিশ। এর ফলে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সমগ্র কমিউনিটিতে। সেদিকে ইঙ্গিত করেই বাদল সকলকে মূলধারায় সম্পৃক্ত হবার উদাত্ত আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য যে, ২৯ এপ্রিল ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ১০০ দিন পূর্তি, সে আলোকে যুক্তরাষ্ট্রের হাল-হকিকত আলোকে বক্তব্য রাখেন সকলে। বাংলাদেশিদের বৈশাখী মেলায় এমন আলোচনা সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

আকতার হোসেন বাদল বলেন, ‘নিউইয়র্কে যেসব বাংলাদেশি মার্কিন সিটিজেনশিপ গ্রহণ করেছেন, তার ৯৫ শতাংশই ডেমক্র্যাট হিসেবে তালিকাভুক্ত। তবে এর কোন প্রভাব পরিলক্ষিত হয় না ডেমোক্রেটিক পার্টির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে। এর ফলে মূলধারার লোকজন বাংলাদেশিদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। ’

বাদল উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশি রাজনৈতিক বিশ্বাস অটুট রেখেও মার্কিন রাজনীতিতে জোরালো ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া যায়। বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি বাংলাদেশিরই উচিত হবে মূলধারায় অর্থ-সময় দেয়া। ’ ‘তাহলেই ট্রাম্পের অপতৎপরতার অসহায় ভিকটিম হবার আশংকা থেকে মুক্ত থাকবেন বাংলাদেশিরাও’।

মানিকগঞ্জের বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর উপস্থিতিতে এ বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয় জ্যাকসন হাইটসের পিএস-৬৯ এর মিলনায়তনে। দিনভর চলে বৈশাখের আমেজে খাওয়া-দাওয়া এবং বাঙালি ঐতিহ্যে পরিপূরক পণ্যের মেলা। পোশাকে বাঙালি সেজেছিল তরুণ-তরুণীরাও। পুথিপাঠও করেন কেউ কেউ।

মূলমঞ্চে বাঙালি সংস্কৃতির আলোকে আরও বক্তব্য রাখেন সিটি কাউন্সিলে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী তৈয়েবুর রহমান হারুন, সংগঠনের সভাপতি মনিউর রহমান জাহাঙ্গির, সেক্রেটারি আবু সুফিয়ান, এবং বৈশাখী মেলার জন্যে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক জিকরুল আমিন জুয়েল, সদস্য সচিব রাশেদ মিয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে কমিউনিটি সার্ভিস এবং বাংলাদেশিদের অধিকার-মর্যাদা নিয়ে মূলধারায় সোচ্চার থাকার জন্য মানিকগঞ্জ সমিতির পক্ষ থেকে আকতার হোসেন বাদলকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এটি হস্তান্তর করেন ডেমক্র্যাট তৈয়েবুর রহমান হারুন। এসময় সমিতির শীর্ষ কর্মকর্তারাও মঞ্চে ছিলেন।