শৈলকুপায় সেই প্রতিবন্ধী অন্তসত্তা পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে আদালতে

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৩:১৭:১০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১ মে ২০১৭
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামে সেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এখন এক মাসের অন্তসত্তা। অসহায় পরিবারটি বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে অবশেষে আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন। জানা গেছে, ফুলহরি গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে লম্পট ইকবাল হোসেন (২৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই প্রতিবন্ধিকে একাধিকবার ধর্ষন করে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই মেয়েটি কাউকে বিষয়টি বলেনি। ধর্ষনের কারণে মেয়েটি অন্ত:সত্তা হয়ে পড়ে।

ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা বিচারের দাবিতে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দেয়। চেয়ারম্যান নোটিশের মাধ্যমে ধর্ষকের পরিবারকে ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হতে বলেন। কিন্তু তারা হাজির হয় না। পরে চেয়ারম্যান আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন। নির্যাতিতার পরিবারটি শৈলকুপা থানা গিয়ে মামলা করতে গেলে থানা মামলা গ্রহন করেনি।

একপর্যায়ে কোন সমাধান না পেয়ে ২৬ এপ্রিল নির্যাতিতার পিতা বাদি হয়ে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-এনটিসি-পি ৫৭/১৭। বিজ্ঞ আদালত আগামী ৯ মে শুনানির দিন ধার্য করেছেন। এ ব্যাপারে নির্যাতিতার দিনমজুর পিতা বলেন, আমার বুদ্ধিপ্রতিবদ্ধী কন্যাকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে। সে এখন অন্তসত্তা। আমি ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি।

তিনি অভিযোগ করেন আদালতে মামলা করলে ধর্ষকের পরিবার আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে লম্পট ইকবাল হোসেন ও তার লোকজন। আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও এই ঘটনার সাথে জড়িত লম্পটের সুষ্ঠু বিচার প্রার্থণা করছি।

ট্যাগস :

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার

শৈলকুপায় সেই প্রতিবন্ধী অন্তসত্তা পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে আদালতে

আপডেট সময় : ০৩:১৭:১০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১ মে ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামে সেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এখন এক মাসের অন্তসত্তা। অসহায় পরিবারটি বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে অবশেষে আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন। জানা গেছে, ফুলহরি গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে লম্পট ইকবাল হোসেন (২৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই প্রতিবন্ধিকে একাধিকবার ধর্ষন করে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই মেয়েটি কাউকে বিষয়টি বলেনি। ধর্ষনের কারণে মেয়েটি অন্ত:সত্তা হয়ে পড়ে।

ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা বিচারের দাবিতে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দেয়। চেয়ারম্যান নোটিশের মাধ্যমে ধর্ষকের পরিবারকে ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হতে বলেন। কিন্তু তারা হাজির হয় না। পরে চেয়ারম্যান আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন। নির্যাতিতার পরিবারটি শৈলকুপা থানা গিয়ে মামলা করতে গেলে থানা মামলা গ্রহন করেনি।

একপর্যায়ে কোন সমাধান না পেয়ে ২৬ এপ্রিল নির্যাতিতার পিতা বাদি হয়ে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-এনটিসি-পি ৫৭/১৭। বিজ্ঞ আদালত আগামী ৯ মে শুনানির দিন ধার্য করেছেন। এ ব্যাপারে নির্যাতিতার দিনমজুর পিতা বলেন, আমার বুদ্ধিপ্রতিবদ্ধী কন্যাকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে। সে এখন অন্তসত্তা। আমি ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি।

তিনি অভিযোগ করেন আদালতে মামলা করলে ধর্ষকের পরিবার আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে লম্পট ইকবাল হোসেন ও তার লোকজন। আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও এই ঘটনার সাথে জড়িত লম্পটের সুষ্ঠু বিচার প্রার্থণা করছি।